6.

266 15 359
                                    

সকাল থেকেই বাড়িতে এলাহি আয়োজন চলছে। আজ প্রত্যাশাকে দেখতে আসবে।
আশ্চর্য হলেও এই বিষয়ে আয়েত্রী শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছে আজ পাত্রপক্ষ প্রত্যাশা কে পছন্দ করবেই করবে।

আয়েত্রীর শরীর অনেকটা সুস্থ হলেও পায়ে পানি এসে খানিকটা ভারী হয়ে উঠেছে। তাই চুপচাপ দুয়ারে বসে সবাই কে দেখছিলো সে।

গতকাল বিকেলে খিচুনি উঠে মরণাপন্ন অবস্থা হয়ে যায় আয়েত্রীর। ঘাড়ের ক্ষত থেকে এক প্রকার কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছিলো, সাথে আয়েত্রীর মুখের বর্ণ ধীরেধীরে ফ্যাকাসে হচ্ছিলো।

বাড়ি নিয়ে আসার পর সবাই বেশ ঘাবড়ে যায়।  ঠিক সে সময় বাড়িতে প্রবেশ করে ইয়েমেন থেকে আগত যুবক দল। উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করে কোর-আন শরীফের আয়াত। কিছুক্ষণ পর আয়েত্রীর শরীর ঘামিয়ে ঠান্ডা হয়ে অবচেতন হয়ে যায় আয়েত্রী।

সর্বকনিষ্ঠ বালক মওলানা সাহেব কে কিছু বলেন,কথার ভিত্তিতে আয়েত্রীর ব্যবহারের সকল প্রসাধনী একত্রে বাহিরে আনতে বলেন মওলানা সাহেব।
আয়েত্রীর ব্যবহারের সকল প্রসাধনী, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে হ্যান্ডওয়াশ সকল জিনিস নিয়ে আসা হয়। সাথে নিত্যকার ব্যবহৃত টিস্যুপেপার।

বালক কিছুক্ষণ সেসব জিনিসের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে নেয়। তখন সন্ধ্যে নেমে এসেছে।
আজান পড়ার কারণে সবাই আজ ও বাড়িতে নামাজ পড়েন।

নামাজ শেষে দুয়ারে এসে পুনরায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্যাকেট থেকে একটি টিস্যু পেপার বের করে মোমবাতির আলোর সামনে ধরেন।

কিছু লেখা ভেসে উঠে, অথচ সাধারণ আলোয় এসব দেখা যাচ্ছে না।
লেখাগুলো খুব স্পষ্ট ভাবে খেয়াল করলেই বুঝা যায় কোন আয়াত ইচ্ছাকৃত ভাবে কুফরি কাজের জন্য উল্টো করে লেখা হয়েছে।

আয়েত্রীর চুলের তেলের বোতল থেকে ফিনফিনে হালকা কাপড় পাওয়া যায়। একই  লেখার।
বুঝতে বাকী নেই এসব দিয়েই করা হয়েছে আয়েত্রীর উপর কুফরি কাজ।

বালক হাতের ইশারায় এক গ্লাস পানি চায়। পানিতে কিছু আয়াত পড়ে ফু দিয়ে সে পানি ছিটিয়ে দেয় আয়েত্রীর সকল প্রসাধনীর উপর।
টিবওয়েল থেকে আনা সামান্য পানিতে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আয়েত্রীর সকল প্রসাধনী।

চন্দ্রাবতীর রাতে ✅ [COMPLETED]Où les histoires vivent. Découvrez maintenant