পার্ট-১৫

50 14 1
                                    

পরদিন সকালে অধরার ঘুম ভাঙ্গার কিছুক্ষণ পরেই অধরার বোধ শক্তিতে এসে বুঝতে পেরেছিল যে তার ফোনটি তার সাথে নেই। নিচে এসে মা কে চেঁচিয়ে ডাকলো,

-কি হয়েছে এত চিল্লাছিস কেন?

-আমার ফোন দেখেছ তুমি?

-নাতো। দেখ কোথাও হারিয়ে এসেছিস নাকি।

হঠাৎ অন্তু ঘরে ঢুকল।

আর অধরার মনে পড়ে গেল কাল রাতের কথা। অধরা তাকে কিভাবে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। তার স্মৃতি আরেকটু পিছন দিকে যেতে শুরু করল। হঠাৎ মনে পড়ল অন্তুর কাছে তার ফোনটা ছিল। ওর হাতে জায়গা ছিলনা বলে অন্তু নিজের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিল।

অন্তু লিলি আন্টিকে বলল,

-আন্টি, মানুষ যদি ভুলে যায় সব কিছু কীভাবে তার জীবন যাপন করবে?

-কেন রে? কি হলো? নিশ্চয় অধরা ভুলে গেছে কিছু?

-সে-ই তো ভুলে গেছে। তার ফোনটা যে আমার কাছে ছিল তার কি কোনো খেয়াল আছে? কাল রাতে আম্মুর সাথে কথা বলার পর ওকে ফোনটা দিতাম কিন্তু ওর হাতে জায়গা ছিলনা বলে আমার পকেটে রাখতে হয়েছে।

-এই মেয়েটাকে নিয়ে যে কোথায় যাব।

অন্তু বিড়বিড় করে বলল,

-আমার হাতে দিন।

-হ্যাঁ? কিছু বললে?

-হ্যাঁ? না না লিলিমা। আসলে বলছিলাম কি ওকে বলে দিয়েন ওর ফোনে ঊষা মেসেজ দিয়েছিল। কি মেসেজ দিয়েছে তা দেখিনি শুধু ঊষার নামটা দেখেছি।

অধরা বলে উঠলো,

-মা উনাকে বল, উনি যে এত বড় সাধু বাবা, কিছুই ভোলেনা। তাহলে কাল রাতে উনি যখন আমাদের বাসায় ভোজন করতে এসেছিল তখন নিয়ে এলোনা কেন?

-আরে লিলিমা, আসলে মনে ছিলনা আরকি দিতে।

-মা, উনাকে বল বেশি ড্রামাবাজি না করতে। এত নায়ক হতে হবেনা।

-লিলিমা, উনাকেও বলে দিয়েন যাতে বেশি ভাব নিয়ে না থাকে। মেয়েদের এভাবে মানায় না।

লিলি আন্টি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

-তোদের দুইজনকে যে কীভাবে মিল করবো আর কবে যে তোরা বন্ধুসুলভ ব্যবহার করবি আল্লাহ মাবুদ ছাড়া কেও জানেনা।

বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবোWhere stories live. Discover now