গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-18)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
কেনার পর অন্য একটা শপের দিকে তাকাতেই 😲আমার চোখ আটকে যায়।দেখি কয়েকটা মেয়ের সাথে মীম দাড়িয়ে আছে।সবাই কেনাকাটা করতেছে কিন্তু মীম শুকনো😔 মুখ নিয়ে দারিয়ে আছে।
.
মীমকে দেখে খারাপ লাগলো কিন্তু আমার মাথায় হুট করেই অন্যবুদ্ধি এসে ধাক্কা খেল।
.
আমি-এই দোস্ত ওই দিকে একবার তাকা😉(আয়েশাকে উদ্দেশ্য করে)
আয়েশা-আরে কি দেখবো?
আমি-আরে দেখ একটু ওই মেয়েটাকে😁(মীমকে দেখিয়ে)
আয়েশা-দেখলাম।এবার বল🙄
আমি-একটু ভালো করে দেখ
আয়েশা-আরে এটা তো মীম😳
আমি-শোন আজকে যেহেতু আবার পাইছি ওরে তাই আজকে আরও একটু ডোজ দিলে কেমন হয়?😁
আয়েশা-একদিনে এত কষ্ট দিলে কি সহ্য করতে পারবে??
আমি-কেন পারবে না??অবশ্যই পারবে😒
আয়েশা-মেয়েদের সহ্য ক্ষমতা এসব ক্ষেত্রে অনেক কম।তাই বলতেছিলাম যে আজকে থাক😑
আমি-আরে তুই চুপ থাক তো।চল আমার সাথে😒
.
আমি আর কোনো কথা না বলে আয়েশার হাত ধরে টেনে নিয়ে ওই দোকানে গেলাম যেখানে মীম আর ওর বান্ধবীরা আছে।আমাদের সাথে সুমনও গেলো
.
আমাকে দেখে মীম আর মীমের বান্ধবীদের চোখ একদম কপালে 😳উঠে গেছে।সবাই হা 😲করে আমাদের দেখতেছে।
.
দোকানে ঢুকেই আমাদের অভিনয় শুরু😎😎
.
আমি-তোমাকে না বলছি আমার এসব ভালো লাগে না😉
আয়েশা-সেটা বললে কিভাবে হবে বলতো😉
আমি-প্রতি সপ্তাহে আমাকে তুমি কিছু না কিছু কিনে দাও।এটা কি ঠিক বলতো☺️
আয়েশা-কেন ঠিক নয়?আমি কি অচেনা কাউকে কিনে দিতেছি?আমি আমার আপনজনকে কিনে দিতেছি😊
আমি-সত্যি একটা পাগলি তুমি☺️(আয়েশার নাকে হালকা নাড়া দিয়ে)
আয়েশা-তোমারই তো পাগলি😚
আমি-আচ্ছা আজকে আমি তোমার জন্য কাপড় পছন্দ করে দিব
আয়েশা-ঠিক আছে।কিন্তু বিল আমি দিব
আমি-তাহলে কিভাবে হলো বলতো🙄
আয়েশা-ওইভাবেই হলো।তুমি আমার জন্য কাপড় পছন্দ করে দিবা এটাই আমার জন্য অনেক☺️
আমি-সবসময় তুমি আমাকে উপহার দাও কিন্তু আমি তো তোমাকে কিছু দেই না😔
আয়েশা-তোমার কিছু দিতে হবে না।তুমি নিজেই তো আমার😘
আমি-তোমার সাথে কথায় পারা যাবে না
আয়েশা-এখন আমাকে কাপড় পছন্দ করে দিবা।
আমি-আমার পছন্দ করা কাপড় তো ভালো নাও লাগতে পারে তোমার 🙁(একটু বেশি ন্যাকামি করে)
আয়েশা-বাজে কথা বন্ধ করো তো😕
আমি-কই বাজে কথা বললাম
আয়েশা-তুমি আমার জন্য কাপড় পছন্দ করবা আর আমার সেটা ভালো লাগবে না।এটা তো হতেই পারে না😇
আমি-সে যাই হোক।ভালো না লাগলে বলবা।ঠিক আছে?
.
আমি দোকানের আয়নায় তাকিয়ে দেখি যে মীমের বান্ধবী গুলো এক দৃষ্টিতে আমাকে আর আয়েশাকে দেখতেছে।আর মীম চোখের পানি 😢মুছতেছে।
.
আয়েশা দোকানদারকে থ্রি-পিছ বের করতে বললো।দোকানদার কয়েকটা থ্রি-পিছ বের করে দিল।আমি যেহেতু জানি আয়েশার প্রিয় রঙ সাদা তাই একটু সুবিধা হলো।
.
আয়েশা-দেখতো কোনটা নিবো?☺️
আমি-এই সাদা থ্রি-পিছ টা অনেক সুন্দর লাগতেছে।এটায় তোমাকে একদম বউ বউ লাগবে😚
আয়েশা-যাহ দুষ্টু 🙈(আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে)
.
হটাৎ পিছনে কান্নার 😭আওয়াজ শুনতে পেলাম।মীম আর নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারে নাই।শব্দ করে কান্না😭 করে ফেলছে।আমি পিছনে তাকাতেই দেখি মীম দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে গেলো।মীমের বান্ধবীরাও মীমের পিছনে পিছনে গেল।
.
আয়েশার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখটা মলিন।
.
আমি-কিরে তোর আবার কি হইলো?🤨
আয়েশা-এটা কি ঠিক হলো?দেখলি মেয়েটা কিভাবে কাদতে কাদতে বের হয়ে গেল?😒
আমি-আরে বাদ দে।একটু কান্না করুক।কান্না করলে কষ্ট কমে যায়।
আয়েশা-😒😒
আমি-তবে একটা কথা না বলে থাকতে পারতেছি না
আয়েশা-কি?🤨
আমি-তুই মারাত্মক অভিনয় করিস।আগে কি যাত্রাপালায় কাজ করতি নাকি?🤣
আয়েশা-তোরে পিটানি দিয়া কিন্তু হাসপাতালে পাঠাবো😤
আমি-কথাটা কিন্তু সত্য।তুই আসলেও ভালো অভিনয় করিস।আমি তোর অভিনয় দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম😱
আয়েশা-হইসে এইবার থাম তুই
আমি-ওকে থামলাম
আয়েশা-কিরে সুমন তুই এমন মূর্তি হয়ে গেলি কেনো?🤔
সুমন-কি বলবো বুঝতে পারতেছি না
আমি-কেন কি হইলো আবার?
সুমন-তোরা কি অভিনয় করতেছিলি নাকি সত্যি তোরা প্রেম করিস আমি বুঝতেছি না🤯
আয়েশা-জানোয়ার তোরে খুন করবো
সুমন-তোরা যেভাবে কথা বলতেছিলি তাতে বোঝার উপায় নেই তোরা অভিনয় করতেছিলি🧐
আয়েশা-আমার কিন্তু একটা জিনিস লাভ হইসে😁
আমি-কি?
আয়েশা-এই থ্রি-পিছ টা আমার অনেক ভালো লাগছে।এটা আমি কিনবো😁
আমি-কিনে নে।কিন্তু আমাকে ধন্যবাদ দিলি না যে😉
আয়েশা-তোকে ধন্যবাদ দিবো কেনো?🤔
আমি-থ্রি-পিছ টা যে আমি পছন্দ করে দিলাম
আয়েশা-😜😜😜
আমি-যাহ ধন্যবাদ বলতে হবে না😤
.
আয়েশা ওই থ্রিপিছ টা কিনলো তারপর আমি আর সুমন হোস্টেলে ফিরে আসলাম এবং আয়েশা বাসায় চলে গেল।
.
এদিকে মীম কান্না😭 করতে করতে শপিং মলের বাহিরে চলে আসে।ওর বান্ধবীরা ওকে থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু মীম একটা গাড়িতে করে হোস্টেলে চলে আসে।মীমের বান্ধবীরা কোনো উপায় না পেয়ে তারাও হোস্টেলে ফিরে যায়।
.
জেবিন-এভাবে চলে আসলি কেন?
মীম-কেন তোরা জানিস না?😖
জান্নাত-দেখলাম তো।তাই বলে এভাবে চলে আসবি?
মীম-তোর সাথে এমন হলে তুই কি করতি?
ফারিয়া-দেখ মীম একটু বোঝার চেষ্টা কর
মীম-কি বুঝবো আমি?আমার লিআস অন্য কারো হয়ে গেছে আর তুই আমাকে কি বুঝাবি?😤
জেবিন-জেদ করিস না।তুই তো জানিস ওরা বেস্টফ্রেন্ড।
মীম-বেস্টফ্রেন্ড এর সাথে কিভাবে কথা বলে মানুষ,সেটা কি আমি জানি না?😣
জেবিন-এমনও তো হতে পারে যে লিআস তোর কাছে প্রতিশোধ নিতেছে😎
মীম-মানে?🤔
জেবিন-তোকে কষ্ট দেয়ার জন্য হয়তো লিআস এই নাটক করতেছে
ফারিয়া-ঠিক বলছিস জেবিন।রকিও একবার আমার সাথে এমন করছিলো🙃
মীম-না এমন হতে পারে না।আমার লিআস অন্য কারো হয়ে গেছে😭
জেবিন-আচ্ছা এটা বল যে তুই লিআসকে কি সত্যি ভালোবাসিস নাকি শুধু relation করার জন্য এমন করতেছিস?🤨
মীম-কেন?আগে বলি নাই?😤
জেবিন-বলছিস। কিন্তু এখন আবার আমাকে উত্তর দে
মীম-হ্যা ভালোবাসি😔
জেবিন-লিআস যদি তোর থেকে অন্য কারো কাছে যেতে চায় তুই নিজের ভালোবাসা দিয়ে লিআসকে নিজের করে নিতে পারবি?🤨
মীম-.....🤔🤔(একদম চুপ)
জেবিন-তুই যদি সেটা করতে না পারিস তাহলে তোর ভালোবাসা মিথ্যা😒
মীম-আমি পারবো🤩
জেবিন-তাহলে কান্না করা বন্ধ কর আর কি করা যায় সেটা ভাব☺️
জান্নাত-তুই লিআসের আশেপাশে থেকে লিআসকে তোর ভালোবাসা বোঝানোর চেষ্টা করবি😉
জেবিন-আর তোর বয়ফ্রেন্ডকে বলবি যাতে লিআসকে সমসময় নজরে রাখে।কখন কোথায় যাইতেছে,কি করতেছে😊 (ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে)
ফারিয়া-ঠিক আছে আমি রকিকে বলে দিতেছি👍তবে একটা কথা কিন্তু বলতেই হবে
জেবিন-কি কথা?
ফারিয়া- লিআস কিন্তু আসলেই একটা সুদর্শন পুরুষ।কিভাবে যে মীম ওকে থাপ্পর মারলো কে জানে🙄(মীমকে রাগানোর জন্য)
জেবিন-কেন তুই হলে কি করতি?🤨
ফারিয়া-লিআস এর মত একজনের ৪ নাম্বার বউ হতেও আমার কোনো আপত্তি নাই।আর লিআস বললে তো আমি একপায়ে খাড়া😁(মীমকে রাগানোর জন্য)
মীম-কুত্তি,নিজের বয়ফ্রেন্ড থাকতেও অন্যের স্বামী এর দিকে নজর দিস।লজ্জা করে না?তোকে আমি এখনোই খুন করে ফেলবো😡😠
সবাই-হা হ হা
জেবিন-কিরে এত ভালোবাসা?তা লিআস তোর কি হয়?
মীম-যা হবার তাই হয়🙈(বুঝতে পেরে)
জেবিন-থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।এত তাড়াতাড়ি স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছিস😱।বাহ ভালো🤣
ফারিয়া-🤭
মীম-তোরা এখন যা তো সবাই🙈
জান্নাত-এই সবাই চল।ওকে এখন একটু একা থাকতে দে 🤭
ফারিয়া-হ্যা চল সবাই।🤭
জেবিন-দুপুর হয়ে গেছে।এখন চল সবাই ফ্রেশ হয়ে নে।দুপুরে একসাথে খাবার খাবো।এবং তারপর একটা বুদ্ধি বের করতে হবে কিভাবে কি করা যায়😉
জান্নাত-সেটাই ঠিক হবে
ফারিয়া-তাহলে সবাই যা ফ্রেশ হয়ে নে
.
সবাই নিজের ঘরে চলে গেলো আর মীম নিজের বিছানার উপরে শুয়ে phone টা বের করে আমার আর মীমের ছবিগুলো(ঝুমের জন্মদিনের আগের দিন তোলা হয়েছিল) সেগুলো দেখতে লাগলো।
.
ছবিতে কয়েকটা পাপ্পি 😘দিলো তারপর আবার ছবি দেখতে লাগলো এবং কিছু একটা চিন্তা করতে লাগলো।
.
এদিকে আমি হোস্টেলে এসে একটু শুয়ে ছিলাম তখন আয়েশা কল দিল।আমাকে বললো যে.............
.
.