অন্তু শুয়ে আছে। সে আর সাদিদ ভাই ছাড়া সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। সাদিদ ভাই ফোন টিপছে।
অন্তু অধরার কথা ভাবছে এখন। যখন সে অধরার সাথে ড্যান্স করছিল, এত কাছাকাছি এসে তার ইচ্ছা করছিল অধরার নরম গোলাপি ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট স্পর্শ করতে। কিন্তু সে নিজেকে দমিয়ে রেখেছিল। সে অধরাকে ভড়কে দিতে চায়না।
কিছুক্ষণ পর দরজায় একটু টোকা পড়লো। মনে হচ্ছে সে খুব সাবধানে টোকা দিচ্ছে, যাতে যারা ঘুমাচ্ছে তাদের ঘুম ভেঙ্গে না যায়।
সাদিদ গিয়ে উঠে দরজা খুলল। পিছন থেকে অন্তু অধরাকে দেখে উঠে বসলো।
সাদিদের পাশ কাটিয়ে অন্য কোথাও না তাকিয়ে সে সোজা অন্তুর সামনে যেয়ে দাড়ায়। তারপর, অন্তুর হাত ধরে তাকে উঠিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
-কি হলো রে অধরা? অন্তুকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস।
একটু কঠোর স্বরেই বলল,
-কথা আছে।
অধরা অন্তুকে নিয়ে একটু দূরেই আসলো। ছোট খাটো একটা বনের মত জায়গায়। সে অনেক জোড়েই অন্তুকে নিয়ে এসে দাড় করালো।
অন্তু একটু ভয়ে ভয়ে ছিল। তবুও সে পরিবেশটাকে স্বাভাবিক করার জন্যে বলল,
-ক...কি হয়েছে? এভাবে এখানে নিয়ে আসলা যে? আমাকে কী অপহরণ করতে চাও?
-আমি তোমার আর হৃদির ব্যাপারে সব জানি।
-মানে? কি জানো?
-যে তুমি হৃদিকে কতটা ভালোবাসো।
-কি বলছ এসব? আমি হৃদিকে কেন ভালোবাসতে যাব? আমি তো.......
অধরা অন্তুকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
-আর লুকাতে হবেনা অন্তু। আমি কাওকে কিছু বলবনা। আর আমি যে তোমাকে ভালোবাসি বলেছি তা ভুলে যেয়ো।
-কিন্তু...
-কোনো কিন্তু না। অন্তু, আমি চাইনা তুমি হৃদিকে কষ্ট দাও। তুমি ওকে ভালো রেখ। হাসি খুশি রেখ।
অন্তুর খুব কষ্টও হচ্ছে, খুব রাগও হচ্ছে। অধরা তাকে কিছু বলারও সুযোগ দিচ্ছেনা। এই মুহুর্তে তার অধরার সামনেই থাকতে মন চাচ্ছেনা। মনে হচ্ছে অন্তু এখনি সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদে দিবে। কিন্তু অন্তু ছেলে মানুষ। সে একটা মেয়ের সামনে কাঁদলে মেয়েটাও ভেঙ্গে পড়বে। শুধু সে তার রাগান্বিত ভাবটা রেখেছে।
YOU ARE READING
বুঝিনি ভালোবেসে ফেলবো
Romance-আম্মু? এই লোকটার কি নিজের ঘর নেই? যখন তখন এখানে এসে পড়ে। আর হ্যাঁ লোকটার কি হাত নেই? তোমার কেনো খাইয়ে দিতে হবে? আমাকে তো চার মাসে একবারো খাইয়ে দাওনা। আর মা, তুমি জানো ও আজকে আমার চকোলেট মিল্ক খেয়ে ফেলেছে। অন্তু ছেলেটা দুষ্টু। অনেক ফাজলামো করে। তা...