পার্ট-২৫

58 11 4
                                    

পরদিন সকালে একটু দেড়িতে অধরার ঘুম ভেঙেছে। চোখ খুলে দেখল অন্তু তার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।

অধরা জলদি উঠে বসে পড়লো। চোখের সামনে আসা কিছু চুল কানের পিছনে ঠেলে দিয়ে নিচে তাকালো। লজ্জা পেয়েছে অধরা।

লিলি আন্টি ঘরে ঢুকল,

-কিরে? আমার ছোট্ট রাজকুমারীটার ঘুম এখন ভেঙেছে?

-উফফ, মা আমি এখন আর ছোট্ট নেই। বড় হয়েছি।

পাশ থেকে অন্তু বলল,

-হ্যাঁ আজ মেয়ে থেকে মহিলা হয়ে যাবে।

অধরা সোফার একটা কুশন নিয়ে অন্তুর মুখের দিকে ছুড়ে ফেললো। অন্তু ধরে ফেললো। তারপর মার দিকে তাকিয়ে বলল,

-মা, আমি কিন্তু ওকে এখানেই খুন করবো।

-হ্যাঁ করো। তোমার যদি এত বিধবা হওয়ার শখ থাকে।

অধরা চেঁচিয়ে উঠলো,

-মা!!!

লিলি আন্টি হেসে বলল,

-আচ্ছা তুই উঠে হাত মুখ ধুয়ে নে। নাস্তা খেয়ে নে।

অধরা লম্বা হাই তুলে চোখ কঁচলালো। অন্তু হাত গুটিয়ে রেখে মুখে মৃদু হাসি নিয়ে অধরার দিকে চেয়ে ছিল। অধরা হেলে দুলে উঠে গেল বাথরুমে।

বাথরুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুলগুলো ঠিক করছিল সে। হঠাৎ তার হাতের মেহেদির দিকে চোখ গেল। কিছুক্ষণ মেহেদির দিকে তাকিয়ে থাকার পর সে একটা জিনিস আবিষ্কার করল। তার হাতে "অন্তু" লেখা। গত কালকের কথা মনে পড়ল তার। ওর হাতে মেহেদি দেওয়ার সময় অন্তু তার চুল আঁচড়ে দিচ্ছিল। সে ঘুমিয়ে পড়েছিল, হয়তো তখনি তাসফিয়া বা তাসনুবা কেও একজন লিখে দিয়েছে। গত কালকের এই দৃশ্যটা মনে পড়তেই মুখে মৃদু হাসি চলে এলো।

হঠাৎ বাথরুমের দরজায় টোকা পড়লো।

-কিরে অধরা? এতক্ষণ ধরে কি করিস? ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি বাথরুমে? কাল রাতে ঘুমাতে পারিসনি নাকি? জলদি আয় নাস্তা খেতে, তোর জন্য আমরা বসে আছি।

-আচ্ছা আসছি।

ফ্রেশ হয়ে অধরা চুল আঁচড়াচ্ছিল নিজের রুমে। ওর রুমের সামনে এসে দরজার চৌকাঠে হেলান দিয়ে অন্তু দাঁড়িয়ে অধরাকে দেখছিল। হাত গুটিয়ে রেখেছিল। মুখে দুষ্টু হাসি।

বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবোHikayelerin yaşadığı yer. Şimdi keşfedin