গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-23)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
এখন আমি মীমের নিশ্বাসের উষ্ণতা স্পষ্টভাবে অনুভব করতেছি।আমার ঠোঁট মীমের ঠোঁটের সাথে একদম ছুই ছুই অবস্থা।আমাদের দুইজনের ঠোঁটের মাঝে মাত্র একচুল পরিমান জায়গা আছে।আমিও আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
.
এদিকে আয়েশা আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ছাদে চলে আসলো।
.
যখনই আমাদের দুই জনের ঠোঁট মিলিত হবে ঠিক সেই সময় কারো কন্ঠে আমি আর মীম দুজন নিজেদের ছাড়িয়ে দুই দিকে ঘুড়ে গেলাম😅
.
আয়েশা-উফ সরি,সরি🙈। ভুল সময়ে চলে আসলাম🙈
.
আয়েশা আমাদের দুজনের এই অবস্থা দেখে নিজেও হালকা লজ্জা পেল।আর মীম তো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
.
আমি-আরে না না।সমস্যা নাই।কি হইসে বল😅(নিজেকে ঠিক করতে করতে)
আয়েশা-সব প্রস্তুত তোরা নিচে আয়😆
আমি-তুই যা আমরা আসতেছি😉
.
আয়েশা নিচে চলে গেলো।
.
আমি আর মীম কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।আমারো প্রচন্ড লজ্জা লাগতেছিল।মীমের দিকে তাকাতেও পারছিলাম না।কেউ কারো সাথে কথা বললাম না।একটু পরে মীম নিজেই নীরবতা ভাঙলো।😊
.
মীম-চলো নিচে যাই
আমি-হ্যা চলো।
.
নিচে গিয়ে দেখি সবাই আছে।
.
আমি-এত তাড়াতাড়ি সব রান্না শেষ?😳
ফারিয়া-বিকাল থেকে আয়েশা আর আমি এসব করতেছি।আর আপনি তো নিজের রানীকে নিয়ে ঘুড়তে গেছিলেন, আসার কোনো নাম নাই😏
আমি-না এসেই ভালো করেছি তাছাড়া আমার পরীকে দিয়ে তোমরা রান্না করাতে😁
আয়েশা-ভালোবাসার যেন নদী বয়ে যাচ্ছে😒
আমি-কেন তোর কি হিংসা হইতেছে নাকি?😛
আয়েশা-হিংসা তো হবেই।প্রথম দিনেই ছাদে যে অবস্থা😆
ফারিয়া- কেন কি হইসে 🤔(আয়েশাকে উদ্দশ্য করে)
মীম-তোর এতোকিছু শুনতে হবে কেন?😬(রাগী গলায়)
ফারিয়া-বুঝতে পেরেছি😏বান্ধবী আমার ডুবে ডুবে জল খাইতেছে🤣
মীম-ফাযিল বেডি😄(মীম লজ্জা পেল)
ফারিয়া-কিরে তোর হাতের আংটি তো অনেক সুন্দর😯(মীমকে উদ্দেশ্য করে)
আয়েশা-হ্যা সকালে তো দেখি নাই।কিরে কখন কিনে দিলি?☺️(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি-আজকে কিনি নাই তো
আয়েশা-তাহলে?🤔
আমি-প্রথমবার এই ম্যাডামকে যেই আংটি দিয়ে প্রোপোজ করছিলাম এইটা সেই আংটি☺️
আয়েশা-কিপ্টা কোথাকার।নতুন একটা কিনতে পারলি না?😒
আমি-ম্যাডাম নিজেই এটা যত্ন করে রাখছিলো।আমি কি করবো।😒
ফারিয়া & আয়েশা- ওরে ভালোবাসা রে।পুরাই লাইলি-মজনু😆
আমি-আমরা (লিআস-মীম) ঠিক আছি।আমাদের ভালোবাসা আরো বেশি।তাই না ম্যাডাম?😘(মীমকে হালকা নারা দিয়ে)
মীম-যাহ শয়তান🙈
.
এরপর সবার সাথে আড্ডা দিলাম।
.
রাতে খাওয়া -দাওয়ার পরে ফিরে যাওয়া নিয়ে হলো বিপত্তি।
.
আমি-তোরে অনেক ধন্যবাদ ফকিন্নি,অনেক দিন পরে এমন পার্টি দিলি😁(আয়েশাকে উদ্দেশ্য করে)
আয়েশা-ওই তোরে কতবার বলছি আমারে ফকিন্নি বলবি না😬(রেগে)
আমি-আমার তো অনেক ভালো লাগে বলতে😜
মীম-আর বলবা ফকিন্নি?🤨(মীম আমার কান ধরছে জোরে)
আমি-নাহ আর বলবো না।আমার কান ছেড়ে দেও,ব্যাথা লাগতেছে আমার😖
মীম-মনে যেন থাকে😏
.
আমার অবস্থা দেখে সবাই হাসতে লাগলো।😂
.
নাফিস-লিআস তুমি শেষ🤣
আয়েশা-এরপর তুই আবার ডাকলে,আমি ভাবীরে বলে দিবো।তারপর বুঝবি মজা😆
আমি-ভাবী পাইয়া আমারে ভুইলা গেছো না চান্দু?তোরে কিন্তু আমি সাহায্য করছি।মনে রাখিস😎
আয়েশা-তোরেও আমি সাহায্য করছি,তাই হিসাব বরাবর।😏
সুমন-রাত তো ভালোই হইসে এখন যাওয়া উচিত
ফারিয়া-হ্যা সেটাই ভালো হবে☺️
আমি-চলেন মহারানী ভিক্টোরিয়া।আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি😊
মীম-দরকার নাই।তুমি আমাকে পৌছে দিতে যাবে তারপর আবার হোস্টেলে ফিরে আসবে।অনেক রাত হয়ে যাবে।
আমি-সমস্যা নাই ম্যাডাম☺️
ফারিয়া-এই চলো তাহলে।আমরা যাই(😉রকিকে উদ্দেশ্য করে)
রকি-হুম চলো😊
মীম-এই আমরা মানে কি?আমার কি হবে শুনি?😑(ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে)
ফারিয়া-তোকে একজন রেখে আসতে চায় তার সাথেই যেতে পারিস আর না হলে এখানেই থাক।কালকে সকালে যাস😏
আমি-ওদের একটু আলাদা সময় দাও,সারাদিন আমাদের সাথে আছে।একটু আলাদা করে কথাও বলতে পারে নাই😁(রকিকে চোখ টিপ দিয়ে)
ফারিয়া-কিযে বলেন না ভাইয়া😅(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি-থাক কিছু বলতে হবে না,তোমরা যাও আমি ম্যাডামকে নিয়ে আসতেছি😚(ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে)
.
ফারিয়া আর রকি বের হয়ে গেলো।
.
মীম-এখন উঠো।তাছাড়া গাড়ি পাওয়া যাবে না।
নাফিস-আমার বাইক নিয়ে যাও(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি-সমস্যা নাই ভাইয়া😊
নাফিস-শোনো।এত রাতে বাসে উঠা ঠিক হবে না।আবার তুমি একা আসবে,কখন আসবে ঠিক নাই।তখন গাড়ি পেতেও সমস্যা হবে।তারুপর রাতের ঢাকা মানেই আতংক।
আমি-তাহলে আপনি কিভাবে যাবেন ভাইয়া?🤔
আয়েশা-আমার গাড়ি আছে তো।😉
আমি-আর আপনার বাইক কি করবো ভাইয়া?
নাফিস-তোমার কাছে রেখে দিয়ো,কালকে নিয়ে নিবো।
আমি-আচ্ছা ভাইয়া😊
.
নাফিস ভাইয়ার কাছে থেকে বাইক এর চাবি নিয়ে আমি মীম বের হয়ে গেলাম।
.
বাইকে মীম উঠতেই আমাকে জাপটে ধরলো পিছন থেকে।প্রথমবারের মতো অনিচ্ছায় নয়,ইচ্ছা করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
.
আমি-কি ব্যাপার এত শক্ত করে ধরলা কেন?
মীম-কেন তোমার সমস্যা?🤨
আমি-না মানে,আমি তো পালিয়ে যাইতেছি না
মীম-তোমারে পালাইতে দিলে তো 🤨
আমি-যদি কেউ আমাকে ছিনিয়ে নেয়?
মীম-যে চিন্তা করবে তাকেই আমি খুন করে ফেলবো।আর তুই ভুলেও অন্য মেয়ের কথা চিন্তা করবি না।নাহলে তোরে কাচা খেয়ে ফেলবো😤
আমি-আমারো এত তাড়াতাড়ি মরার শখ নাই😅
মীম-ভালো ছেলে😚
আমি-কিন্তু আমি তো ব্যাথা পাইতেছি
মীম-লাগুক ব্যাথা।এইটুকু ব্যাথায় কিছু হবে না😒
আমি-তাহলে কি যাবো?
মীম-যাও তবে যাইতে যেন ১ ঘন্টা সময় লাগে।
আমি-কিন্তু এখান থেকে তোমার হোস্টেলে যাইতে তো সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় লাগবে।🙄
মীম-আমি যেটা বলছি ওইটাই।
আমি-বুঝছি আমার প্রতি আজকে ম্যাডামের ভালোবাসা জন্মাইছে😆
মীম-ওই আগে মনে হয় তোরে ভালোবাসতাম না🤨
আমি-জানি না😁
মীম-তুই জানবিও না।এখন কথা না বাড়িয়ে চল😑
.
আমি বাইক নরমাল ৩০-৪০ স্পিডে চালাতে লাগলাম।আর অলি গলি দিয়ে ঘুড়তে লাগলাম।
.
আমি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।হটাৎ মীম আমার গলা জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখলো।সেটা অনেক আলাদা অনুভুতি।😌সময়টা আমিও উপভোগ করতে লাগলাম।ইচ্ছা হচ্ছিলো মীমকে নিয়ে এভাবেই পারি দেই হাজার হাজার মাইল রাস্তা।
.
আমি মীমকে প্রথমে মানা করলেও এখন নিজেরই ইচ্ছা করতেছে যেন আরো কিছুক্ষন সময় মীমকে নিয়ে বাইক চালাই।
.
কিন্তু রাত হয়ে গেছে অনেক তাই মীমকে নিয়ে হোস্টেলর সামনে গেলাম।
.
আমি-ম্যাডাম পৌছে গেছি😊
মীম-তোমাকে বললাম না ১ ঘন্টা যেন সময় লাগে😬
আমি-ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখো ১ ঘন্টার বেশী হয়ে গেছে😐
মীম-তুমিও নামো
আমি-আমি নেমে কি করবো?🤨
মীম-আগে নামো তারপর বলতেছি😤
আমি-ঠিক আছে।
.
আমি বাইক থেকে নেমে দাড়াতেই মীম আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
.
আমি-এখন কি হলো?🙂
মীম-কোনো কথা বলবা না।আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরো☺️
.
মীমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।দীর্ঘক্ষন ছিলাম।মীম আমাকে ছাড়তেই চাইছিল না।আমি ছাড়াতে চাইলে আরো বেশী শক্তি দিয়ে ধরতেছিল।😌
.
একটা সময় মীম এর শক্ত বাহু বন্ধন হালকা হয়ে এলো।মীম এর চোখের কোণে জল😓
.
মীম-না গেলে হয় না?😟
আমি-এটা লেডিস হোস্টেল ম্যাডাম।তুমি তো আমাকে মাইর খাওয়াইবা😅
মীম-তাহলে আমাকে তোমার সাথে নিয়ে চলো🙁
আমি-এমন ছেলেমানুষী কেন করতেছো বলতো😕
মীম- আমার মনে হইতেছে তুমি আমার চোখের আড়াল হলেই,তোমাকে হারিয়ে ফেলবো😥
.
মীম এর চোখ বেয়ে জল পরতেছে।😢মীম আমার গলা জড়িয়ে ধরলো।আমারো খারাপ লাগলো এটা ভেবে আমি যদি অভিনয় না করতাম তাহলে হয়তো মীমের মানসিক অবস্থা এমন হতো না,এতটা চিন্তা করতো না আমাকে নিয়ে।😩
.
মীমকে আস্তে করে ছাড়িয়ে চোখের জল মুছে দিলাম
.
আমি-এই বোকা আমি হারাবো কেন?☺️
মীম-যদি হারিয়ে যাও😔
আমি-কখনো হারাবো না।আমার মহারানীকে রেখে আমি কোথাও যেতে পারি?গেলে যে আমার মহারানী অনেক রাগ করবে,আর আমাকে অনেক পিটানি দিবে😜😛 (একটু কৌতুক করার মতো করে বললাম)
.
আমার কথার ভঙ্গি দেখে মীম হেসে ফেললো।আমি মীমের কপালে আলতো করে একটা পাপ্পি😘 দিয়ে দিলাম।মীম শিউরে উঠলো।
.
আমি-এখন ভিতরে জান😚
মীম-ঠিক আছে।
আমি-আমি কালকে সকালে আমার বউকে নিতে আসবো😍
মীম-ঠিক আছে জনাব🙊(লজ্জামাখা একটা হাসি দিয়ে)
.
মীম ভিতরে চলে গেলো আর আমি হোস্টেলের দিকে রওনা হলাম।
.
মীম ভিতরে যেতেই দেখে...............
.
এই পর্বটা একটু ছোট হলো,তাই ক্ষমা করবেন।
.
.
সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।আমার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।সবাই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।আমাকে সবাই সাহায্য করবেন যাতে ভালো একটা গল্প আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
.
………...আল্লাহ সবার সহায় হোক…………….
………………..….ধন্যবাদ………………………….
.
.
.