পরদিন অধরার কোনো ক্লাস ছিল না তাই সে আর ঊষা কেনাকাটা করতে গিয়েছে। তাদের ভিন্ন চয়েসের একটা ফয়সালা বের করা হয়েছে। গত রাতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা এমন একটা শাড়ি কিনবে যেটায় তাদের দুইজনের পছন্দের রঙ একসাথে থাকে। অর্থাৎ নীল এবং হলুদ আছে এমন একটি শাড়ি তারা খুঁজে বের করল। আর বাকি যা যা দরকার ছিল তা সব কিনে তারপর বাসায় চলে গেলো।
-অ্যাঁই অধরা, কালকেই তো আমার বাসায় যাবি। ২ দিন পর আপুর বিয়ে। তুই সব কিছু ঠিক ঠাক গুছিয়ে নিয়েছিস তো?
-নিয়েছি।
-আমার ভাই তো হালকা নীল পাঞ্জাবী পড়বে। কত বললাম হলুদ পড়তে। শুনলই না।
-তার যেটা ভাল লাগে সেটাই তো পড়বে, তাইনা? আমরাও তো আমাদের পছন্দের কাপড় পড়ছি।
-তা ঠিক। তবে আমার তো হলুদই ভালো লাগে। ওহ তোর চোরটা শুনলাম নীল পাঞ্জাবী পড়বে।
-চোর? সেটা কে আবার?
-আরেহ, তোর মায়ের আদর চুরি রে যেই চোরটা। তুই তো সবসময় চোর বলিস ওকে।
অধরা আড়চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,
-তুই ওকে ওখানেও আসতে বলেছিস?
-হুমম, বলেছি। সে তোর শত্রু হলেও আমার বন্ধু। তাই তাকে বলেছি।
-উফফ। যত্তসব ঝামেলা।
-আচ্ছা এবার বাদ দে তো। শুন, আমি আজ যাই। তুই কাল ক্লাসের পর আমার সাথে এসে পড়িস বাসায়।
-ঠিক আছে।
রাতে খুব জলদিই ঘুমিয়ে পড়েছিল অধরা। পরদিন সকালে ক্লাস করে ঊষা অধরাকে নিয়ে চলে যায় তার বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখে নানা আয়োজন। আজ উর্মি আপুর গায়ে হলুদ। ছোট করে একটি স্টেজ সাজিয়েছে ওদের বাড়ির আঙিনায়। ঊষার বাবা অনেক রাগি। কিন্তু সন্তানের খুশির জন্য যেকোনো ইচ্ছা হোক না কেন সেটা সে নিজের জীবন বাজি রেখে হলেও করতে রাজি আছে। তাই বাড়িটা যেভাবে সাজানো হয়েছে পুরোটাই উর্মি আপুর পছন্দের রং, ফুল আর যাবতীয় জিনিস দিয়ে। কিন্তু ঊষা আর তার ভাই উৎসবের মনও খারাপ হতে দেয়নি কারণ ঊষা উর্মি আপুর বিয়ের দিন তার মন মত সব কিছু সাজাবে। আর উৎসব বৌভাতের দিন সাজাবে সব।
YOU ARE READING
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...