গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, হালকা বাতাসে শীত যেনো জমে উঠেছে।
গন্তব্য শহরের বাহিরের জমিদার বাড়ি। আজ পুরো বিকেল সেখানে কাটানোর কথা। সন্ধ্যেবেলা বিয়ের শপিং বলতে শুধুমাত্র শাড়ি, যা দেখানোর জন্য কারিগর আসবে জমিদার বাড়িতেই।
পুরো রাস্তায় আয়াতের সাথে টুকটাক কথা বলে কাটিয়েছে ইশরাক। কথার বিষয় আয়েত্রী।
খুটিয়ে খুটিয়ে যেমন প্রশ্ন করছিলো ইশরাক আয়াত ঠিক তেমন বাধ্য ছেলের মতন উত্তর দিচ্ছিলো।আদ্যোপান্ত শুনে এটা কারো বুঝে আসছে না যে আয়েত্রীর সাথেই এমন কেনো হচ্ছে। সব ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে আয়েত্রীকে কয়েকভাবে ভিক্টিম করা হয়েছে।
প্রসাধনী, কাপড়, সব শেষ পুতুলের দিকটায়।কোন এক মনে ইশরাক আয়াত কে বলে,
"দাদার সময় যে ভদ্রলোক এসেছিলেন আমরা একবার তার খোঁজে যেতে পারি কিন্তু..... "
আয়াত সহমত প্রকাশ করে কারণ ইশরাককে খারাপ মনে হয়নি কখনো। যদিও আয়েত্রীর বিয়ে নিয়ে সে ইশরাকের উপর কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলো তবে আজকের ব্যবহারে মুগ্ধ।
এমন একজনের হাতে সে বোনের হাত তুলে দিতেই পারে। কারণ এটা যে হবে সৎ পাত্রে কন্যা দান।ওদের কথার আরো একটি বিষয় ছিলো আয়েত্রী এক্টিভিটি। আয়েত্রী যদি সবার সাথে কথা বলে, সময় কাটায় এতে হয়তো কিছুটা শারিরীক ইম্প্রুভমেন্ট আসবে।
জমিদার বাড়ি যাওয়ার আগের গ্রামের মেঠোপথ যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছোট্ট একটা গ্রাম।
বৃষ্টি পড়েছে মাঠের ঘাসে,হালকা বাতাসে তীব্র মাটির গন্ধ। আয়াত হালকা স্বরে আয়েত্রী কে ডেকে তুলে।
আয়েত্রী বেশ ঘুমিয়েছে। উঠে আড়মোড়া ভাঙতেই কফি এগিয়ে দেয় ইশরাক। মুচকি হেসে আয়েত্রী কফি নিয়ে নেয়।কফি শেষে আয়াতের জ্যাকেটের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,
"ভাই! আমার না এখন বেশ হালকা লাগছে। কিন্তু মুখে টক ভাব। মনে হচ্ছে এই বুঝি বমি হবে। "
"মিস আয়েত্রী! আপনি কি কখনো অরক্ষণীয়া পড়েছেন?"
ইশরাকের প্রশ্নে আয়েত্রী ভাইয়ের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে ইশরাকের দিকে তাকায়। সাবলীল বাংলায় বলল,