গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-28)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
কিছুক্ষন পরে যখন আমি চোখ খুলতে গেলাম তখন খুব কষ্ট হচ্ছিলো।কিন্তু চোখ খোলার পর যেখানে মীমকে দেখার কথা সেখানে আমি ফ্যান দেখতে পেলাম🙂
.
নরাচরা করতে পারলাম না।চোখ একটু ঘুরাতেই দেখি নার্স বসে আছে।আমি ভাবতে লাগলাম।আমি তো ছিলাম মীমের সাথে পার্কে তাহলে এখানে কীভাবে আসলাম?🤔চিন্তা করতেও কষ্ট হচ্ছিলো।
.
নার্স উঠে দ্রুত চলে গেলো।কিছুক্ষন পরে ডাক্তারকে সাথে নিয়ে আসলো।
.
ডাক্তার-কি লিআস সাহেব?কেমন লাগতেছে এখন?☺️
আমি-........(কথা বলার চেষ্টা করলাম কিন্তু অনেক কষ্ট হচ্ছিলো)
ডাক্তার-কথা বলার কোনো দরকার নেই।এখন আপনি বিশ্রাম করুন।আর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেন যে আপনার জ্ঞান ফিরেছে☺️
.
আমি বুঝতেই পারলাম না কি থেকে কি হচ্ছে😫
.
ডাক্তার-রোগীর লোকজনকে খবরটা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।রোগী উত্তেজিত হয়ে যাবে এমন কথা বলতে নিষেধ করবেন।
নার্স-জ্বী স্যা😊
.
এদিকে মীম,আম্মু,মীমের মা,আয়েশা,ঝুম সবাই কাম্নাকাটি করে অস্থির।এদিকে আল্লাহ যে তাদের দোয়া কবুল করেছে সেখবর কেউ জানে না
.
একজন ওয়ার্ডবয় দীর্ঘক্ষন ধরে বেল বাজিয়ে চলেছে কিন্তু কেউ যেন সেই বেল বাজার শব্দ শুনতে পারতেছে না।বেশ কিছুক্ষন পরে ঝুমের কানে শব্দ গেলো।
.
ঝুম-এই আপু কেউ মনে হয় বেল বাজাইতেছে
মীম-কই আমি তো এতক্ষন কিছু শুনলাম না🙄
ঝুম-আমিও হালকা একটু শব্দ পেয়েছি।
মীম-এখন রাত ৩.৪৮ বাজে।এত রাতে আবার কে আসবে?🤨
ঝুম-হয়তো আমাদের মতো অন্য কোনো রোগীর লোকজন?🤔
মীম-এত রাতে দরজা খোলা কি ঠিক হবে?
আয়েশা-চলো একটু দেখেই আসি😐
.
তিনজন মিলে যখন ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দেখে একটা ছেলে দাড়িয়ে
.
মীম-কে আপনি?🤨
ওয়ার্ডবয়-ম্যাম আমি এই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়।
মীম-এখানে কি চাই?
ওয়ার্ডবয়-আজকে প্রাইভেটকার এক্সিডেন্টে যে ২ জন রোগী আসছে আপনার তাদের লোকজন।তাই না?🤨
মীম-হ্যা।
ওয়ার্ডবয়-আপনাদের জন্য একটা সুসংবাদ আছে।
মীম-কি?
ওয়ার্ডবয়-আপনাদের যে রোগী ICU তে ছিল,তার জ্ঞান ফিরেছে☺️
মীম-সত্যি?🤩
ওয়ার্ডবয়-হ্যা। ICU এর নার্স আমাকে পাঠালো খবর দিতে☺️
.
সবার কিযে খুশী সেটা বলে বুঝানো যাবে না।মীম যে খুশিতে কি করবে সেটা বুঝতেছে না।
.
মীম গিয়ে খবরটা আম্মু আর মীমের মা কে বললো।এবং কল দিয়ে আব্বু আর মীমের বাবাকে বললো।
.
সবাই মিলে ICU এর দিকে গেল।আমার আব্বু এবং মীমের বাবা ICU এর সামনেই ছিলো।
.
আয়েশার হটাৎ স্মরন হলো ড্রাইভার আংকেলের কথা।
.
আয়েশা-আপনারা ভিতরে যান আমি একটু আসি☺️
মীম-কোথায় যাবে তুমি?
আয়েশা-একটু আমার ড্রাইভারকে দেখে আসি।তার খোঁজ খবর নেয়া উচিত☺️
মীমের বাবা-মামনি উনাকে(ড্রাইভার) আমরা রাতের খাবার খাইয়েছি।ওষুধ খাইয়েছি।তারপর মসজিদে গেছিলাম।তুমি চিন্তা করো না☺️
আয়েশা-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।আমি একদম ভুলেই গিয়েছিলাম তার কথা।
আব্বু-তোমারা ভুলে গেলেও আমারা ভুলি না মামনি😉
.
নার্স-রোগীকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না
.
দরজা খোলার শব্দ হতেই সেদিকে তাকালাম।একে একে আমার সব পরিচিত মুখ দেখতে পেলাম☺️
.
সবাই আমার কাছে এসে আমাকে দেখতে লাগলো।সবার চোখেই পানি।তাদের চোখে পানির রহস্য আমি উদঘাটন করতে পারলাম না।
.
হটাৎ নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হলো।দ্রুত ডাক্তার এসে আমাকে কয়েকটা ইঞ্জেকশন দিলো।আমি ঘুমের অতলে হারিয়ে গেলাম।
.
ডাক্তার-চিন্তা করবেন না,এটা কোনো সমস্যা না। স্বাভাবিকভাবেই মাঝে মাঝে এমন হয়।
মীম-আমার লিআসের কিছু হবে না তো ডাক্তার?😕
ডাক্তার-রোগীকে অক্সিজেন দেয়া হয়েছে।ঘুম থেকে উঠলে সব ঠিক হয়ে যাবে☺️
.
যখন ঘুম ভাঙলো তখন আমার বাম হাতের উপর চাপ অনুভব করলাম।
.
মাথা নাড়াতে প্রচুর কষ্ট হলো।সব কষ্ট দূর হয়ে গেলো যখন মীমের মায়াবী মুখটা দেখলাম😍
.
দেখী মীম আমার হাতের উপর ঘুমিয়ে আছে।হয়তো আমার কাছে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরেছে।
.
আমার একটু একটু মনে পরলো।আমি আয়েশার গাড়ি নিয়ে সিলেট যাইতেছিলাম।আর হটাৎ করেই পিছন থেকে ধাক্কা খেলাম।মুহুর্তেই সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেলো😣
.
বুঝলাম মীমের সাথে পার্কে থাকার সময়টা আমার স্বপ্ন ছিলো।আর সেই স্বপ্ন সত্যি করার ইচ্ছা আমার মাঝে প্রবল হলো🤗
.
১৫ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে।এর মাঝে সুমন,নাফিস ভাইয়া এসেছিলো।আমি সুস্থ হওয়ার আগে আয়েশা এখান থেকে যাবে না।আমি বুঝিয়ে তিনজনকে পাঠিয়ে দিয়েছি।মীম সবসময় আমার পাশে থাকে।আমাকে সেবা করার বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখে না☺️
.
একটা সময় দুই পরিবারের আমাদের সুখের কথা ভেবে সবকিছু মেনে নেয়।তারা এটা ভালো করেই বুঝতে পারে, আমরা একে অন্যকে ছাড়া কখনো সুখী হবো না।তাদের কাছে সমাজের চিরাচরিত নিয়ম এখন তুচ্ছ😊
.
মীম যে শুধু আমাকে সেবা করে তা নয়।যখনি কেবিনে কেউ না থাকে, তখনি আমার গালে,কপালে পাপ্পি দেয়😍
.
আমি-এসব কি ঠিক?
মীম-কেন ঠিক না?🤨
আমি-তুমি একটা অসহায় ছেলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার সম্ভ্রম ধীরে ধীরে নষ্ট করতেছো😭
মীম-তুমি ঢং করার জায়গা পাওনা,তাই না?কালকে থেকে যদি এভাবে তোমাকে আদর না করি তাহলে তুমি নিজেই তো আমার সাথে অভিমানের করে কথা বলবা না😒
আমি-সেটা ভিন্ন কথা😅
মীম-ও আচ্ছা ওইটা ভিন্ন কথা?আর তোমাকে এখন আদর করতেছি,সেটা কি এমনি এমনি নাকি?😏
আমি-তাহলে?পরে কি পিটানি দিবা নাকি?🙂
মীম-পিটানি ওইটা অন্য খাত।আর এটা ভালোবাসার খাত😊
আমি-আচ্ছা তুমি কি আমাকে ভালোবাসা দিতেছো নাকি দেশ চালাইতেছো?😒
মীম-দেশ চালানোর চেয়ে তোমাকে বোঝা কষ্ট বেশি।শোনো আমি সব হিসাব করে রাখতেছি।তোমার কাছে থেকে সুদে-আসলে আদর আর ভালোবাসা ফেরত নিবো😁
আমি-তোমাকে বিয়ে করবে কে?আমি তোমাকে বিয়ে করবো না😏
মীম-সেটা দেখাই যাবে।দরকার হলে তোর সব হাত-পা ভেঙে সারাজীবন হাসপাতালে রেখে দিবো,তারপরেও তোকে অন্য কারো হতে দিবো না।তুই শুধু আমার😘
.
আল্লাহর অশেষ রহমত আর মীমের এমন ভালোবাসার জন্য দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলাম।
.
৪০ দিন হাসপাতালে ছিলাম।এই ৪০ দিনে মীম আমার থেকে ৪০ ঘন্টাও আলাদা থাকে নাই।এতদিনে এ সম্পুর্ণ সুস্থ হয়েছি,তা নয়।ডাক্তার কোনোভাবেই আমাকে হাসপাতাল থেকে যেতে দিবে না।
.
ডাক্তার-এটা সম্ভব না😒
মীম-কেন?
ডাক্তার-এটা ঠিক যে,রোগী অনেক দ্রুত সুস্থ হইতেছে কিন্তু এখন তার আরো যত্নের প্রয়োজন
মীম-আমি তো আছি😉
ডাক্তার-হাসপাতালে যেমন সময় মতো সবকিছু করা হইতেছে।বাসায় সেটা সম্ভব না😐
মীম-কেন সম্ভব না?আমি লিআসের সম্পুর্ণ খেয়াল রাখবো🤗
ডাক্তার-আপনি হাসপাতালেই যেভাবে রোগীর সেবা করতেছেন সেভাবেই করতে থাকেন।এতদিন কষ্ট করলেন আর কিছুদিন করেন।রোগীকে সম্পুর্ন সুস্থ করে নিয়ে বাসায় যান☺️
মীম-প্লিজ।আমি আপনাকে বলতেছি তো আমি ওর খেয়াল রাখবো😟
.
মীমের অনেক জোর করার পরে ডাক্তার আমাকে বাসায় আসার অনুমতি দেয়।এবং এটাও বলে যেকোনো সমস্যা হলে যেন ফোন দেয় আর বেশী সমস্যা হলে বিলম্ব না করে যেন হাসপাতালে নিয়ে যায়☺️
.
কিন্তু বিপত্তি হলো বাসায় যাওয়ার পরে।হাসপাতালে মীম সারাক্ষন আমার কাছে থাকলেও এখানে আমার সাথে একঘরে থাকা সম্ভব না।কারণ শত হলেও অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে একঘরে থাকা,আমাদের ভারত উপমহাদেশে ভালো নজরে দেখা হয় না😐
.
মীমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।স্বপ্নে যেমন দেখেছিলাম,ঠিক তেমনি।পার্থক্য হলো স্বপ্নে পার্ক,উপরে নীল আকাশ দেখেছিলাম আর এখানে ছাদ এবং চার দেয়াল দেখতে হচ্ছে😑
.
এমন রোমান্টিক সময়ে মীমের বাবা ঘরে আসলো।আসার আর সময় পেলো না।মীম আর আমি একটু খুনসুটিতে ব্যস্ত হবো এমন সময় "কাবাবে হাড্ডি" হয়ে হাজির।মীম আমাকে বালিশে শুয়ে দিলো।😬
.
মীমের বাবা-বাসায় তো নিয়ে আসলা লিআসকে, এখন ছেলেটার কি হবে?
মীম-কেন?🙄
মীমের বাবা-তুমি যেভাবে লিআসের খেয়াল রেখেছো,সেভাবে আর কেউ রাখতে পারবে না😐
মীম-অন্য কারও রাখতে হবে কেন?আমি লিআসের সেবা করবো🤗
মীমের বাবা-সমস্যা হচ্ছে তোমরা তো স্বামী-স্ত্রী নও😒
মীম-লিআস সুস্থ হলেই বিয়ে করে নিবো।তাতে তোমাদের কারো মত থাকুক আর না থাকুক😑
মীমের বাবা-আমি আবার কখন বললাম যে আমাদের আপত্তি আছে?🤨
মীম-তাহলে আর সমস্যা কোথায়।আমাদের দুই পরিবার রাজি তাহলে লিআসের কাছে থাকতে আর কোনো সমস্যা নেই☺️
মীমের বাবা-দেখো মামনি,এই অফিসের হেড আমি,সেকেন্ড হেড লিআসের আব্বু।হেডকোয়ার্টারের সবাই আমাদের ভালোভাবেই চিনে।
মীম-সমস্যা কোথায়?🤨
মীমের বাবা-বিয়ে ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসাথে থাকা যায় না😑
মীম-তাহলে শুনো বাবা, আংকেল মানে লিআসের আব্বু এর সাথে কথা বলে কালকেই বিয়ের ব্যবস্থা করো
মীমের বাবা-একদিনে এতকিছু করবো কীভাবে?
মীম-এতকিছু মানে?অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নাই😒
মীমের বাবা-তুমি কি বলো বাবা?😐(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি-........(কিছু বলতে যাবো কিন্তু মীম আমার পক্ষ থেকে উত্তর দিয়ে দিলো)
মীম-ও কি বলবে?আমি যেটা বলছি সেটাই করো😐
মীমের বাবা-ঠিক আছে আমি লিআসের আব্বু এর সাথে কথা বলে দেখিতেছি😊
মীম-আংকেলকে এখানে আসতে বলো।যা কথা বলার প্রয়োজন আমাদের সামনে বলবা😑
.
ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুক মীমের বাবা,আব্বুকে কল দিয়ে আসতে বললো।আব্বুও দেরী না করে চলে আসলো।
.
আব্বু-কি হয়েছে স্যার?🤨(মীমের বাবাকে উদ্দেশ্য করে)
মীমের বাবা-মীম বলতেছে কোনো অনুষ্ঠান না করে কালকে ওদের বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য।এখন আপনি কি বলেন?
আব্বু-দেখো মামনি তুমি পরিবারের বড় মেয়ে এবং লিআস আমাদের বড় ছেলে।আমাদের তো শখ হয় বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার😔(মীমকে উদ্দেশ্য করে)
মীম-কিন্তু বিয়ে ছাড়া তো আমাকে লিআসের কাছে থাকতেও দিবেন না😑
আব্বু-মামনি তুমি অনেক সেবা করেছো লিআসের।তুমি দিনের বেলা এসে লিআসের সেবা করো সমস্যা নাই কিন্তু রাতে আমি আছি,লিআসের আম্মু আছে,আমরা লিআসের খেয়াল রাখবো☺️
মীম-আংকেল আমি জানি আপনারা লিআসের অনেক ভালো করেই খেয়াল রাখতে পারবেন।কিন্তু আমি লিআস কে এমন অবস্থায় রেখে শান্তি পাবো না।এখন আমাদের বিয়েটা দেন।আমি লিআসের সেবা করি।পরে না হয় অনুষ্ঠান করা যাবে☺️
আব্বু-স্যার এখন আপনি বলেন কি করা যায়😔(মীমের বাবাকে উদ্দেশ্য করে)
মীমের বাবা-ওরা যখন চাইতেছে তাহলে ওদের কথাই থাক।আপনার কি আপত্তি আছে?🤔
আব্বু-না স্যার আমার কোনো আপত্তি নেই🙃
.
আব্বু আর মীমের বাবা চলে গেলো।মীম কয়েকজনকে কল দিয়ে সবকিছু জানালো।
.
রাতে মীমের সাথে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে গল্প করতেছি।মীমের হাত ধরে থাকতে ভালো লাগতেছিলো😌
.
মীম-অবশষে তুমি আমার হবে☺️
আমি-কি বললে?আমি তোমার হইতেছি?🤨
মীম-হ্যা😚
আমি-জ্বী না ম্যাডাম।তুমি আমার হইতেছো😁
মীম-আমার কাছে আসতে গিয়েই তো ট্রাক ভেঙে ফেলছো😁(মজা করে)
আমি-এই তুমি আমাকে অপমান করতেছো?🤨
মীম-তোমার অপমানবোধ আছে?😅
আমি-মানে?আমার মানসম্মান কি নাই?😒(রাগের ভান করে)
মীম-আমার কাছে তোমার আবার মানসম্মান?🤣প্রথম যেদিন প্রোপোজ করছিলা তখন যেভাবে অপমান করছিলাম আর থাপ্পর মারছিলাম তাতে আমার সাথে আর কোনোদিন কথা বলাই উচিত ছিলো না তোমার।কিন্তু তুমি কি করলা?লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আমাকে পাগলের মতো ভালোবেসে গেলা🤣
আমি-........😌(কিছু বলার ভাষা পাইতেছি না)
মীম-এখন বলো আমার কাছে তোমার মানসম্মান আছে?😁
.
ইচ্ছা করতেছিলো মীমকে একটু জড়িয়ে ধরি।কিন্তু সেটা এখন সম্ভব না।মীমের হাতে একটা পাপ্পি দিলাম।😘
.
মীম-পাগল একটা☺️(আমার মাথায় নাড়া দিয়ে)
আমি-এখনো তো পাগলের পাগলামি দেখো নাই😏
মীম-আর কি দেখার বাকি আছে আমার?🤔
.
মীমের এই কথাটার অপেক্ষাতেই আমি ছিলাম।মীমের মীমের গলায় মাথাটা নামিয়ে কিস😘 করতে শুরু করলাম।
.
মীমকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে কিস করেই যাচ্ছি।কখনো ছোট কিস আবার কখনো একটু বেশী সময় নিয়ে😘।হটাৎ করেই আমার কাছে থেকে এমন ভালোবাসার আক্রমণ মীমকে আমার প্রতি আরো দুর্বল করে ফেললো😍।মীমও যেন দীর্ঘদিন ধরে এমন আদর চাইছিল😌।মীম আমার মাথা জড়িয়ে ধরলো।বুঝলাম,আমি শুধু আদর করতে চাই এমন না মীমও আমার কাছে থেকে আদর পেতে চায়😚।আমার মাঝে থামার কোনো ইচ্ছা নাই।
.
হয়তো ২০-৩০ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেছে।কিন্তু আমাদের খেয়াল নাই।এমন ভালোবাসার 😍😘মুহুর্তগুলো খুব দ্রুত চলে যায়।
.
মীম-..................
.
.
সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।আমার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।সবাই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।আমাকে সবাই সাহায্য করবেন যাতে ভালো একটা গল্প আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
.
………...আল্লাহ সবার সহায় হোক…………….
………………...ধন্যবাদ………………………….
.
.