পরদিন সকাল ৮ টায় ঊষারা আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। আজ রাস্তায় জ্যাম ছিলনা বলেই ১ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। ১ ঘন্টাও না, আরও কম হবে।
আজকের সব অ্যারেঞ্জমেন্ট উৎসব করবে। অর্থাৎ গায়ে হলুদের অ্যারেঞ্জমেন্টের ক্রেডিট ঊষার ছিল আর বিয়ের দিনের অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্ব উৎসবের। ঊষার বাবা বলেছিল কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে কিন্তু ঊষা বলেছে বাসায়ই করবে।
আজ ঊষার বিয়ের দিন। দুপুরের একটু আগেই ঊষা পারলারে চলে গিয়েছিল সাজার জন্যে। অধরার এত সাজগোজ ভালো লাগেনা তাই সে সিদ্ধান্ত নিল ঘরে বসেই হালকা সাজবে। অধরা আজকে একটা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়বে। হালকা গোলাপি শাড়িতে তাকে গোলাপি রঙের ডালিয়া ফুলের মত দেখাবে।
ঊষা পারলার থেকে বিকেল ৪ টায় ফিরে এলো। কথা ছিল তাসরিফরা আসবে ৫ টায়। কিন্তু তাসরিফ বলেছে আগেই চলে আসবে। তাই তারা ৪:৩০ এর মধ্যেই চলে এসেছে ঊষাদের বাসায়। ৬ টার মধ্যে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
ঊষার যাওয়ার সময় এলে সে অধরাকে ধরে কান্না শুরু করে।
-এই পাগল কানছিস কেন? তুই কি আমাদেরকে সারাজীবনের জন্য রেখে চলে যাচ্ছিস?
অধরা ঊষাকে শান্তনা দিল। অধরা নিজেকে অনেক সামলে রেখেছে। তার খুব কানতে মন চাচ্ছে কিন্তু সেই কান্নাটা সে বুকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। ঊষা চলে গেলে অধরা তাদের বাসায় অন্তুর বাইকে করে ফিরে আসে। অধরার বাবা মা গাড়ি ভাড়া করে বাসায় চলে গেছে আগেই। তাই অধরাকে অন্তুর সাথে যেতে হয়েছে।
রাতের আধারে অন্তু বাইক চালাচ্ছে। রাস্তায় কেউ নেই। আছে শুধু স্ট্রীট ও বাইকের লাইট, নীরব পরিবেশ আর অন্তু ও অধরা। অধরা একটু দূরে বসে ছিল। হাতটা শুধু অন্তুর কাঁধে। অধরা যে অন্তুকে স্পর্শ করেছে এই ধ্যান নেই তার। ঊষার জন্য তার মন খারাপ। ঊষাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অধরার কোনো কিছুই খেয়াল ছিলনা। অন্তু হঠাৎ কষে ব্রেক দেয়। ওরা ছিল একটা ছোট ব্রিজের উপর। নিজেকে সামলাতে না পেরে অন্তুকে শক্ত করে চেপে ধরে যাতে পড়ে না যায় বাইক থেকে।
YOU ARE READING
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...