নারিকেল গাছের চেরা পাতার ফাক দিয়ে জ্যোৎস্না যেনো টুপটুপ করে পড়ছে। হালকা বাতাস নিজে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো আয়েত্রীকে। ততক্ষণে একফালি মেঘে ডাকা পড়েছে চাঁদ। কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে আয়েত্রী নদীর পানির অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে।
কেমন একটা মোহ কাজ করছে পানির প্রতি।"মিস আয়েত্রী? হোয়াট আর ইউ ডুয়িং হিয়ার?"
আচমকা কারো ডাকে যেনো প্রাণ ফিরে পেলো আয়েত্রী।বেশ জোরে জোরে বার কয়েক শ্বাস নিলো। মাছ ধরার সময় বসার জন্য বানানো বাঁশের মাচানে বসে পড়লে শাওন এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
"আজকে আপনি এখানে কি করছেন? এমন মৃত ব্যক্তির মত হাটছিলেন কেনো?"
মৃত ব্যক্তির কথা মনে হতেই এক প্রকার শীতলতা অনুভব করে আয়েত্রী। ডান পাশে তাকিয়ে দেখে পুলিশ খানিকটা জায়গা Do not cross লেখা হলদে কালো প্লাস্টিকের কাগজ বাঁশের সাথে বেধে বেড়া দিয়ে গেছে।
তবে কি খুন এখানে.......
গলা শুকিয়ে উঠে মেয়েটার এই চিন্তায়। এমন না সে ভীতু কিন্তু তাই বলে এতটা সাহসী না যে রাত-বিরেতে মার্ডার প্লেসে আসবে।"পানির পাশ থেকে সরে এদিকটায় বসুন। "
শাওনের ডাকে সাড়া দিয়ে খানিকটা ডান দিকে সরে বসে আয়েত্রী।পাশে শাওন বসতেই আয়েত্রী বলল,
"আ'ম সরি। কখন এসেছি মানে... আমি.... "
"ইট'স ওকে। কিন্তু এভাবে আপনার রাত বিরেতে বের হওয়া উচিৎ নয়। ""আপনি এখানে কি করছেন? আর তাছাড়া কাল ওখানে...... ওয়েট! আপনি! আপনি তো..... "
"যার কথা বলছেন সে সম্পর্কে আমার দুলাভাই।অবশ্যই আমি আমার দুলাভাইকে খুন করিনি।কারণ আমার তিনজন ভাগ্নে আছে।আপনার চিন্তা ভাবনা এপ্রিশিয়েট করার মতো মিস.আয়েত্রী।"
"আ'ম সরি। ওভাবে বলতে চাইনি।আসলে... বাদ দিন।
আপনি আজ এখানে কেনো? ""আমি তো এদিকটায় ছিলাম না। আমার বাড়ি ওদিকে। বাড়ির পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ আপনাকে দেখলাম আপনাকে কেমন একটা হিপনোটিজম হিপনোটিজম লাগছিলো।আর ইউ ওকে? "