5.

171 20 36
                                    

শীতের সকালে কোথাও একটা কোকিল করুণ সুরে ডাকছে। ডাক শুনে মনে হচ্ছে কোকিলের মনের গহীনে মেঘের ঘনঘটায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে ছোট্ট কোকিলের হৃদয়।
শুকনো পাতার মড়মড়ে শব্দ, কেউ যেনো হেটে যাচ্ছে গহীনে।

ঘুমের ঘোরে আয়েত্রী নিজেকে বড্ড হালকা অনুভব করছে।
শরীরের ভিতরে বেশ পরিবর্তন অনুভব করছে। এই মনে হচ্ছে সে হয়তো এক টুকরো তুলোর মতন উড়ছে।

পাশ ফিরতেই অনুভব হলো কিছু একটা আঁকড়ে ধরে আছে তাকে।
হাতড়ে অনুভব করলো প্রত্যাশা ঘুমিয়ে আছে পাশে। আয়েত্রীর উরুর উপর দিয়ে পা এবং গলার উপর দিয়ে হাত দিয়ে। মনে হচ্ছিলো আয়েত্রী, আয়েত্রী নয়। একটা কোলবালিশ মাত্র।

আয়েত্রীকে নড়তে দেখেই প্রত্যাশা উঠে বসেছে।কপালে হাত দিয়ে জ্বর আছে কি না দেখে নিয়ে ওড়নার কোণা দিয়ে আয়েত্রীর নাকের নিচে জমাট বাধা রক্ত মুছে দিয়ে বলল,

"খারাপ লাগছে? আচ্ছা আয়েত্রী! তোকে গতকাল আমি একা রেখে চলে আসাতে ভয় পেয়েছিলি? বারবার হাত ধরে টানছিলাম কিন্তু তোর কোন হেলদোল ছিলো না।"

"আমি ঠিক আছি। কয়টা বাজে রে প্রতী? ক্ষুধা লেগেছে। "

প্রতী দ্রুত উঠে আয়েত্রীকে নিয়ে বাহিরে নিয়ে বসিয়ে দেয়। আয়েত্রীর মা চুপচাপ আয়েত্রীর পাশে বসে মেয়ের হাত-পা, গলা,মুখ দেখছিলো। মেয়েটার মুখ বড্ড ফ্যাকাশে লাগছে।
আয়েত্রীর গলায় প্রচন্ড ব্যথা থাকার দরুন সে ঠিকমতন কিছুই বলতে পারছে না।

ভাঙা ভাঙা গলায় আয়েত্রী তার মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,

"মা! আমাকে একটু গোসল করিয়ে দেবে? গা দিয়ে কেমন যেনো রক্ত, রক্ত গন্ধ আসছে। "

গোসলের সময় আয়েত্রীর মা শিউরে উঠেছিলেন। মাথায় পানি দিতেই খেয়াল করলেন মেয়ের চুলে জমাট বাধা রক্ত সাথে বর্ণহীন পানি রক্তিম বর্ণ ধারণ করে ছড়িয়ে পড়েছে  গোসলখানার ফ্লোরে।

হালকা রোদে বসে আছে আয়েত্রী। শরীরে অস্বাভাবিক কাঁপন।
এমন কিছুটা আন্দাজ করেছিলেন আয়েত্রী নানু। তাই আগেই তেল গরম করে রেখেছেন উনি। হাত-পায়ে মালিশ করে দিচ্ছিলেন। এমন সময় আয়েত্রীর নানা বাড়িতে প্রবেশ করেন।

চন্দ্রাবতীর রাতে ✅ [COMPLETED]Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ