পরদিন সকালে রিশা চলে যাওয়ার পর অধরা তার মায়ের কাছে গেল।
-মা?
-বল। কাল তো কথাই বললি না তোর ডেট নিয়ে।
-মা জানিনা আমি কি করবো।
-কি করবি মানে? বিয়ে তোর হবে, তুই বুঝিস না তুই কি করবি?
-তোমরা যা বল তাই হবে।
-তার মানে তুই রাজি?
-ভালো যখন বাসি, বিয়ে করতে আপত্তি কি?
লজ্জার হাসি দিল অধরা।
-কিন্তু মা? বাবা যদি রাজি না হয়?
-হবেনা কেন? তোর বাবা জানে।
অধরা ভড়কে গেল,
-হ্যাঁ? তু...তুমি বলে দিয়েছ?
-হুমম ডেটে যাওয়ার আগের দিনই। নাহলে কি তোর বাবা তোকে বাহিরে যাওয়ার পারমিশন দিতো?
-মা? বাবা রাগ হয়নি তো?
-সেটা তুই-ই জিজ্ঞেস কর তোর বাবাকে।
-আচ্ছা বাসায় এলে জিজ্ঞেস করবোনে।
আজ অধরার বাবা একটু আগেই বাসায় ফিরেছে। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে তিনি যখন বসে খবরের পত্রিকা পড়ছিলেন তখন অধরা ধিরে ধিরে যেয়ে তার বাবার পাশে বসলো।
-বা...বাবা?
-বল মা।
-ইয়ে মানে...বাবা তুমি কি আমার উপর রাগ করে আছ?
-নাতো মা কেন করবো রাগ? আমার এই ফুটফুটে মেয়েটার উপর কি রেগে থাকা যায়?
-বাবা...অন্তুর ব্যাপার নিয়ে।
কিছুক্ষণ চুপ থাকলো ফারদিন আঙ্কেল। অধরার ভয় হচ্ছিল। তার কোনওদিনও এভাবে ফারদিন আঙ্কেলের সামনে ভয় লাগেনি।
জোড়ে নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি,
-শুন মা, তুই বড় হয়েছিস। ভালো মন্দ বুঝিস। তোর জীবন সঙ্গি তুই বেছে নিবি। আমরা শুধু যাচাই করব যে ছেলেটা ভালো ও ভদ্র কিনা, আর তোকে খুশি রাখবে কিনা। যেখানে অন্তুর কথা উঠেছে, সেখানে আমি চোখ বন্ধ করে তোর হাত অন্তুর হাতে দিতে পারব আমি। অন্তু আমার বন্ধুর ছেলে। বন্ধু নয় ভাই বললেই মানায় বেশি। ১৫ বছর ধরে চিনি তুহিনকে আমি। আর এটাও জানি ও তোকেও খুব আদর করবে ওর ছেলের বউ হলে। ছেলের বউ নয়, মেয়ের মতই রাখবে। অন্তুকেও চিনি আমি, সে কখনই কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। সৎ ছিল সবসময়। তোর মা তো ওকে নিজের ছেলেই ভাবে। ও আমার অনেক কাজে সাহায্য করেছে আর অনেক বিপদেও রক্ষা করেছে।
KAMU SEDANG MEMBACA
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romansa-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...