সবাই বাস থেকে বের হয়ে যার যার ব্যাগ নিয়ে নিল। অন্তু অধরার ব্যাগটা এনে দিল লাগেজ কম্পার্টমেন্ট থেকে। তারপর তারা সবাই বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছু পথ হেটে একটা তেমাথায় চলে এলো। সেখান থেকে ওরা চাঁদের গাড়ি ভাড়া নিল থানচির উদ্দেশ্যে।
ভ্রমণকারীদের এক পর্যটনস্পট থেকে অন্য পর্যটন স্পটে যাতায়াতের জন্য যানবহন প্রয়োজন। বান্দরবানের রাস্তাগুলো আঁকাবাঁকা। কখনো কখনো পাহাড়ের উপরে যায় কখনো কখনো নিচে। জীপ গাড়িগুলো পাহাড়ি এলাকায় যাতায়াতের জন্য অনেক উপযুক্ত। তাই এগুলো জীপ গাড়িকে ওখানের স্থানীয়রা চাঁদের গাড়ি বলে।
বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড থেকে থানচি যেতে ৩-৪ ঘন্টা লাগে। এক গাড়িতে নয়জন বসতে পারে তাই ওদের দুইটা গাড়ি নিতে হয়েছে। অন্তু সাদিদকে অনেক রিকুয়েস্ট করছিল যাতে হৃদিকে ওর সাথে না দেয়। তাই সাদিদ প্ল্যান করে আগে তিহাম ভাইয়ের সাথে আসা ৫ জনকে আগে একটা গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। তারপর সেখানে হৃদি, তাসনুবা, তাসফিয়া, তিহাম ভাই ও কিরণকে উঠিয়ে দিয়েছে। তারপর ঊষা ও তাসরিফ ভাই, সাদিদ ভাই ও রিশা, অধরা ও অন্তু একটায় উঠেছে। তাদের সাথে আরও ৩ জন অচেনা লোক উঠেছে।
রাস্তায় তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাচ্ছে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা, চার পাশে ঘন সবুজের গাছপালা। দূরে কুয়াশা, এসব দেখে মনটাই ভরে যায়।
থানচিতে এসে ওরা মসজিদ রোডের থানচি কুটিরে ৩-৪টা রুম ভাড়া নিল। সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আর কোথাও যেতে পারেনি ওরা।
রাতের বেলা খাওয়া শেষে অধরা রাতের প্রকৃতি উপভোগ করতে বারান্দায় গেল। চাঁদের আলোয় দূরের পাহাড়গুলোকে ছায়া মনে হচ্ছে। শীতকালের হালকা ঠান্ডা বাতাসে অধরার শরীর কাপিয়ে তুলল।
পেছন থেকে এসে অন্তু তার জ্যাকেটটা অধরাকে দিল।
-নাও, রাতে ঠান্ডা বাড়বে। তুমিতো শীত থেকে বাঁচার জন্য কিছুই পরোনি।
-থ্যাংকস। খাওয়ার পর আর শীত লাগছিলনা। তাই পড়িনি। তুমি ডিনার করেছ?
ESTÁS LEYENDO
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...