গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-15)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
মীম নিজের হোস্টেলে এসে যা দেখলো সেটার জন্য মীম প্রস্তুত ছিল না😱।মীম দেখলো যে ওর হোস্টেল অনেক সুন্দর করে সাজানো।কিছু বুঝতে পারলো না।
.
বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকলো কিন্তু অন্ধকার।মীম নিজের ফোনের flashlight on করে ধীরে ধীরে নিজের ঘরের সামনে গেলো।
.
ঘরে ঢুকতেই মীমের বান্ধবী সব একসাথে এসে মীমকে জরিয়ে ধরলো।
.
মীম-আরে কি করছিস এসব?ছেড়ে দে😣
জেবিন-কেন।আমরা ধরলে কি তোর শরীরে ফোস্কা পরবে নাকি?😕
মীম-তোদের চাপে আমি মরেই যাবো😖
জেবিন-এই তোরা ছেড়ে দে নাহলে আবার আমাদের জেল খাটতে হবে🤣
.
জেবিনের কথা শুনে সবাই মীমকে ছেড়ে দিল।
.
মীম-কিরে হোস্টেলে এত সাজানো কেন?🤔
রিয়া-পরে বলতেছি।আগে এটা বল যে তুই এত শুকিতে গেছিস কেন?
মীম-আরে এমনেই😅
ফারিয়া-বুঝিস না?মীম এখন একজনের চিন্তায় মগ্ন থাকে।চিন্তা করতে করতে বেচারী শুকিয়ে গেছে 😝(মীম বাদে সবাই হাসতে 🤣লাগলো)
জান্নাত-শুধু কি শুকিয়ে গেছে?দেখ চোখের নিচে কালো দাগ পরেছে।আহারে বেচারী।কতই না কান্না করেছে 😜(আবার সবাই হাসতে 🤣লাগলো)
ফারিয়া-যেই মীম অন্যকে প্রেম করতে দেখলে হাজার উপদেশ দিত,সেই মীম কিনা আজকে একজনের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এমন কাঙ্গাল হয়ে আছে?😲
জান্নাত-আরে ভালোবাসা এমনই।🤣
মীম-তোরা এসব কি বলছিস?🤨
জেবিন-না বোঝার ভান করিস না।আমরা সব জানি😁
মীম-কি জানিস তোরা?
জেবিন-লিআস ইসলাম কে?🤨
মীম-আমি কিভাবে জানবো,কে না কে😅 (নামটা শুনে পুরাই অবাক)
জান্নাত-কিরে জেবিন,মীম তো চেনে না বলতেছে।আমি তাহলে একটা কাজ করি। "Winx Tinku" আইডির মালিককে প্রোপজ করি😁 (মীমকে রাগানোর জন্য)
মীম-কি বললি তুই?শাকচুন্নি তোকে আজকে আমি মেরেই ফেলবো।আমার বর এর দিকে নজর।তোকে আজকে আমি কাঁচা চিবিয়ে খাবো😠 (জান্নাতের দিকে রাগী ভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে)
জেবিন- বাব্বাহ এত ভালোবাসা?😳আমাদের এখন তুই মেরে ফেলতে চাস তোর বর এর জন্য?(মীমকে আটকে ধরে)
মীম-আমার বর শুধুমাত্র আমার।যদি কেউ ওর দিকে তাকাস তাহলে চোখ তুলে নিবো😤(রাগী ভাবে তাকিয়ে)
জান্নাত-দোস্ত তোরে এইজন্যই ভালো লাগে।একটু রাগিয়ে দিলাম আর সব সত্যি গরগর করে বলে দিলি😗
মীম-আচ্ছা এটা আগে বল তোরা লিআসের ব্যাপারে জানলি কোথা থেকে?(🤨একটু স্বাভাবিক হয়ে)
জান্নাত-আর কে বলবে?ঝুম আমাদেরকে call করে কিছুটা বলেছে আর বাকিটা আমরা তোর কাছে থেকে শুনবো।😉
মীম-আচ্ছা পরে বলবো এখন বল হোস্টেল এত সাজানো কেন?
ফারিয়া-কেন আবার?তোর জন্য😉
মীম-আমার জন্য মানে?ঠিক বুঝলাম না
ফারিয়া-তুই এতদিন একা ছিলি এখন double হবি সেজন্যই।
মীম-আমি এখন fresh হয়ে নেই।
.
মীম আর কোনো কথা না বলে fresh হতে চলে গেলো।
.
এদিকে আমি,সুমন আর আয়েশা আড্ডা দিতে লাগলাম।হটাৎ আমার চোখ একজোড়া মানুষের দিকে আটকে গেলো।
.
আয়েশা-কিরে কি দেখিস?
আমি-দেখ তো ওইটা নাফিস ভাইয়া(আয়েশার bf) না?🤨
সুমন-তাই তো।
আয়েশা-বেশ কয়েকদিন ধরে আমার সাথে যোগাযোগ করে না।আর আমি দেশে আসার পর আমার সাথে দেখাও করে নাই😤
আমি-কি বলিস এসব?
আয়েশা-সত্যি বলছি।
সুমন-আর সাথে মেয়েটা কে?🤔
আমি-কোনো চাচাতো-মামাতো বোন হবে হয়তো
আয়েশা-আরে না।আমি নাফিসের সব বোন কে চিনি।এটা ওর বোন না😒
আমি-তাহলে কে এটা?
আয়েশা-যেই হোক। মেয়েদের সাথে কথা বলা বের করতেছি আমি😬
সুমন -এখন কি করবি?
আয়েশা-ওরে তো আমি পরে শিক্ষা দিব।এখন চল।আমার আর ভালো লাগতেছে না😤(হালকা রাগ নিয়ে)
.
কি আর করার আয়েশা বাসায় চলে গেল,আমি আর সুমন হোস্টেলে চলে আসলাম।আমার ভালো লাগতেছিল না।সেজন্য না খেয়েই ঘুমিয়ে পরলাম।
.
এদিকে মীম fresh হয়ে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল।বিশ্রাম নিতে নিতে মনে পরল বাসায় জানানো হয় নাই যে সে এসে পৌছেছে।তাই বাসায় জানিয়ে দিল।একটু পরেই মীমের বান্ধবী গুলো চলে আসলো।
.
জেবিন-কিরে ঘুমাইছিস নাকি?
মীম-আরে না
জেবিন-কিরে আমাদের তো বললি না তোর কাহিনীটা😁
মীম-পরে বলবো
জান্নাত-এখনই বলবি।বাসি খাবার খাওয়া আর বাসি গল্প শোনা,দুটোর একটাতেও কোনো মজা নাই🤣
ফারিয়া-ঠিক বলেছিস😁
মীম-আচ্ছা বলিতেছি।
.
পরে মীম সবটুকু কাহিনী ওর বান্ধবীদের বললো।
.
জেবিন-আমার তো বিশ্বাস হইতেছে না😱
মীম-কি বিশ্বাস হইতেছে না তোর?🤨
জেবিন-তুই এমন একজনকে ভালোবাসিস যে কিনা তোর ছোট🤭
মীম-তাতে সমস্যা কি🤨
জেবিন-নাহ আমার কেন সমস্যা থাকবে🤣
ফারিয়া-ওই আমাদের দুলাভাই দেখতে কেমন রে?একটু দেখি😁
.
মীমের হটাৎ মনে পড়লো যে ঝুমের জন্মদিনের কেক অর্ডার করার দিন কয়েকটা ছবি তুলছিল আমার(লিআসের) সাথে।মীম এই বেপারে ভুলেই গেছিলো।মীম ফোন বের করে ছবি দেখাইলো
.
জান্নাত-দুলাভাই তো সেই রকম। তোর ব্রেকাপ হইলে আমারে বলিস😁
মীম-কি বললি তুই?😠(রেগে গিয়ে)
জান্নাত-আরে মজা করলাম
জেবিন-এখন কি করবি তাহলে?
মীম-লিআস এর কাছে ক্ষমা চাইবো
জেবিন-সেটার জন্য লিআস কে খুজে বের করতে হবে☺️
মীম-সেটাই তো সমস্যা😔
ফারিয়া-কোনো সমস্যা নয়☺️
মীম-মানে কি?
ফারিয়া-মানে হল তোরা তো জানিস যে আমার bf রকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।তাই আমি ওকে আগেই বলছি লিআস এর সম্পর্কে খোঁজনেয়ার জন্য ☺️
মীম-তোরে অনেক ধন্যবাদ 😘
ফারিয়া-যদিও আমার bf আর লিআস আলাদা ডিপার্টমেন্টে তাও খুজে বের করা সম্ভব😊
মীম-শুনে ভাল লাগলো
জেবিন-চল এখন কেক কাটবি
মীম-কিসের কেক?
ফারিয়া-তোর সিংগেল জীবন বিসর্জন দিবি তাই কেক আনলাম😁
মীম-তোরা পারিস যতো সব আজাইরা কাজ করতে
.
মীম ওর বান্ধবী দের সাথে গিয়ে কেক কাটলো এবং পরে খেয়ে ঘুমিয়ে পরল।
.
সকালে ঘুম ত্থেকে উঠে আমি বাহিরে একটা সুপারশপ এ গেলাম কিছু জিনিস কেনার জন্য।
.
আর এদিকে মীম---
.
জেবিন-এই মীম উঠ☺️(মীমকে ধাক্কা দিয়ে)
মীম-কি হয়েছে?
জেবিন-লিআস আসছে
মীম-কি বলিস তুই?কই লিআস🧐(একদম ঘুম থেকে উঠে বসে পরেছে)
ফারিয়া-শোন তোর লিআস কে পাওয়া গেছে।
মীম-কোথায়?🤔
ফারিয়া-একটা সুপারশপ এ।আমার bf এখন সেখানেই আছে।তুই চাইলে যাইতে পারিস।
মীম-কোন সুপারশপ?🤨
ফারিয়া-touch & take
.
মীম খুব দ্রুত fresh হয়ে নিল।এবং ready হয়ে সুপারশপ এ গেলো। গিয়ে দেখলো ফারিয়া এর bf রকি সেখানে আগে থেকেই আছে।
.
মীম-হ্যালো ভাইয়া☺️
রকি-হাই
মীম-ভাইয়া ও কই?
রকি-ভিতরেই আছে।আপনি যান।
মীম-আপনিও চলুন☺️
রকি-আমি গেলে সে হয়তো ভুল বুঝতে পারে☺️
মীম-আরে ভাইয়া সমস্যা হবে না
রকি-আর একটা কারন হলো।ধরুন আপনি ভিতরে গেলাম আর লিআস বের হয়ে গেলো।তাই মাই বাহিরে থাকি,যদি লিআস বাহিরে আসে মাই আপনাকে জানবো😉
মীম-ঠিক আছে ভাইয়া।আমার নাম্বার নেন০১৮১৫......
রকি-ঠিক আছে যান
.
মীম ভিতরে এসে আমাকে খুজতে লাগলো আর একটু পরে মীম দেখলো আমি একটা কোণায় দারিয়ে আছি।আমার কাছে যেতে চাইলো কিন্তু গেল না।🙂
.
জিনিস কিনতে কিনতে হটাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখি মীম।আমি ভুত দেখার মত অবাক 😲হলাম।আমি কোনো কিছু না ভেবে,কেনাকাটা বাদ দিয়ে হেটে আসতে লাগলাম।আর মীমও আমাকে অনুসরন করতে লাগলো।
.
একটু পরে পিছনে তাকিয়ে দেখি মীম এখনও আমার পিছনে।তাই একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো।আমি আয়েশাকে call দিয়ে বললাম......................
.
.
গল্প ভালো ভালো/খারাপ যেমনই লাগবে সেটা comment করে জানাবেন।যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
.
.
.