সাদা বেনারসি শাড়ির পাড়ে গাড় সোনালি রঙের কারুকাজ। পুরো শাড়ি জুড়েই সোনা রঙ। যেনো ফুটফুটে শুভ্র মেঘের ফাক ফোকড়ে সোনালি রোদ্দুর খেলা করছে।
স্বভাব বশত কারণেই আয়েত্রী ভাইয়ের সান্নিধ্যে বেশ আরামে রয়েছে। সত্যি আরামে আছে কি না সে কথা আপাতত বুঝতে পারছে না। কারণ দুচোখ বন্ধ করলেই কেউ না কেউ কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে।
সামনে বিছানো রয়েছে রঙবেরঙে জামদানী শাড়ি থেকে শুরু করে টাংগাইলের শাড়ি।
সবাই শাড়ি দেখতে ব্যস্ত। এই সুযোগে আয়েত্রী কয়েক মূহুর্ত ঘুমানোর প্ল্যান করেছিলো, কিন্তু বার বার সে প্ল্যান ভেস্তে যাচ্ছে বাধ্য হয়েই সোজা হয়ে বসে আয়েত্রী। সবাই মিলে যখন ঘুমের তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তখন ঘুম কে ছাড়িয়ে দেওয়াই উচিৎ।প্রতীর কানে কিছু একটা বললে প্রতী ইস্তিয়াক কে বলল,
"কফি পাওয়া যাবে? গরুর দুধ দিয়ে স্ট্রং কফি?"
মিনিট পাঁচেক পর কফি হাজির।
আয়েত্রীর সাথে বাকী দুজনের তেমন সখ্যতা গড়ে না উঠলেও প্রতীক্ষা,;মানহা, মালিয়াত তাদের সাথে বেস মিশছে। আড্ডা দিচ্ছে,হাসি-তামাশা করছে।
আয়েত্রী এক পলক ওদের দিকে ভ্রু-কুঁচকে তাকালো।
গায়ে পড়া স্বভাব কারো নেই তবুও আয়েত্রীর বেশ বিরক্তি লাগছে। শাড়ি দেখা বাদ দিয়ে নানান প্যাঁচাল হচ্ছে এখানে।অথচ একজোড়া তৃষ্ণার্ত চোখ যে বার বার তাকেই দেখছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই৷
প্রতীক্ষা, মানহা, মালিয়াতের কাছে আয়েত্রী কথা শুনতে শুনতে সব মুখস্থ হয়েছে ইমতিয়াজ এবং ইলিয়াসের।
আয়েত্রীকে উনারা খেয়াল করেনি এমন কিন্তু নয়, তবে ভালোভাবে খেয়াল করার সুযোগ বা কথা বলার সুযোগ হয়ে উঠেনি।
ইমতিয়াজ ভীষণ ভাবে চমকিত হলো যখন
আয়েত্রী আয়াতের কফির মগ থেকে কফি পান করছিলো।
যতদূর শুনেছে কেউ বোতলে পানি খেলেও সে বোতলে পানি খায় না আয়েত্রী , অথচ ভাইয়ের এঠো কফি দিব্ব্যি মুখে নিচ্ছে।