অন্তু তার মার কাছে ২ দিন সময় নিয়ে সারা রাত খালি এই বিষয়েই চিন্তা করলো। সে যদি রাজি হয় আর হৃদিদের বাসায় যায় প্রস্তাব নিয়ে, তাহলে এতে একটা সুবিধা আছে। তা হলো অধরা যদি খুবই চায় আমাকে, সে আমাকে এসে বলবেই বিয়ে ভাঙতে। কারণ কেউ তার ভালোবাসার বিয়ে দেখে সহ্য করতে পারবেনা। আর অসুবিধা হলো দুইটা। এক হলো সে রাজি হওয়ার পর হৃদিকে কীভাবে প্রত্যাখ্যান করবে? আর আরেকটা অসুবিধা হলো, যদি অধরা সব কষ্ট মেনে নিয়ে চুপ করে থাকে? তখন যদি সত্যিই হৃদি আর অন্তুর বিয়ে হয়ে যায়? অন্তু খুবই চিন্তিত হয়ে আছে।
সে এবার সব হাল ছেড়ে দিল। ভাবলো যে সে আর এটা নিয়ে চিন্তা করবেনা। যা হবার হবে। কোনো রকম চিন্তা করে পরে হৃদিকে না করে দেওয়া যাবে। অধরাকে পাওয়া হলো এখন অন্তুর লক্ষ্য।
ঠিক দুইদিন পরই অন্তু অন্তুর মা কে বলল হৃদিদের বাসায় যেতে।
সেখানে যেয়ে হৃদির বাবা মাও রাজি হয়ে গিয়েছে। সেদিন হৃদি একটা নীল শাড়ি পড়েছিল। হৃদির পেট হালকা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু অন্তুর কাছে হৃদিকে এতটাও আকর্ষনীয় মনে হলো না। কারণ অন্তুর মন শুধুই অধরার ভাবনা নিয়েই ঘিরে আছে। হৃদির জায়গায় অধরা থাকলে সে তার চোখকে দমিয়ে রাখতে পারতোনা। অন্তু বেশি তাকায়নি হৃদির দিকে। শুধু হৃদি বার বার তাকাচ্ছিল অন্তুর দিকে।
হৃদির বাবা বলল,
অন্তু, হৃদি, তোমরা চাইলে একটু আলাদা কথা বলে আসতে পারো।
অন্তু বলল,
-না না আঙ্কেল আমরা ঠিক আছি। আসলে ভার্সিটিতে তো আমাদের সবসময়ই কথা হয়, আর এমনিতেও ফোন নাম্বার আছে। তাই আর কথা বলা লাগবেনা। আর আমরা তো আর আরেঞ্জ ম্যারেজ করছিনা। অবশ্য লাভ ম্যারেজও না, বলা যায় পছন্দের বিয়ে।
হৃদি এই সুযোগ হাতছাড়া করলো না,
-তাও ঠিক, বাবা। কিন্তু এমনিতেই ওকে আমার ঘরটা দেখিয়ে আনি। আর কিছু টুকিটাকি কথা ছিল আরকি।
হৃদির বাবা বলল,
-ঠিক আছে যাও।
হৃদি অন্তুকে উপরের ঘরে নিয়ে গেল,
YOU ARE READING
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...