এইবার নিয়ে মোট সতের বার লিপস্টিকের কালার চেঞ্জ করলো মালিয়াত। প্রত্যেকের লিপস্টিক ট্রাই করা শেষ।
নাহ্! কারোটা পছন্দ হচ্ছে না। এবার আয়েত্রীর লিপস্টিকগুলোর জন্য বড্ড আফসোস হচ্ছে তার।গতকাল সব জিনিসপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে সেই পিচ্চিটা। তা না হলে আয়েত্রীর গুলো থেকে একটা না একটা অবশ্যই ভালো লাগতো।
মালিয়াতের এতটা হা-হুতাশ দেখে প্রতীক্ষা বলল,
"আমি বুঝতে পারছি না, যেখানে প্রতীকে দেখতে এসেছে, আপু নিজেই সাজ নিয়ে এতটা কন্সার্নড না, সেখানে তুই এত উতলা কেনো হচ্ছিস একটু বলবি?"
প্রতীক্ষার কথায় আদৌও মালিয়াতের কান অবধি পৌঁছেছে বলে মনে হলো না কারোর।
মালিয়াতের বাড়াবাড়ি রকমের মন খারাপ দেখে মানহা বলল,
"আত্রীর জন্য ছোট মামা লিপস্টিকের ২৪শেড বক্স নিয়ে এসেছেন। আত্রী বক্স খুলেছে বলে মনে হয় না। তুই একবার দেখতে পারিস। "
মানহার কথা বেশ মনে ধরেছে মালিয়াতের। তাইতো দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে রুম থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। সে মুহূর্তে বাহিরে বেশ শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। শব্দের উৎস জানার জন্য উঠানের দিকে এগিয়ে গেলো সবাই।
উঠানের মাঝখানে কাঠের টুলে বসিয়ে রাখা হয়েছে আয়েত্রীকে। মুখে ঝাল পান সাথে গরমের কারণে আয়েত্রী বেশ হাসফাস করছে।
পারিবারিক ভিড় ঠেলে যখন মালিয়াত, মানহা, প্রতীক্ষা আয়েত্রীর কাছে পৌঁছালো তখন মালিয়াতের মাথায় খানিকটা আকাশ না আস্ত আকাশ ভেঙে পড়লো।আয়েত্রীর এক হাত ধরে বসে আছে আয়াত এবং অন্যহাত ধরে আয়েত্রীকে পানি খাওয়াচ্ছে তার সদ্য তৈরী হওয়া মি.ক্রাশ। যাকে একটু আগে দেখে কয়েক মূহুর্তের মাঝেই তার উপর সমস্ত অনুভূতি পিষে ফেলেছে মানে ক্রাশ খেয়েছে।
দুই একটা ফাকা ঢোক গিলে মালিয়াত এগিয়ে যায় ওদের দিকে। কিন্তু সামিউল তাকে সরিয়ে আয়েত্রীর দিকে চার্জার ফ্যান চালিয়ে দেয়।
"আপনারা প্লিজ ভীড় করবেন না। উনাকে একটু সময় দিন। কয়েক মূহুর্ত,উনি নিজেই আপনাদের কাছে আসবে। প্লিজ।"