গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-24)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
মীম ভিতরে যেতেই দেখে ওর সব বান্ধবী বসে আছে।আর প্রচুর হাসাহাসি করতেছে।
.
মীম-কিরে তোরা এখনো জেগে আছিস কেন?🙄
ফারিয়া-এমনিতেই রে।
জেবিন-কেন মিথ্যা কথা বলতেছিস তোরা?আমার তো এখনো সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভাসতেছে🙊
জান্নাত-ইস আমি যদি ওইখানে থাকতাম😌
মীম-এই তোরা কি নিয়ে কথা বলতেছিস?🤨
রিয়া-ঢং করিস?এখনো বুঝিস না?তোদের একটু আগের কাহিনী নিয়ে কথা বলতেছি😁
মীম-কি তোরা আমাদেরকে দেখতেছিলি?এই তোদের লজ্জা করে না?😬
ফারিয়া-লজ্জা করবে কেন?
মীম-অন্যেদের একান্ত সময় দেখতে খুব ভালো লাগে না?😒
রিয়া-তোমরা করলে সমস্যা নাই আর আমরা দেখলেই সমস্যা?😏
জান্নাত-আমাদের কোনো দোষ নাই,ফারিয়া আমাদেরকে ডাক দিছে😅
মীম-হারামজাদী তোরে খাইছি আমি।তুই তোর বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কি কি করিস সেটা কি আমি কাউকে বলি নাকি?😬
ফারিয়া-একদম চুপ তুই।
মীম-কেন?এখন আমাকে চুপ থাকতে বলিস কেন
রিয়া-যাই বলিস মীম তুই অতটা রোমান্টিক না😝
মীম-কি বলতে চাস তুই?
রিয়া-এত সুন্দর জোসনা রাত,নির্জন জায়গায় একটা হান্ডসাম ছেলের সাথে।আর তুই শুধু কিনা জড়িয়ে ধরলি?🤧
মীম-তাহলে কি করতাম শুনি?🤨
জান্নাত-আমি থাকলে তো কমপক্ষে ১ ঘন্টা লিপ করতাম🙈
মীম-কচু করতি তুই।তোর বাসর ঘর রাস্তার মাঝখানে সাজাবো,দেখবোনি কেমন পারিস😝
.
সবাই হাসতে লাগলো🤣
.
জান্নাত-বিশ্বাস না হলে, এরপর এমন সময়ে তোর বদলে আমি যাবোনি দুলাভাই এর কাছে।😁
মীম-শাকচুন্নি তুই আমার লিআসের দিকে আর তাকাবিও না😤(রাগে গজ গজ করতে করতে)
জান্নাত-আমাদের কারো মরার শখ নাই😅
ফারিয়া-এখন আর ম্যাডামকে কেউ জ্বালাতন করিস না।আজকে এমনিতেই অনেক ধকল গেছে উনার😁
মীম-তোর একদিন আর আমার যে কয়দিন লাগে😡(ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে)
ফারিয়া-আচ্ছা এখন আর কথা বারিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়।
.
মীম ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে গেলো।
.
এদিকে আমি হোস্টেলের নিচে গাড়ি রেখে ঘরে আসতেই দেখি টেবিলের উপরে একটা কেক।
.
আমি-কিরে কেক কিসের জন্য?😮
সুমন-এমনি এমনি তো আর আনি নাই।দরকার আছে😏
আমি-আজকে তোর জন্মদিন না,আবার আমারো নয়।তাহলে কার জন্মদিন?🙄
সুমন-দুনিয়ায় ৭০০ কোটি মানুষ।আজকে কমপক্ষে একজনের জন্মদিন তো অবশ্যই😁
আমি-হেয়ালি না করে বলতো কার জন্য কেক আনছিস?
সুমন-তোর জন্য এই কেক আনা হয়েছে।
আমি-আমার জন্য মানে?🤔
সুমন-আগে যা ফ্রেশ হয়ে আয়,তারপর সব বলতেছি।
.
সুমনের কান্ড দেখে আমি পুরাই অবাক।সুমনের কথার কিছু বুঝলাম না। যাইহোক ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
.
আমি-এখন বল আসল কাহিনি
সুমন-নে কেক কাট😊
আমি-আগে বলবি তো কেন কেক কাটবো?
সুমন-তোর বাবার জমি কি লিখে নিতেছি নাকি?নাকি তোর জীবন লিখে নিতেছি যে তুই কেক কাটতে পারতেছিস না?🤨
আমি-আচ্ছা হইসে আর ভাষণ দিতে হবে না তোর।
.
আমি কেক কাটলাম,সুমনকে খাইয়ে দিলাম,সুমন আমাকে খাইয়ে দিল সাথে সাথে আমার গালেও মাখিয়ে দিলো।আমি আবার কম কোথায়।আমিও সুমনকে মাখিয়ে দিলাম।
.
সুমন-আয় একটা সেলফি তুলি😁
আমি-তুই আয়েশার সাথে কম মিশবি
সুমন-কেন?😐
আমি-কোনো কারণ ছাড়া সেলফি তোলা মেয়েদের অভ্যাস আর আয়েশার সাথে থাকতে থাকতে তোর মধ্যে এই স্বভাব চলে আসছে😑
সুমন-🤣🤣আচ্ছা এখন আয়।
.
সুমন আর আমি কয়েকটা সেলফি তুললাম।মুখটা এমন হয়েছে আমাদের যে নিজেদের ছবি দেখে নিজেরাই হাসতে লাগলাম🤣
.
আমি-এখন বল কেক কীসের জন্য
সুমন-তুই আর আমি সেই ছোটবেলা থেকেই বন্ধু।আমাদের সবকিছু আমরা একে অপর জানি
আমি-হ্যা☺️
সুমন-তুই যেদিন সিলেট থেকে আসলি সেদিন তোকে এতটা দুঃখী মনে হয়েছিল,যা আমি আগে কোনোদিন দেখি নাই।আর আজকে যখন মীম এর সাথে তোর সব মিটমাট হয়ে গেলো তখন তুই যে পরিমান খুশি হয়েছিলি,এর আগে এত খুশি কখনো হস নাই☺️
আমি-তোকে কে বলছে?এই কয়েকদিন তো অনেক মজা করছি তোদের সাথে😉
সুমন-আমি তোকে তোর বাবা-মা এর চেয়ে খুব একটা কম চিনি না😌
আমি-জানি আমি
সুমন-মানুষ সামন্য কষ্ট নিয়েও মিথ্যা হাসি দিলেও কষ্টটা তার মুখে ফুটে ওঠে।আর তোর বুকে পাহাড় সমান কষ্ট সেটা কি আমি বুঝতে পারবো না🤨
আমি-..........😌(কি বলবো বুঝতেছি না)
সুমন-আজকে তোর খুশি দেখে আমার কতোটা ভালো লেগেছে তোকে বুঝাতে পারবো না।তাই ভাবলাম আজকের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখি।তাই কেক আনছি☺️
.
কোনো কথা না বলে সুমনকে জড়িয়ে ধরলাম।এমন একজন বন্ধু(যে সবকিছু বুঝবে এবং পাশে থাকবে) যার আছে তার চেয়ে ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী আর এই দুনিয়ায় নাই😌
.
সুমন-এইবার কিন্তু ব্যাথা পাইতেছি আমি😅
.
আমি আর সুমন কিছুক্ষন গল্প করে ফ্রেশ হলাম তারপর ঘুমাতে গেলাম।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফোনের নোটিফিকেশন লাইট জ্বলতেছে🤨(Blocked call:23)
.
চেক করে দেখি মীমের নাম্বার।
.
মীমকে কল দিলাম।
.
আমি-আসসালামু আলাইকুম মহারানী ভিক্টোরিয়া।
মীম - ওয়ালাইকুম আসসালাম।আমার নাম্বার ব্লক করা কেন?🙄
আমি-আসলে সিলেট থেকে আসার সময় করছিলাম।আর আনব্লক করা হয় নাই😅
মীম-আমারেও ব্লক করে দাও😑
আমি-আরে কিযে বলো না তুমি
মীম-কি বলি মানে?এই তোর না সকালে আসার কথা ছিল?🤨
আমি-আমার মনে আছে তো কিন্তু ঘুম থেকেই উঠতে পারলাম কই😴
মীম-এখন ১০টা বাজে আর তোর ঘুম শেষ হয় না?সারারাত কি চুরি করছিলি নাকি?🤨
আমি-আরে না অতটা খারাপ না আমি🤗
মীম-৩০ মিনিট এর মধ্যে আমার হোস্টেলের সামনে আসবি।১ মিনিট দেরী হলে তোর খবর আছে।😤
আমি-আচ্ছা আসতেছি😫
.
কল কেটে দিয়ে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিলাম।এমনিতেই সকালে খেতে পারি না।তাই দ্রুত নাফিস ভাইয়ার বাইক নিয়ে চলে গেলাম মীমের হোস্টেলের সামনে।
.
মীমকে কল দিলাম।
.
আমি-ম্যাডাম আমি আসছি
মীম-একটু অপেক্ষা করো😏
.
আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম কিন্তু আমার মহারানী ভিক্টোরিয়া আসে না। ১ ঘন্টা পর ম্যাডাম হোস্টেলের বাহিরে আমার দিকে আসতে লাগলো।
.
ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক, সোনালি রঙের থ্রিপিছ, চুলগুলো হাওয়ায় ভাসতেছে,হাতে চুরি,আর হৃদয় জুড়ানো হাসি।কাউকে ভালোবাসলে তাকে এমনতেই সুন্দর লাগে,আর সেই ভালোবাসার মানুষ যদি আপনার জন্যেই সাজুগুজু করে তাহলে তো খুশির ঠেলায় মরতে ইচ্ছা হয়।😍😲😘
.
মীম-চলো(এসে বাইকে বসলো)
আমি-এত দেরি করে আসলা কেন?😒
মীম-তুমিও তো দেরী করে আসছো।তাই তোমাকেও একটু আমার কষ্টের অংশীদার বানালাম😁
আমি-তুমি আমার জীবন সত্যি তেজপাতা বানিয়ে ফেলবা😑
মীম-তোর জীবন আমি গরম তেলে লবন মরিচ দিয়ে ভাজবো,তখন বুঝবি😤
আমি-আমি শেষ 😩
মীম-আমারে ভালোবাসার আগে মনে ছিলো না?😏
আমি-আগে যদি জানতাম তুমি এমন দজ্জাল বেডি, তাহলে তোমারে ভালোবাসা তো দূরের কথা তোমার দিকে ফিরেও তাকাতাম না😁
মীম-কি বললি তুই?আমি দজ্জাল?😬
আমি-তা নয় তো কি?
মীম-সে আমি দজ্জাল হই আর যাই হই সারাজীবন আমাকেই সহ্য করতে হবে।😏
আমি-ওইটাই তো ঝামেলা🤧
মীম-আমি ঝামেলা,তাই না?ঠিক আছে যাবোনা তোর সাথে।তোর সাথে ব্রেকাপ😒 (বাইক থেকে নেমে)
আমি-জানু আমি তো মজা করতেছি😅 তুমি রাগ করলে তোমার মুখটা বিশেষ করে গাল অনেক লাল হয়ে যায়।আর তখন তোমাকে রাঙা বউ এর মতো লাগে।তাই তোমাকে রাগাতে ভালো লাগে😘
মীম-ওরে শয়তান😆 (আমার গালে হাত দ্বারা নারা দিয়ে)
আমি-আচ্ছা এখন চলো,এখানে রোদের মধ্যে অনেক গরম লাগতেছে🥵
মীম-চলো(বাইকে বসে)
.
আমি বাইক চালাতে লাগলাম।এমন সময় আমি একা বাইক চালাইলে F1 race ককরতাম।কিন্তু একজন সাথে আছে এজন্য ধীরে চালাতে হয়।
.
আমি-তোমাকে ভার্সিটইতে নামিয়ে দিবো নাকি অন্য কোথাও?
মীম-আজকে ভার্সিটিতে যাবো না।😊
আমি-কেন?
মীম-তোমার সাথে ঘুড়বো।
আমি-তোমাকে মানা করার ক্ষমতা আমার নাই মহারানী।চলো আগে বাইকটা নাফিস ভাইয়াকে দিয়ে আসি😊
.
ভার্সিটিতে গিয়ে নাফিস ভাইয়াকে বাইক দিলাম।তারপর সারাদিন মীমের সাথে ঘুড়লাম।
.
এভাবেই দিনকাল চলে।কিভাবে যে ঘন্টা,ঘন্টা থেকে দিন,দিন থেকে সপ্তাহ,সপ্তাহ থেকে মাস কেটে যায় বুঝতেই পারি না।প্রায় প্রতিদিন মীমকে নিয়ে ঘুড়তে যেতে হয়,মাঝে মাঝে জোসনারাতে দুজন রাস্তা দিয়ে হেটে বেড়াই,মাঝে মাঝে রাতদুপুর পর্যন্ত মীম আমার কাধে মাথা রেখে বসে থাকে।মীমের আর আমার কারো তেমন একটা চাওয়া পাওয়া নাই।আমাদের দেখে যে কেউ বিনা বাধায় স্বামী-স্ত্রী বলে দিবে।👩❤️👨
.
এই এতকিছুর মাঝে আরো একটা সত্য আছে,আমার পড়ালেখা।আগে যখন ইচ্ছা হইতো পড়তাম,ইচ্ছা না হইলে পড়তাম না।কিন্তু এই মহারানী ভিক্টোরিয়া আসার পর থেকে বেশি বেশি পড়তে হয়,তাছাড়া ম্যাডাম কথা বলবে না😫।মহারানী ভিক্টোরিয়া আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ।দুনিয়ার সবার কাছে মিথ্যা কথা বললেও আমার এই লক্ষীটিকে আমি কখনো মিথ্যা কথা বলি না।🤗
.
কিন্তু আমি এবং মীম কেউ একটা কথা জানতাম না।আমাদের এই সুখের সময়টা,ঝড়ের পুর্বে শান্ত পরিবেশের মতো।
.
মীমের Honours final year পরীক্ষা শুরু হয়।
.
আমি মীমকে পরীক্ষা হলে দিয়ে আসতাম আবার পরীক্ষা শেষে নিয়ে হোস্টেলে নিয়ে আসতাম।ওই সময়টুকুতে যতটুকু কথা হইতো ঠিক ওইটুকুই কথা সারাদিনের জন্য।
আমি চাইছিলাম না যে মীমের পরীক্ষা খারাপ হোক,তাই আমিও নিজেকে সামলে ফেলি।
.
এতদিন পরীক্ষা ছিল তাই একসাথে আমরা সময় কাটাতে পারি নাই।তাই যেদিন পরীক্ষা হয় সেদিন বিকালে একটা পার্কে দেখা করি।ঘাসের উপর বসে মীমের হাতটা ধরে হাতে কয়েকটা পাপ্পি 😘দিলাম।
.
আমি-তুমি একটু চুপ করে বসো😊
মীম-কেন?🤨
আমি-আমি তোমাকে মন ভরে দেখবো😍
মীম-কেন আগে কখনো দেখো নাই?🙈
আমি-অনেকদিন ধরে তোমাকে দেখি নাই।
মীম-আমিও তোমাকে অনেক মিস করছি😔(আমার কাধে মাথা রাখলো)
আমি-এখন তো তুমি সারাদিন অবসর,যখন ইচ্ছা দেখা করতে পারবো😚
মীম-সেটা সম্ভব না😔(গলায় জড়তা)
আমি-কেন?🙁
মীম-বেশ কয়েকদিন ধরেই বাব-মা কল দিয়ে বার বার বলতেছে যেন পরীক্ষা শেষ হলে সিলেট যাই।
আমি-কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি?🤔
মীম-সঠিক জানি না।
আমি-যেতেই হবে জানু?না গেলে হয় না?🥺☹️
মীম-তোমার সাথে বের হোয়ার আগেও কল দিছিলো।😔
আমি-কবে যাবে?😔(মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো)
মীম-কাল সকালে
আমি-ও আচ্ছা।😞
মীম-তুমি কি রাগ করলা?😦
আমি-আরে নাহ।রাগ করবো কেন?
মীম-দেখো কষ্ট পেয়ো না।কষ্ট আমারো হইতেছে।
.
মনটা ভিষণ খারাপ।আরো কিছুক্ষন থেকে মীমকে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে আসলাম।সারারাত ঘুমাইতে পারি নাই।
.
পরদিন সকালে মীমকে বাসে উঠিয়ে দিতে গেলাম।
.
মীম-সন্ধ্যার পরে বাহিরে থাকবা না😊
আমি-..........মাথা নাড়লাম(ঠিক আছে)
মীম-সময়মতো খাবার খাইবা,
আমি-ঠিক আছে😔
মীম-ঠিক মতো পড়াশোনা করবা।
আমি-ঠিক আছে😔
মীম-যা যা বলছি সব করবা☺️
আমি-আর তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করলে?☹️
.
নিজেকে আর আটকাতে পারলাম মা।চোখ দিয়ে জল পরতে লাগলো।নিশব্দ কান্না😢।কিন্তু মীমের কান্নার আওয়াজ আমার কানে আসলো।আমি মুহুর্তেই ভুলে গেলাম যে আমরা বাস এর ভিতরে।আমি চোখ বন্ধ করেই মীমকে জড়িয়ে ধরলাম।😭
.
আমার বুকের মাঝে চিন চিন করে ব্যাথা করতেছে।মনে হইতেছে কেউ আমার হৃদয়টা দেহ থেকে বের করে নিতেছে।অসহ্য এক যন্ত্রণা।
.
কারো কথার আওয়াজ পেয়ে মীমকে ছেড়ে দিলাম।মীমের চোখের পানি মুছে দিলাম।কপালে আলতো করে একটা পাপ্পি দিলাম।😘
.
আমি-বাসায় পৌছে আমাকে কল দিয়ো।আর রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই বলবা😔(অনেক কষ্ট করে কান্না মাখানো স্বরে কথাগুলো বললাম)
মীম-..........মাথা নাড়ালো(কিছু বলতে পারলো না)
.
বাস ছেড়ে দিলে আমি নেমে গেলাম।যতক্ষন বাসটা দেখা যায় আমার চোখ অন্যদিকে সড়াতে পারলাম না।
.
যখন আর বাস দেখা গেলো না তখম হোস্টেলের দিকে রওনা দিলাম।হোস্টেলে এসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
.
এদিকে মীমের পাশের সিটে বসেছে একবৃদ্ধা।
.
বৃদ্ধা-স্বামীকে ছেড়ে প্রথমবার বাবার বাড়ি যাইতেছো?☺️
মীম-.............😥(এখনো হালকা কান্না)
বৃদ্ধা-নিজের স্বামীকে অনেক ভালোবাসো, তাই না?😔
মীম-...........😭(এবার হালকা শব্দ করে কেঁদে উঠলো)
বৃদ্ধা-কান্না করো না মা সব ঠিক হয়ে যাবে,দেখবে তোমার স্বামী কিছুদিন পরেই তোমার কাছে যাবে😊
.
মীম পুরানো স্মৃতি মনে করতেছে আর নিশব্দে কান্না করেতেছে।
.
আমি সচরাচর ঘুমের ওষুধ খাই নাই।তাই ঘূম একটু দেরীতে ভাঙলো।
.
দেখি..................
.
.
সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।আমার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।সবাই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।আমাকে সবাই সাহায্য করবেন যাতে ভালো একটা গল্প আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
.
………...আল্লাহ সবার সহায় হোক…………….
………………..….ধন্যবাদ………………………….
.
.