মিহি কুয়াশায় মোড়ানো চারপাশ। বারান্দায় টুল পেতে বসে আছে আয়েত্রী। পরণে ব্ল্যাক স্কার্ট প্ল্যাজো,অফ হোয়াইট লং কামিজ, আয়াতের জ্যাকেট।
ভাইয়ের জিনিসপত্র সানন্দে ব্যবহার করে সে।
ভাই কিছুই বলে না, কারণ বোনের কাছেও আবদার করলে কখনো ফিরতে হয়নি।বসে বসে আয়েত্রী হাতের কড় গুনে দরুদ শরীফ পড়ছিলো। দৃষ্টি সামনের দিকে। অপর পাশের ঘরের বারান্দার গ্রিল ঠেলে কেউ একজন বেরিয়ে এলো। পরণে তার ব্ল্যাক ওয়ার্কিং সুট।
মিষ্টি হাসির বিনিময়ে আয়েত্রী হাত নেড়ে অপেক্ষা করতে বলে রুমে চলে যায়।মায়ের কানে বলে আসে,
"মা! আমি একটু বের হচ্ছি।"
জ্যাকেট খুলে নিজেকে চাদরে মুড়িয়ে বেরিয়ে আসে আয়েত্রী। পিছন পিছন আরাধ্যা বেগম এগিয়ে এসে দেখেন আয়েত্রী ইশরাকের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে।
আরাধ্যা বেগম কিছু বলে না, মুচকি হেসে ভিতরে চলে আসেন।
হ্যাঁ! ওদের একান্তে কিছু সময় অবশ্যই প্রয়োজন। মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিবেন না, মেয়ে যদি ইশরাকের সাথে কথা বলার পরেও সম্মতি না দেয় তাহলে জোর করার কোন মানেই হয় না। তবে এটা ভেবে উনি মনে মনে বেশ প্রশান্তি পাচ্ছিলেন যে, আয়েত্রী তার বাবা-মায়ের কথায় ইশরাক কে বুঝতে কিংবা তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে।ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছে ইশরাক-আয়েত্রী।আয়েত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে হাটার জন্য বেশ ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে ইশরাককে।
দুজনেই নীরব। শীতের ভোরসকালে সচরাচর কেউ উঠে না।
তাই রাস্তায় কথা বলতে কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।
ওরা এবার উল্টো পথে এসেছে। নদীর ধাড়ের রাস্তাতেই আছে কিন্তু যে পাশে সচরাচর যাতায়াত, সে পথে আজ যায় নি।"আমার ফুল পছন্দ নয়। উপন্যাস ভালো লাগে না। গল্প ভালো লাগে না৷ আগের দিনের রহিম রুব্বান কিংবা ঐতিহাসিক কিছুই ভালো লাগে না। "
আয়েত্রীর কথায় মুচকি হাসে ইশরাক। মুখে হাসির রেখা টেনে ইশরাক বলল,
"গল্প শুনতে ভালো লাগে? "
"হুম"
"বেশ তো আমি না হয় আজ একটা উপন্যাসের কিছুটা শোনাবো, যদি ভালো লাগে বাকীটা নিজের পড়ে নিতে হবে কিন্তু..... "