পার্ট-১৩

46 14 2
                                    

কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অন্তুর চাচাতো ভাই ফাহিম এলো। বাইকের চাবিটা অন্তুর হাতে দিয়ে দিল।

-এই নে ভাইয়া তোর বাইক।

-কিরে ফাহিম কি অবস্থা তোর?

-এইতো চলছে ভাইয়া। আরে অধরা আপু কেমন আছ তুমি?

অধরা হাসি মুখে উত্তর দিল,

-এইতো ভালো আছি ভাইয়া। কতদিন পর দেখলাম তোমাকে। রুজিনা আন্টির শরীর ভালো আছেতো?

-আছে। একটু সুস্থ আগের থেকে। আগেতো খেতে পারতোনা ঠিক মত। বাবার মৃত্যুর কষ্টটা হয়ে কাটিয়ে উঠছে ধিরে ধিরে।

অধরা ফাহিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। অন্তু তার দিকে তাকিয়ে ছিল।

ফাহিম আবার বলে উঠলো,

ভাইয়া তোরা বাইকে চলে যা। আমি তোদের ব্যাগ সিএনজিতে করে নিয়ে আসছি।

এই বলে একটা সিএনজি ঠিক করে ফাহিম চলে গেলো ব্যাগ গুলো নিয়ে।

কিছুক্ষণ পর তারা বাইকে করে রওয়ানা হলো। ওরা কেউ কথা বলছেনা। দুজনই চুপ।

অধরা মেয়েটা খুব মায়াবী বটে। যখন সে ক্লাস নাইনে পড়তো তখন থেকে ফাহিমকে চিনে। একদিন অধরা আম্বিয়া আন্টির বাগানের গাছে পানি দিচ্ছিল। হঠাৎ ফাহিম রুজিনা আন্টিকে অন্তুদের বাসায় নিয়ে এলো টানতে টানতে। নিষ্প্রাণ ও পলকহীন চোখে চেয়ে ছিলেন আন্টি মাটির দিকে। যেন এই মাত্রই অনেক বড় একটা ধাক্কা খেল।

ফাহিম ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

-চাচি, আব্বু অ্যাকসিডেন্ট করেছে।

তখন ফাহিম ক্লাস ফাইভে এ পড়তো। সুন্দর ফুটফুটে সেই চেহারাটায় এভাবে কান্না দেখে অধরার মায়া হলো।

আম্বিয়া আন্টি শুনে বলল,

-বলো কী? কিভাবে? কোথায় আছে এখন? হাসপাতালে নিয়েছ?

রুজিনা আন্টি বলল,

-নিতে নিতেই মারা গেছে।

-এখন কোথায় আছে লাশ?

-হাসপাতালেই। ভাবী, আমাদের হাতেও এই মুহুর্তে টাকা নেই যে ওর বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাব। কি করবো বুঝতে পারছিনা।

বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবোWhere stories live. Discover now