পর্ব-১৯

24 1 0
                                    

গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-19)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
এদিকে আমি হোস্টেলে এসে একটু শুয়ে ছিলাম আয়েশা কল দিল।
.
আমি-কিরে কি হল,কল দিলি যে🤔
আয়েশা-একটা সমস্যা হয়ে গেছে?
আমি-বল কি হইসে🤨
আয়েশ-নাফিস আমার বাসার সামনে এসেছে।আর আমাকে বার বার call দিতেছে।
আমি-আচ্ছা তুই নাফিস ভাইয়াকে বাসার ভিতরে নে।
আয়েশা-তারপর?🤨
আমি-তারপর তুই নিজের ঘরে ready হ।আর আমি আসতেছি।
.
আমি দ্রুত আয়েশার বাসায় চলে গেলাম।গিয়ে দেখি নাফিস ভাইয়া বসে টিভি দেখতেছে।
.
আমি - আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।কেমন আছেন?
নাফিস-ওয়ালাইকুম আসসালাম।ভালো।তুমি কেমন আছো?☺️
আমি-আলহামদুলিল্লাহ।ভাইয়া আয়েশা কই?
নাফিস-ওর ঘরে গেলো। ready হইতে।
আমি-ঠিক আছে ভাইয়া।আমি দেখছি😁
.
আমি আয়েশার ঘরের দিকে যাওয়ার সময় নাফিস ভাইয়া বার বার আমার দিকে তাকাতে লাগলো।🤨
.
আমি-এই তোমার হয়েছে?😏(জোরে বললাম যাতে নাফিস ভাইয়া শুনতে পায়)
আয়েশা-ভিতরে আয়(দরজা খুলে)
.
আমি ভিতরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
.
আয়েশা-কি করতেছিস তুই😐
আমি-চুপ।শোন এখন আমরা বের হয়ে যাবো।
আয়েশা-কিন্তু কোথায় যাবো?🙄
আমি-সেটা পরে দেখা যাবে।এখন চল।আর মনে রাখবি আমরা কিন্তু couple😁
আয়েশা-আমার মনে আছে তোর এতবার বলতে হবে না😒
.
আমি আর আয়েশা নিচে গেলাম।আয়েশা আমার হাত ধরে আছে।আমি তাকিয়ে দেখি নাফিস ভাইয়া আমাদের দিজে তাকিয়ে আছে আর বার বার আমাদের হাতের দিকে দেখছে।
.
আয়েশা-সরি নাফিস।আমি একটু ব্যস্ত তাই তোমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারলাম না😉
নাফিস-তুমি আমাকে আগের মত কল,এসএমএস দেও না।আমি কল দিলেও ১-২ মিনিট কথা বলে রেখে দাও।কারন কি।😟
আয়েশা-কোনাও কারন নাই,কয়েকদিন ব্যস্ত ছিলাম তাই কথা বলতে পারি নাই😏
নাফিস-এতদিন পরে আমি তোমার সাথে কথা বলার জন্য তোমার বাসায় আসলাম আর তুমি চলে যাইতেছো?😧
আয়েশা-শোন আজকে আমি লিআসের সাথে একটা জায়গায় যাবো;সেটা অনেকদিন আগেই ঠিক করা।😏
নাফিস-কোথায় যাবে তোমরা শুনি
আয়েশা-সেটা বলা যাবে না।তাই না লিআস?😁
আমি-ঠিক বলেছো তুমি😗
নাফিস-তোমরা আগে একে অপরকে "তুই" করে সম্বোধন করতা?"তুমি" করে কবে থেকে বলো?😒
আয়েশা-কয়েকদিন আগে থেকে😚(আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিল)
.
নাফিস ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা একদম কালো হয়ে গেছে।বুঝলাম বেচারা অনেক কষ্ট পেয়েছে।
.
আমি-চলো তাহলে যাওয়া যাক(আয়েশাকে উদ্দেশ্য করে)
আয়েশা-হ্যা হলো।আভার দেরী না হয়ে যায়।
আমি-আরে দেরী হবে না।
আয়েশা-তোমার সাথে পরে কথা বলবনি(নাফিস ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে)
.
নাফিস ভাইয়া হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা সেটার সুযোগ না দিয়ে বাহিরে গাড়িতে চরে বসলাম।
.
আমি-ড্রাইভার আংকেল নবীনগর চলেন।
আয়েশা-কেন?ওখানে কেন যাবি?🤨
আমি - স্মৃতিসৌধে যাই না অনেকদিন ধরে।এখন হয়তো গেট বন্ধ কিন্তু তাও চল বাহিরে থেকেই দেখে আসি।
আয়েশা-ঠিক আছে।আংকেল চলেন।☺️
.
ড্রাইভার আংকেল গাড়ি চালাতে লাগলো।লুকিং গ্লাসে দেখলাম নাফিস ভাইয়া গাড়ির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
আমি-ওই দেখ ভাইয়া কেমন করে তাকিয়ে আছে😆
আয়েশা-দেখলাম তো।এটা কি ঠিক হলো?😒
আমি-এটা তো সামান্য একটা ডোজ।চিন্তা করিস না,আমার মনে হয় তোর সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে😌
আয়েশা-মানে?কি বলতেছিস তুই?
আমি-মানে হলো এরপর থেকে তুই শুধু আমার জন্য অভিনয় করবি।কারণ নাফিস ভাইয়া ঠিক হয়ে গেছে
আয়েশা-তুই বুঝলি কিভাবে?😒
আমি-যখন তুই কথাগুলো বললি তখন ভাইয়ার মুখটা কেমন কালো হয়ে গেছিলো দেখেছিস?
আয়েশা-তাই তো দেখলাম।
আমি-ভাইয়া অনেক কষ্ট পেয়েছে দেখবি আজকে না হয় কালকেই তোর সব সমস্যা শেষ😉
আয়েশা-হলেই ভালো।আচ্ছা তোর মহারানী এর কি খবর?
আমি-দুপুরের পরে আমাকে কয়েকবার কল দিছিলো কিন্তু ওকে তো আমি block করে রাখছি।
আয়েশা-তোর উচিত এখন ওকে ক্ষমা করে দেয়া🙂
আমি-আরও একটু কষ্ট দেই না।আমার তো ভালোই লাগতেছে😁
আয়েশা-আমিও একটা মেয়ে,চোখের সামনে একটা মেয়েকে কষ্ট পেতে দেখলে কি আমার ভালো লাগে?😔
.
দেখলাম আয়েশার মুখটা মলিন😔 হয়ে গেছে।আসলেই তো আমি মনে হয় একটু বারাবারি করে ফেলতেছি মীম এর সাথে।
.
আমি-আচ্ছা শোন মীমের সামনে আর একবার শুধু অভিনয় করবি।তারপরে আমি মীমকে ক্ষমা করে দিব😊
আয়েশা-ঠিক আছে মনে থাকে যেন,শুধু একবার।
আমি-ঠিক আছে।এখন একটু হাসি দে😁
.
আয়েশা সুন্দর একটা হাসি দিল।আমার কথায় খুশি হয়েছে।
.
আয়েশা-সুমনকে নিয়ে আসলাম না
আমি-ওর কথা তো ভুলেই গেছিলাম😅
আয়েশা-সমস্যা নাই,আমি তোর দোষ দিব 😁(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি-এটার কোনো দরকার নাই।আমি সুমনকে বুঝিয়ে বলবো।তবে একটা কথা সত্য😌
আয়েশা-কি?
আমি-তোরে সেই লেভের সুন্দর লাগতাছে😁
আয়েশা-ফাইযলামি করিস না😏
আমি-আরে নাহ সত্যি।আয় তোরে একটা চুম্মা দেই😘😁
আয়েশা-শয়তান তুই কিন্তু মাইর খাবি আমার কাছে😆
আমি-আমার যেটা ইচ্ছা হচ্ছে সেটাই বললাম তোকে😎
আয়েশা-হইসে।আমি তোকে ভালোই চিনি😉
.
এভবে আমরা গল্প করতে করতে যাচ্ছিলাম।
.
আর এদিকে রকি যে আমাকে অনুসরণ করতে করতে আয়েশার বাসার সামনে পর্যন্ত গেছিলো সেটা আমি জানি না।রকি,ফারিয়াকে কল দিলো।
.
ফারিয়া-হ্যা বলো কি হইসে
রকি-একটা অনেক বড় খবর আছে😉
ফারিয়া-ভনিতা না করে,সোজাসুজি কথাটা বলতো😤(ঝাড়ি মেরে)
রকি-লিআস আর আয়েশা একটু আগে কোথায় যেন গেলো।
ফারিয়া-কোথায় গেলো? 🙄
রকি-আমি জানিনা।শুধু দেখলাম দুইজন সেজেগুজে গুজে গাড়িতে গেল।দুজনকে অনেক হাসিখুশি দেখাচ্ছিল😐
ফারিয়া-ঠিক আছে😒
.
রকি কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু ফারিয়া আগেই কল কেটে দিল।রকি ভাবলো কি এক প্যারায় পরলাম।গার্লফ্রেন্ড এর জন্য চোরের মত অন্যের ঘরের দিকে নজর রাখতে হচ্ছে।😖
.
ফারিয়ে চিন্তা করতে লাগলো কি করা যায়।ফারিয়া এটাও বুঝলো যে রি কথাগুলো মীমকে বললে অনেক কষ্ট পাবে,তাই বলা যাবে না।ফারিয়া ভাবলো মীমের সাথে যদি আমার(লিআস) এর কথা বলিয়ে দেয়া যায় তাহলেই শুধু সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।ফারিয়া একটা উপায় বের করলো।ফারিয়া মীমের ঘরে গিয়ে দেখলো মীম শুয়ে কি যেন ভাবছে।
.
ফারিয়া-......আসবো?(জোরে কেশে উঠলো)
মীম-তোদের যে কখন কি ভুতে ধরে কে জানে।আমার ঘরে আসার জন্য আবার কবে থেকে অনুমতি নিস?🤨
ফারিয়া -আরে নিলাম একটু আজকে😆
মীম-এরপর এমন করলে মাইর খাবি🤨
ফারিয়া-শোন কালকে তুই আমার সাথে একজায়গায় যাবি।
মীম-কোথায়?🤔
ফারিয়া-সেটা তোর জানতে হবে না।
মীম-আচ্ছা ঠিক আছে যাবো।কিন্ত কেন যাবো?
ফারিয়া-সেটা গেলেই জানতে পারবি।এখন চল সবাই মিকে একটু গল্প করি।
মীম-এখন না।পরে একসময়।
ফারিয়া-আরে চল তো আমার সাথে।
.
ফারিয়া জোর করেই মীমকে নিয়ে গেল।
.
আমি আর আয়েশা এসে দেখি যথারিতি স্মৃতিসৌধের সব গেট বন্ধ।তাই আমরা বাহিরেই একটু ঘোরাঘুরি করলাম।আয়েশা আর আমি একটা ফাস্টফুড এ গিয়ে খাবার খেলাম।সত্যি বলতে আয়েশা আর আমি একটা ভালো সময় পার করলাম।☺️
.
রাতে আয়েশা আমকে হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেলো।ঘরে ঢুকে দেখি সুমন ঘুমিয়ে পরেছে।
.
ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলাম।কিছুতেই ঘুম আসছিলো না।বার বার মীমের মায়াবী মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠতেছিল।সত্যি কথা বলতে মীমের কান্না মাখা চেহারা আর ওর কান্নার শব্দ আমার বার বার মনে পরতেছিল😔।মীমকে যতই কষ্ট দেই না কেন;ওকে যে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি সেটা তো অস্বীকার করা যায় না।
.
কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না,মীমের কথা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছিল।ইচ্ছা হচ্ছিল এখনি যদি মীমকে জড়িয়ে ধরতে পারতাম তাহলে খুব ভালো লাগতো।এসব ভেবে ছটফট করতে করতে কখন যে ঘুমিয়েছি বুঝতেই পারি নাই।😔
.
সকালে ঘুম ভাঙলো ৭ টায়।আমি একটু অবাক😮 হলাম কারণ এত সকালে আমার ঘুম ভাঙার কথা নয়।তবে ভালোই হলো,একটা ভালো বুদ্ধি বের করা যাবে।
.
আমার মতো যারা backbencher,তারা পড়ালেখা না পারলেও অন্যসব বুদ্ধি তাদের মাথার ভিতরে অভাব নাই😁আমারো একটা বুদ্ধি বের করতে খুব একটা বেগ পেতে হলো না।
.
আয়েশাকে একটা এসএমএস দিয়ে রাখলাম যাতে ১০টার মধ্যেই ক্যাম্পাসে চলে আসে।
.
এদিকে ৯ টার সময় মীমকে,ফারিয়া ডেকে তুলতে গেলো
.
ফারিয়া-এই মীম উঠে পর
মীম-কি হয়েছে?😒
ফারিয়া-লিআসের কাছে যাবি না?😁
মীম-কই লিআস?কই??😨(অস্থির হয়ে)
ফারিয়া-বাহ যেই লিআসের কথা বললাম আর ঘুম শেষ হয়ে গেলো?😆
মীম-যাহ,কিযে বলিস তুই 🙈(লজ্জা পেয়ে)
ফারিয়া-আমার লজ্জাবতী লতা এখন ফ্রেশ হয়ে ready হয়ে নাও।তাছাড়া দেরী হয়ে যাবে।
.
মীম কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হতে গেলো।
.
আমি আর সুমন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ৯.৩০ এর সময় আমাদের ক্যাম্পাসে উপস্থিত।একটু পরেই আয়েশা চলে আসলো।
.
আয়েশা-তুই এত সকালে আমাকে sms দিলি কিভাবে?🤔
আমি-ঘুম কেন জানি ভেঙে গেলো,তাই
সুমন-নতুন নতুন প্রেমে পরলে নাকি সবার এমন হয়😅
আমি-সর সামনে থেকে(সুমনকে হালকা ধাক্কা দিয়ে)
সুমন-সত্যি কথা বলতে নাই
আয়েশা-এই তোরা ফাইযলামি বাদ দে।
আমি-একটু মনোযোগ দিয়ে শোন সবাই
.
আমার plan এর কথা সবাইকে বললাম।আর messenger এ একটা গ্রুপ খুললাম ওদের ২ জনকে নিয়ে।
.
আয়েশা-তুই কি নিশ্চিত যে এই plan টা কাজ করবে?🤔
আমি-বিশ্বাস না হলে নাই।
আয়েশা-এই তুই মজা করতেছিস?
আমি-আরে পাগল ১০০% কাজ করবে👌
সুমন-তোদের জন্য এত কাজ করবো আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দিবি না?😅
আমি-আয়েশার অনেকগুলো ননদ আছে।যারে ভালো লাগে তারে বিয়ে করিস,খুশি?😁
সুমন-শালা ওইটা তো এমনিতেই পাবো😅
আমি-আয়েশা ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের সামনে গিয়ে কথা বলতে পারিস না,আবার আসছে এমনি পাবে😂
.
আমি আর আয়েশা হাসতে লাগলাম।🤣😂
.
সুমন-ওই দেখ..............😱
.
.
সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।আমার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।সবাই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।আমাকে সবাই সাহায্য করবেন যাতে ভালো একটা গল্প আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন
.
………...আল্লাহ সবার সহায় হোক………….....
........…………….ধন্যবাদ………………………….
.
.
.

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ Hikayelerin yaşadığı yer. Şimdi keşfedin