শীতের সকালে রোদ উঠেছিলো, হঠাৎ কোথা থেকে একদল মেঘ উড়ে এলো। ঝুপঝুপিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টি ঠেলে এগিয়ে চলেছে ইশরাকদের গাড়ি।
বৃষ্টি নামার কারণে প্রতীক্ষাদের গাড়ি বদল করতে হলো।জোড়া wipers অনবরত পরিষ্কার করে চলেছে সামনের গ্লাস। লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে
পিছনে বসে থাকা আয়েত্রীকে বার বার দেখছিলো ইশরাক।এতটা কাছাকাছি থেকে দেখে মনে হচ্ছে সত্যি মেয়েটা অসুস্থ। চোখের নিচে বেশ খানিকটা দেবে আছে, কালি জমেছে। ঘাসে সদ্য পড়া শিশিরের বিন্দুর মতন নাকে জমেছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘামের কণা।
চোখ দুটো বন্ধ। পা তুলে বসেছে। ঘাড়ের পিছনে হট ওয়াটার ব্যাগ রাখা।এতটা অসুস্থ কিসের জন্য?
কাল যদ্দুর শুনেছে তা হল,
মাঝেমধ্যেই রক্তবমি হয়, হাড়কাঁপানো জ্বর আসে।টুকটাক কথা বলছিলো প্রতী-ইস্তিয়াক। ইশরাক ড্রাইভিং করায় ব্যস্ত বলে মনে হচ্ছে না। তবে সে পেছনে বসে থাকা প্রেয়সীকে লুকিয়ে-চুরিয়ে দেখতে ব্যস্ত।
১৭৮ বারের বার তাকানোর সময় টুপ করে চোখ মেলে তাকালো আয়েত্রী। চোখাচোখি হয় আয়েত্রী-ইশরাকের।
প্রতী -ইস্তিয়াক তখনো কথায় ব্যস্ত।আয়েত্রী গলায় ভিষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। ঘাড় নাড়াতে পারছে না। মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘাড়ের উপর বসে আছে।
নিভু নিভু চোখে আয়েত্রী একবার প্রতী- ইস্তিয়াকের দিকে,তারপর তাকালো ইশরাকের দিকে।
ধীরে ধীরে ইস্তিয়াকের উদ্দেশ্যে বলল,"ভাইয়া! আপনি পিছনে আসুন! আমি সামনে বসছি। আমার মনে হয় আপনাদের একান্তে কথা বলা প্রয়োজন।"
ইস্তিয়াক মনে মনে এটাই হয়তো চাইছিলো। কারণ পিছনে ফিরে বারবার কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আয়েত্রী সামনে বসলে এতটা আরাম-আয়েশের ভঙ্গিতে বসতে পারবে না যে এটাও কারো অজানা নয়। দ্বিধা-দণ্ডে পড়ে গেলো ইস্তিয়াক।
ইশরাক তখন এক মনে ড্রাইভ করেই চলেছে।
একটা কফিশপের সামনে গাড়ি পার্কিং করে নেমে পড়লো ইশরাক। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলো হাতে কফি নিয়ে। ইস্তিয়াককে ইশারায় ড্রাইভিং সিটে বসতে বলে, এবং প্রতীকে তার পাশে।
VOCÊ ESTÁ LENDO
চন্দ্রাবতীর রাতে ✅ [COMPLETED]
Mistério / Suspensewritten by Sadia Khan ( subasini)