পর্ব-১০:

35 0 0
                                    

গল্প= সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ(পর্ব-10)
লেখক=মুসকান এর আব্বু
.
মীম আমার জন্য কান্না করেই যাচ্ছে।মীমের কান্না কোনো ভাবেই থামছে না।হটাৎ মীমের কাধে কারো হাত পরলো।মীম পিছনে ঘুরে তাকাতেই দেখলো ঝুম।
.
ঝুম-আপু তুই কান্না করিস না
মীম-আমি যে লিআস কে অনেক আগেই ভালোবেসে ফেলেছি রে।😵
ঝুম-সেটা বলে দিলেই পারতি
মীম-তোদের কে দেখে আর নিজেকে সামলাইতে পারি নাই🙁
ঝুম-আর কান্না করিস না আপু।দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে😊
মীম-............😥(কান্না করেই যাইতেছে)
ঝুম-আপু এখানে আর বসে কান্না করিস না।মানুষ দেখলে খারাপ ভাব্বে
.
মীমকে কোনো উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ঝুম,মীমকে  দার করিয়ে দিল।মীম,ঝুমকে ধরে আরও জোরে কান্না শুরু করে দিল।
.
ঝুম-আপু এবার একটু কান্না থামা😥
মীম-লিআস যদি রাগের মাথায় উল্টা-পাল্টা কিছু করে ফেলে???😕
ঝুম-আপু চিন্তা কোরো না।এমন কিছুই হবে না😚
মীম-এমন কিছু হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না😢
ঝুম-আপু দেখবে লিআস ভাইয়া একদম সুস্থ আছে
মীম-..........😭(কান্না করেই যাচ্ছে)
ঝুম-আপু তোর হাতে ওইটা কি রে?🤔(মীমের হাতের দিকে খেয়াল করে)
মীম-কই কিছু না তো(হাত লুকানোর চেষ্টা করে)
ঝুম-আমাকে দেখা🤨
.
বাধ্য হয়ে মীম হাতের আংটিটা ঝুমকে দিল।আর ঝুম আংটিটা নিয়ে অবাক।
.
ঝুম-কত সুন্দর আংটিটা।লিআস ভাইয়া তাহলে এটাই তোর জন্য এনেছিল?
মীম-হ্যা😔
ঝুম-তোর হাতে পরিয়ে দেয় নাই?🤔
মীম-হয়তো পরিয়ে দিত কিন্তু আমি ওকে কথা বলারই কোনো সুযোগ দেই নাই😭(আরো জোরে কান্না করে দিল)
ঝুম-আপু তুই room এ চল🙂
মীম-.......😰(কান্না করেই যাচ্ছে)
.
মীমের কাছে থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে ঝুম,মীমের হাতে আংটিটা ফেরত দিল এবং মীমকে room এ নিয়ে যেতে লাগলো।আর তখনই মীমের আম্মু ডাক দিল।
.
আন্টি-কি হয়েছে রে ঝুম?🤔
ঝুম-আর বলো না মা।আপুর অনেক মাথা ব্যাথা করতেছে তাই আপু কান্না করতেছে😔
আন্টি-খুব ব্যাথা করতেছে?ডাক্তার আনতে বলবো তোর বাবাকে?🤔
ঝুম-এত অস্থির হইলে চলে মা?🤪
আন্টি-তা অস্থির হওয়ার তো কথা।
ঝুম-এতো চিন্তা করো না তো।দেখি আমাদের যেতে দাও।😤
আন্টি-কোথায় নিয়ে যাইতেছিস ওকে?🤔
ঝুম-আমাদের room এ নিয়ে যাইতেছি।☺️
আন্টি-মীম কি কিছু খাইছে?
ঝুম-না মা।পরে খেয়ে নিবে😉
আন্টি-পরে খাবে কি রে?এখন খেয়ে তারপর না হয় room এ যাবে
ঝুম-আরে মা।দেখতেছো আপু অসুস্থ।তারপরেও এখন  খেতে হবে?আর এখানেই খেতে হবে?😤
আন্টি-খেতে আর কতক্ষন সময় লাগবে?আর খাবার খেলে শরীরটাও ভালো লাগবে।😊
ঝুম-আপুকে আমি room এ নিয়ে যাইতেছি।পরে আমি খাবার নিয়ে যাবো।আপু room এ বসে খাবে।এখন সরো তো সামনে থেকে😡
আন্টি-..........😲.(কিছু বলার ভাষা নাই)
.
এতক্ষন কথার মাঝে মীম কোনো কথা বলে নাই শুধু হালকা শব্দে কান্না করেছে😭।
.
মীমকে নিয়ে ঝুম room এ আসলো আর মীমকে খাটে বসিয়ে দিল।
.
ঝুম-আপু তুই একটু বসে থাক আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসতেছি
মীম-আমি খাবো না।তুই light টা বন্ধ করে দিয়ে যা🙃
ঝুম-তা বললে হয় নাকি?তুই একটু অপেক্ষা কর।
.
মীমকে কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে ঝুম মীমের জন্য খাবার আনতে গেলো।একটু পরে ঝুম খাবার নিয়ে এসে দেখে যে মীম শুয়ে পরছে।
.
ঝুম-এই আপু উঠে পর।তোর জন্য খাবার আনছি
মীম-আমি খাবো না😒
ঝুম-আর একবার উঠেই দেখ না কি আনছি।তোর favourite কাচ্চিবিরিয়ানি😁
মীম-যা এখান থেকে।আমি খাবো না😕
ঝুম-তুই তো রান্নার শেষ হওয়া পর্যন্ত ছিলি না।জানিস কে রান্না করেছে?😉
মীম-বাজে বকিস না তো😬
ঝুম-রান্নাটা তোর শ্বাশুড়ি মানে লিআস ভাইয়ার আম্মু করেছে😊
মীম-........🤐(চুপ করে আছে)
ঝুম-আপু তুই না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দিলে কি সব ঠিক হবে?😧
মীম-সেটা হবে না।কিন্তু নিজেকে কষ্ট দিয়ে হয়তো একটু শান্তি পাবো😔
ঝুম-আপু লিআস ভাইয়া যখন ফিরে আসবে তখন যদি দেখে তোর শারীরের অবস্থা খারাপ তখন তো লিআস ভাইয়াও কষ্ট পাবে।
মীম-........😔(চুপ)
ঝুম-তুই যদি এভাবে ভেঙে পরিস তাহলে লিআস ভাইয়াকে বুঝাবি কিভাবে??
মীম-........😥(কান্না করতেছে)
ঝুম-আমার জন্য না হোক লিআস ভাইয়ার জন্য হলেও একটু খেয়ে নে।
মীম-.......😰(মাথা নিচু করে কান্না করতেছে)
ঝুম-হা কর আপু......কিরে হা কর
.
ঝুমের কথায় মীম হয়তো একটু হালকা হলো আর তাই ভাত খাওয়ার জন্য হা করলো।ঝুম,মীমকে ভাত খাইয়ে দিতেছিল।মীম খাইতেছিল আর সেই আংটিটা দেখে বার বার চোখ মুছতেছিল।খাওয়া শেষ করে মীম ঘুমিয়ে পরলো আর ঝুম তার মা এর কাছে গেল।
.
এদিকে আমার আব্বু-আম্মু,আর মীমের আব্বু এক জায়গায় বসে আছে।
.
আংকেল-লিআস এর সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছেন বাদল সাহেব?🤔
আব্বু-জ্বী না স্যার😔
আংকেল-এখন কি করবেন?
আব্বু-আমি ঠিক বুঝতেছি না কি করবো এখন😕
আম্মু-আগে কখনও তো এমন করে নাই😟
আংকেল-সেটাই তো ভাববার বিষয়।হটাৎ কি এমন হলো যে লিআস কাউকে কিছু না বলে চলে গেলো?🤔
আব্বু-দেখি আবার call দিয়ে যদি এবার call ঢুকে🤩
আংকেল-হ্যা দেখেন☺️
.
আব্বু আমার phone এ call দিল কিন্তু আমার phone বন্ধ।
.
আংকেল-কি কথা হলো লিআসের সাথে?
আব্বু-নাহ। phone বন্ধ😟
আম্মু-এখন কি করা যায়??এক কাজ করো লিআসের বন্ধুদের সাথে কথা বলো।🙃
আব্বু-যাদের number ছিল তাদের সাথে কথা হয়েছে।কিন্তু তারা বললো তারা কিছুই জানে না🙁
আংকেল-বাদল সাহেব নিজেকে শক্ত করুন।হয়তো লিআসের phone এ চার্জ নাই😗
আব্বু-কিন্তু লিআস আমাকে না বলে তো চলে যাবে না।এমনকি ওর ভার্সিটি থেকে সবাই মিলে কোথাও গেলেও আমাকে বলে তারপর যায়।😔
আংকেল-দেখেন বাদল সাহেব বেশি চিন্তা করবেন না।সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ😊
আব্বু-...........😔(মাথা নিচু করে আছে)
আংকেল-আর কিছু না হোক একটা missing diary করতে হবে।
আব্বু-তাহলে স্যার আমি এখনই গিয়ে diary টা করে আসি☹️
আংকেল-আপনার যেতে হবে কেন?আমি এখনই DC কে call করতেছি।
.
আংকেল DC কে এই রাতেই call করলো আর কিছুক্ষন এর মধ্যেই কিছু পুলিশ আসলো এবং আমার(লিআসের)  সম্পর্কে স্পব তথ্য নিয়ে গেল।কিন্তু আমার এইভাবে চলে যাওয়ার কারণ উৎঘাটন করতে পারলো না।🤯🤯
.
পুলিশ চলে যাওয়ার পর একটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করতেছে।এত কিছু হয়ে গেছে মীম কিছু জানে না কারন মীম কান্না😭 করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছে।
.
আব্বু-আম্মু কিছু খেতে পারলো না।জন্মদিনের অনুষ্ঠান যেমন হওয়ার কথা ছিল ঠিক তেমন হলো না।সবাই মবের মাঝে বিষন্নতা ☹️আর অজানা ভয় নিয়ে ঘুমাতে গেলো।
.
এদিকে কারো ধাক্কায় আমার ঘুম ভেঙে গেলো।সামনে তাকিয়ে দেখি সুপার ভাইসার।
.
আমি-কি হয়েছে??🤨
সুপার ভাইসার-স্যার আপনাকে এখন নামতে হবে।🙂
আমি-না আমি break time এ নামবো না🤪
সুপার ভাইসার-স্যাতল্র break time তো অনেক আগেই হয়ে গেছে।আমরা ঢাকা এসে পরেছি স্যার।😉
আমি-আপনি কি আমার সাথে মজা করতেছেন?😤
সুপার ভাইসার-জ্বী না স্যার।আপনি তাকিয়ে দেখেন একজন যাত্রীও নেই আর দোকানের সাইনবোর্ড গুলো দেখেন তাহলেই বুঝবেন।😊
.
আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখি সত্যি ঢাকায় এসে পরেছি।
.
আমি-কয়টা বাজে একটু বলেন তো🙃
সুপার ভাইসার-স্যার এখন ভোর 4.37 বাজে।
আমি-thanks😊
সুপার ভাইসার-you are most welcome sir😉
আমি-sorry আপনার সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করে ফেলেছি😔
সুপার ভাইসার-it's ok sir.☺️
.
বাস থেকে নেমে রিক্সা খুজতে লাগলাম।যেহেতু ঢাকা শহরে সারারাত রিক্সা চলাচল করে তাই রিক্সা পেতে খুব একটা অসুবিধা হলো না।😉
.
রিক্সা নিয়ে সোজা hostel এ যেতে লাগলাম।প্রায় 20 মিনিট পর hostel এ পৌছালাম।আমার room এ গিয়ে দেখি আমার বন্ধু সুমন নামাজ পরার পর বসে আছে।আমাকে দেখে সুমন তো অবাক।😲
.
সুমন-কিরে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসলি যে🤔
আমি-কেন তো তোর সমস্যা করলাম মনে হয়?🤪
সুমন-কিযে বলিস তুই☺️
আমি-তাহলে এত কথা কেন বলিস?😬
সুমন-আসলে আমাদের ক্লাস শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরে তুই hostel এ আসিস।এবার এত আগে আসলি যে।সেজন্যই জিজ্ঞাসা করলাম☺️
আমি-কেন মানুষ পরিবর্তন হয় না?😵
সুমন-তোর হয়েছে কি বল তো?🤔
আমি-কিছুই হয় নাই।কি হবে আমার?😤
সুমন-তাহলে এমন করে কথা বলতেছিস কেন?🤨
আমি-কেমন করে কথা বলতেছি?আমার কথা তোর ভালো না লাগলে আমার সাথে কথা বলিস না।😡
সুমন-আচ্ছা বাদ দে।খাইছিস রাস্তায় কিছু?😊( সুমন আমার একদম ছোট বেলার বন্ধু যাকে বলে ল্যাংটা কালের বন্ধু।আমি নিজের সম্পর্কে না যতটুকু জানি,আমার চেয়ে বেশি সুমন জানে।তাই হয়তো সুমন বুঝতে পারলো যে এখন আমার মাথা ঠিক নাই)
আমি-না।🙃
সুমন-তুই fresh হতে যা।আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসি।☺️
আমি-এখন কই থেকে খাবার নিয়ে আসবি?🤨
সুমন-গতকালকে রাতে 1 প্যাকেট মোরগ পোলাও কিনে আনছিলাম।সেটা আর খাই নাই।নিচে ফ্রিজে রাখা আছে।☺️
.
আমি কোনো কথা না বলে fresh হতে চলে গেলাম আর সুমন খাবার আনতে গেলো।
.
আমি fresh হয়ে বের হওয়ার পর দেখি আমার টেবিলে একপ্যাকেট খাবার আর একটা coke রাখা।সুমন ওর বিছানায় বসে আছে।
.
আমি সুমনের সাথে কথা না বলে খাওয়া শুরু 😋করলাম।গতকাল দুপুরে খাইছিলাম।তারপর আর খাওয়া হয় নাই।অনেক ক্ষুধা লাগছে।আমি এত তাড়াতাড়ি খেতে লাগলাম যে 5 মিনিট এ সব শেষ।🙂
.
সুমন-কিরে কয়দিন ধরে খাস নাই?😅
আমি-..........🤨(হাত ধুইতেছিলাম কিন্তু কথা বললাম না)
সুমন-কি হয়েছে বল তো।🤨
আমি-কি আবার হবে🤔
সুমন-কালকে রাতে আংকেল মানে তোর বাবা  আমায় call দিছিল।🙂
.
সুমনের মুখ থেকে আব্বুর কথা শুনে আমি মোটেও অবাক হই নাই।কারন আমি জানি আব্বু সুমনকে call দিবে।
.
আমি-কি বললো আব্বু?🤔
সুমন-তেমন কিছু বলে নাই।শুধু জিজ্ঞাসা করলো যে তো সাথে কথা হইসে নাকি।
আমি-তুই কি বললি?
সুমন-আমি আবার কি বলবো?বললাম যে 10-12 দিন ধরে কথা হয় না।😔
আমি-ভালো করছিস।আর শোন আবার call করে আমার কথা জিজ্ঞাসা করলে তুই বলবি না যে আমি এখানে আছি।😉
সুমন-সেটা না হয় বলবো না কিন্তু হয়েছে টা কি?আমাকে একটু সব কিছু খুলে বল তো।☺️
আমি-পরে বলবো।এখন আমাকে একটু ঘুমাতে দে।😪
সুমন-আচ্ছা ঘুমা তাহলে।
.
আমি ঘুমিয়ে পরলাম😴😪।ঘুম থেকে উঠে আমি পুরাই অবাক।আমি দেখি যে.............
.
.
.
তাই আগের পর্বগুলো অবশ্যই পরে নিবেন।গল্প ভালো ভালো/খারাপ যেমনই লাগবে সেটা comment করে জান
.
.
Winx_Tinku
.

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড থেকে সিনিয়র বউ Où les histoires vivent. Découvrez maintenant