সকালে রেডি হয়ে আগের মতই অধরার সাথে কথা না বলে অন্তু চলে যায় অফিসে।
অন্তুর আজকে মনটা একটু ভালো। অফিসের কাজ কম ছিল আর এই বছরটা অনেক লাভ করেছে। মনে করেছে আজ অধরাকে সারপ্রাইজ দিবে। অধরার জন্যে একটা শাড়ি নিল সে।
রাগ থাকা বা কথা না বলা সত্ত্বেও অধরা প্রতিদিন অন্তুকে পানি দেয় অফিস থেকে আসার পর। আজ অন্তু বাসার সামনে এসে অনেকবার কলিং বেল টিপলো, সাড়া পেলো না। ভাগ্য ভালো অন্তুর কাছে অতিরিক্ত চাবি ছিল। দরজা খুলে সে ঘরে ঢুকলো। অধরার প্রতি রাগ কমতে না কমতেই আবার বেড়ে গেলো।
সোফায় বসে গলার টাইটা একটি ঢিল করলো। পিপাসা পেয়েছে অন্তুর। মৃদু স্বরে ডাকলো,
-অধরা?
সাড়া নেই।
এবার আরও জোড়ে ডাকলো,
-অধরা?
অন্তুর রাগ বেড়েই যাচ্ছে। অনেকবার ডাকলো চেঁচিয়ে কিন্তু সাড়া পেলো না।
অন্তু ভাবলো নিজের বাসায় গেছে হয়তো। আসুক আজ, খবর আছে ওর।
অন্তু রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে পানির বোতল নিয়ে পানি খেলো।
দরজা লাগিয়ে সে অধরাদের বাসায় গেলো। কলিং বেল বাজিয়ে সাড়া পেলো না।
লিলি আন্টিকে ফোন দিল, জানতে পারলো লিলি আন্টি তাঁর দোকানে আছে। অধরার বাবাও নাকি ফেরেনি বাসায়।
অন্তু ঊষাকে ফোন দিল, ঊষাও জানেনা অধরা কোথায়।
অন্তু বাসায় ঢুকলো জলদি। বাসায়ই খুজলো অধরাকে। কারণ সে বুঝে গেছে। ওর বাবা মা বাসায় নেই, একা যেয়ে তার ভালো লাগবেনা। ঘরেই আছে হয়তো ইচ্ছে করেই অন্তুর কথার সাড়া দিচ্ছিলনা।
অন্তুর রুম তার বাবা মার রুম সব জায়গায় খুঁজে নিল। কোথাও নেই। শুধু বাকি আছে গেস্ট রুম, যেখানে অধরা রাতে ঘুমায়।
গেস্ট রুমেও নেই অধরা।
তারপর সে কি মনে করে নিজের রুমে গেলো। বাথরুমের দরজা খোলার চেষ্টা করলো। ভেতর থেকে বন্ধ।
অন্তু দরজা ধাক্কাল।
-অধরা? তুমি কি ভেতরে? অধরা সাড়া দাও?
YOU ARE READING
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...