তাড়াতাড়ি গিয়ে লেডিস ওয়াশরুমে ঢুকলাম। আর তার সাথে সাথেই ঘটলো আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে জঘন্য ঘটনাটা। লেডিস ওয়াশরুমে হবি ভাইকে আবারো জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে হেইরান। হবি ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, হঠাৎই হেই হবি ভাইয়ের গালে একটা চুমু দিয়ে বসলো। এবার আর আমার কান্না পেলোনা, আর না ছুটে পালাতে ইচ্ছে করলো। চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছি। বলে না, অতি শোকে পাথর, আমার ক্ষেত্রেও বোধয় এমনটাই হচ্ছে।
- " রোমান্সের জন্য অনেক জায়গা পড়ে আছে, বিশেষ করে আপনাদের মতো মানুষদের এসব করার জন্য বিশেষ জায়গা খোঁজার প্রয়োজন হয় বলে আমার মনে হয়না। এটা লেডিস ওয়াশরুম, তাই দয়া করে অন্য জায়গায় গিয়ে এসব করুন।" শক্ত কণ্ঠে হবি ভাইকে কথাটা বললাম। এই প্রথমবারের মতো কোনপ্রকার সম্বোধন ছাড়াই উনার সাথে কথা বললাম আমি। এর আগে কখনো এভাবে কথা বলেছি কি! নাহ্, কোনদিনও না। হাজার অপমান, হাজার কথা শোনার পরেও এতোটা কঠিনভাবে কথা বলার মতো মন - মানসিকতা আমার মধ্যে তৈরি হয়নি কোনদিন। হবি ভাই অবাকের চেয়েও বেশি কিছুর কারণে একদম পলকহীন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো ভাবছেন, যে মেয়ে কোনদিনও তার সাথে একটা বেশতি কথা বলেনি সে কী করে এতো কথা শুনাচ্ছে!
- " এখানে কোন সুটিং চলছেনা যে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখার প্রয়োজন পড়বে। " বলার সাথে সাথেই হবি ভাই হেই এর দিকে একবার তাকিয়ে বের হয়ে গেলেন। অবশ্য যাওয়ার সময় আমাকে না দেখানো রাগের ঝড়টা দরজার ওপর দিয়েই গিয়েছে। ওয়াশরুমে ঢোকার সাথে সাথেই শুরু হলো আমার কান্না। কতই বা অভিনয় পারা যায়! অন্তত নিজের সাথে তো আর অভিনয় করতে পারিনা! তাহলে যে বেঁচে থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়বে!
শাড়িটা ঠিক করতে গিয়ে আরেকদফা কান্না করলাম। যদি এসবই করার হতো,তাহলে হাতে উনার নাম, কেন আমার শাড়ি নিয়ে উনার চিন্তা এসব দেখাতে আসতেন! চোখ মুছে মনকে আবারো শক্ত করলাম।স্টেজে জিন ভাইয়া আর সুজিন আপু নাচ করছে, আর নামজুন ভাইয়া আর সুহি বসে আছে। নিচে একটা চেয়ারে বসে আছি, হুট করে আমার পাশে এসে বসলো অরণ্য। আশপাশে একবার তাকিয়ে দেখে নিলাম হবি ভাই কোথায়। ঐযে, একদম আমার সামনের সারির কোণার চেয়ারটাতেই তো বসে আছে! আমিও খুব স্বাভাবিকভাবেই অরণ্যের সাথে কথা বলতে লাগলাম। কিন্তু চোখে ভাসছে ওয়াশরুমে ঘটে যাওয়া সেই জঘন্য কাহিনীটা। যতবারই উনার একটু কাছে যেতে চাই, ততবারই উনি আমাকে ভেঙে চুড়ে তছনছ করে দেন। এবার আর না! অরণ্যের সাথে কথা বলছি, এমন সময় ইউনা এসে বললো,
- " তাড়াতাড়ি আমার সাথে আয়, নয়তো সর্বনাশ হয়ে যাবে।" ইউনার মুখে এতোটা গম্ভীর কথা, তার মানে আসলেই কাহিনী ভয়ানক। কথা না বাড়িয়ে সোজা ওর পিছু নিলাম। যেতে যেতে একটা রান্নাঘর ধরনের জায়গায় এসেই যা দেখলাম, তাতে আমার মাথা ঘুরে পড়ার উপক্রম হলো। দেখলাম- একটা মোটা পিলারের সাথে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে আছে প্রায় ৪/৫জন লোক। আর তাদের সামনে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জরিনার মা। মাথাটা একটু ঘুরাতেই আরেক ভয়ানক ঘটনা চোখে পড়লো। সখিনা আন্টি চামচ, হাড়ি - পাতিলে কোন কাজ করছেন। মানে আবার উনার কোন রান্না! "নাআআআআ" বলে এক চিৎকার দিতেই সখিনা আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- " তুই আইসোস! ভালা হইসে। এদিকে আয় তো!" আমি আর ইউনা উনার কাছে যেতেই সখিনা আন্টি বললেন,
- " এই যে পিঁয়াজ রসুনের জুস বানাইসি। খাইয়া দেখ তো সব ঠিক আছে নাকি! কাসুন্দি আর টমেটো সস আর লাগবে নাকি দেখ তো!" এই কথা শোনার সাথে সাথেই নিজেকে সাদা কাফনের কাপড়ে জরানো অবস্থার চেহারাটা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো।
- " পিঁয়াজ,রসুন,টমেটো সস আর কাসুন্দি মেশানো জুস! এটা কি সবাইকে খাওয়াবেন আন্টি? " জিজ্ঞেস করতেই সখিনা আন্টি বললেন,
- " হ, এর লাইগাই তো তোরে টেস্ট করতে কইতাসি। " ইউনার দিকে তাকাতেই বুঝলাম ও কিছু একটা ভাবছে। এখন এটা খেলে তো আমি সাথে সাথেই মারা যাবো,এটা কে বোঝাবে উনাকে! আবার খাবোনা বললেও তো উনার হাতে মরা লাগবে! কি করবো আমি! ঐদিকে এতো মেহমানদের যদি এই শরবত খাওয়ানো হয়, তাহলে একসাথে মোটামুটি শ 'খানেক লোক মরবে।
- " কিরে! খাসনা কেন?" সখিনা আন্টির তাড়া।
- " এইতো খাচ্ছি। কিন্তু ঐ লোকগুলোকে এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন আন্টি?" এবার জরিনার মা বললো,
- " আমরা এনে আইয়া এই বদের দলরে কইলাম আমরা শরবত বানামু। ওরা দিলো। যখনই শরবত বানানো শুরু করলাম, এরা ঐডা দেইখাই গলাকাটা মুরগীর মতো তাপড়ানো শুরু করসে। পরে এডিরে বাইন্ধা পরে কাম শুরু করসি। " বলেই ঐ বেঁধে বাবুর্চিদের একজনের গাল ধরে টান দিলেন জরিনার মা। বেচারাদের চোখে মুখে রাজ্যের আতঙ্ক।পাশে তাকিয়ে দেখি ইউনা নেই। হায় খোদা! এবার আমাকে বাঁচাবে কে এই মরণজুসের হাত থেকে! এমন সময় ইউনা কোত্থেকে দৌঁড়ে এসে একগ্লাস জুস না কি যেন এনে সখিনা আন্টি আর আরেক গ্লাস জরিনার মায়ের হাতে দিয়ে বললো,
- " অনেক কাজ করছেন এতোক্ষণ, এখন এই জুসটা খান। নাহলে আবার পানিশূন্যতায় শরীর খারাপ করবে তো!" সখিনা আন্টি ইউনার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে জরিনার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,
- " তুমিও খাও। এই গরুগুলারে বাঁধতে গিয়া অনেক কষ্ট করছো।" বলেই ঢকঢক করে শরবতটুকু খেয়ে নিলো দুজন। ইউনা আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো,
- " এখন দেখবি আসল খেলা। ঠিক দুইমিনিট পরেই এই সুন্দর জুটির কাহিনী শুরু হবে।" বলেই একটা হাসি দিলো। এ হাসির মানে আমি বুঝি।
- " ঠিক করে বল ইউনা, কি করেছিস? উল্টা পাল্টা কিছু মিশিয়ে দিসনি তো শরবতে?" ইউনা বললো,
- " এখানে আসা মেহমানদের বাঁচানোর জন্য এই নেশার ঔষধের গুঁড়ো উনাদের দেয়াটা খুব জরুরি ছিলো।" অ্যাহ্! নেশার ঔষধ! এসব ও পেলো কই! জিজ্ঞেস করতেই বললো,
- " এগুলো জিন ভাইয়ার জন্য জমা করেছিলাম। ভেবেছিলাম বিয়ের পরের দিন এগুলো খাইয়ে কতক্ষণ সার্কাস দেখবো। কিন্তু দেখ! কার কপাল কোনদিকে ঘুরে গেলো!" হায় খোদা! এবার কি হবে! ভাবনার মাঝেই শুরু হলো কাহিনী। সখিনা আন্টি মেঝেতে শুয়ে গড়াগড়ি শুরু করলেন হঠাৎ করে। আর ঐদিক থেকে জরিনার মা এসে মাটিতে বসে পড়লো। এই সুযোগে ইউনা গিয়ে বাবুর্চিদের হাত পা খুলে দিতেই ওদের লিডার বলে উঠলো,
- " মিয়া আপনেরা বিয়া দিতে আইসেন নাকি মার্ডার করতে ঐডা বুঝবার পারলাম না! এই গুণ্ডা মহিলাগুলারে কইত্তে পাইসেন!" লোকটার কথা শেষ হতে দেরী, সখিনা আন্টির একলাফে উঠে এসে ওদের ধুম ধারাক্কা পেটাতে দেরী নাই। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি যা পারছে দিচ্ছে। আমি আর ইউনা মিলে কোনরকমে থামিয়ে সেখান থেকে বের করে এনে হলের একটা কোণায় চেয়ারে বসিয়ে দিলাম দুজনকে। জোরে একটা শ্বাস নিয়ে একটু শান্তি মতো বসেছি, হঠাৎ দেখি জরিনার মা নিখোঁজ। হায় খোদা! এই মহিলা আবার কোন ঝামেলা বাঁধায় কে জানে! তাড়াতাড়ি ইউনাকে সখিনা আন্টির সামনে বসিয়ে দিয়ে আমি গেলাম জরিনার মাকে খুঁজতে।
খুঁজতে খুঁজতে যখন একটা কোণায় এসে পড়লাম, তখন জরিনার মাকে দেখলাম চোখের সামনে দুহাতের আঙুল গোল করে ধরে কী যেন খুব মনোযোগ সহকারে দেখছেন। উনার দৃষ্টি অনুসরণ করে সেখানে তাকাতেই আরেক ঝটকা খেলাম। দেখলাম- জাংকুক আর হানা পিচ্চি এককোণায় দাঁড়িয়ে জিমিন আর লিয়ার অভাব পূরণ করে দিচ্ছে। আজ জিমিন আর লিয়া কিছু দেখায়নি বলে ওরা সেটা শুরু করেছে। আমাকে দেখেই হানা একটু লজ্জা পেয়ে গেলো। আমি কোনরকমে,
- " সমস্যা নেই। জিমিন আর লিয়ার থেকে দেখতে দেখতে আমি অভ্যস্ত। তোমরা চালিয়ে যাও। সরি!" বলেই জরিনার মাকে টানতে টানতে নিয়ে আসতে লাগলাম। একি জ্বালায় পড়লাম! এক বিপদ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বিপদে পড়ে গেলাম!
স্টেজের সামনে বসে আছি, এমন সময় অরণ্য আবার আমার পাশে এসে বসে বললো,
- " একটা কথা বলবো?"
- " হুম" বললাম আমি। আমার মনোযোগ তো হবি ভাইয়ের দিকে। সে একদৃষ্টে আমার আর অরণ্যের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
- " সত্যি বলতে প্রথম যেদিন আপনাকে দেখেছিলাম, সেদিনই আপনাকে আমার ভালোলেগে যায়। আপনার করা প্রতিটি কাজই আমার ভালো লাগে।... " আরো কত বকবক করে চলেছে এ ছেলে। এদিকে আমার কানে এসব কথার কিছুই ঢুকছেনা। আড়চোখে হবি ভাইকে দেখছি আর কিছুক্ষণ পরপর অরণ্যের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিচ্ছি। আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে চুমু খাওয়া লোককে এটুকু না দেখাতে পারলে হয় কী করে! অরণ্যের অসহ্যকর বকবক শুনছি, এমন সময় একটা বাচ্চা এসে বললো,
- " আপু, তোমাকে ঐ ভাইয়াটা ডেকেছে।" হবি ভাইয়ের দিকে আঙুল দেখিয়ে বললো। আমি একবার হবি ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বাচ্চাটাকে বললাম,
- " তোমার ভাইয়াকে গিয়ে বলো আপু তার বন্ধুর সাথে কথা বলছে। দরকার হলে যেন এসে কথা বলে যায়।" বাচ্চাটা দৌঁড়ে গেলো উনার কাছে। হঠাৎ করেই হবি ভাই এসে আমার হাত ধরে টানতে টানতে ছাদে নিয়ে এলো। এবার আমি আবার ভয় পেতে লাগলাম। বোঝাই যাচ্ছে সে প্রচুর রেগে আছে। শার্টের বোতামগুলো প্রায় অর্ধেক বুক অব্দি খোলা। বোতাম ছিঁড়ে ফেলেছেন রাগে। কপালের চুলগুলো বেয়ে হালকা ঘাম বেরুচ্ছে। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন উনি। আমাকে একটা দেয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে আমার দিকে ঝুঁকে এসে চিৎকার করে বলতে লাগলেন,
- " ঐ অরণ্যের জন্যে খুব দরদ উতলে পড়ছে দেখছি! কী এতো কথা ঐ ডাফারটার সাথে? অনেকক্ষণ থেকে দেখে আসছি তোর এসব। কী ভেবেছিস? ফর্সা পিঠ দেখিয়ে বেড়ানোর পরেও কিছু বলিনি বলে এখনো কিছু বলবোনা?" এবার আমি একঝটকায় উনার হাতটা সরিয়ে দিয়ে বললাম,
- " হ্যাঁ, বলবেন না। আপনি আমাকে কিছুই বলবেননা কারণ সেই অধিকার আপনার নেই। সেই ছোটকাল থেকে আপনার সব অপমান সহ্য করেছি তার মানে এই না যে এখনো করবো। লেডিস ওয়াশরুম আর বাড়িতে মেয়েদের জড়িয়ে ধরে রাখা একজন পুরুষ আমাকে কিছু বলার কথা ভাবেন কি করে! অন্যের ওপর জোর খাটানোর আগে নিজেকে সামলান।" বলেই সেখান থেকে নিচে নেমে এলাম। পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পেতাম একজোড়া চোখ অদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সিঁড়ি দিয়ে নামছি আর ভাবছি, এতো কটু কথা কী এর আগে আমি কাউকে শুনিয়েছি! মনে পড়ে না। কিন্তু আজ শুনিয়েছি, তাও হবি ভাইকে। যে মানুষটাকে পাগলের মতো ভালোবাসি, তাকেই শুনিয়েছি। আমার প্রতিটা কদমের সাথে সাথে একফোঁটা করে চোখের জল নিচে পড়ছে। কেন! কেন হবি ভাই আমার ওপর এমন অধিকার দেখায়! আমি তো কোনদিনও চাইনি এমনটা! উনার এই রাগী রাগী কথাই যে আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে উঠেছিলো! যদি এমনই করার হতো, তাহলে কেন আমায় উনাতে অভ্যস্ত করলেন! হচ্ছে করছে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে কান্না করি, কিন্তু তাও যে সম্ভব না!নিচে নামার সাথে সাথেই একটা ভয়ানক আওয়াজ কানে আসতেই দেখি স্টেজে উঠে সখিনা আন্টি আর জরিনার মা মাইক দিয়ে তাদের বেসুরো গান গাচ্ছেন আর সাথে করে ইনহা আর সুগাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে নাচছে। নিচে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে উনাদের দিকে। হায় খোদা! আর কিছুক্ষণ এ গান শুনলে সব মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাবে সেটা নিশ্চিত। তাড়াতাড়ি স্টেজে উঠে আমি, ইউনা আর লিয়া মিলে উনাদের নামিয়ে আনলাম। এমনিতেও মন ভালোনা, তার ওপর উনাদের এই হাল! মা কে গিয়ে বললাম,
- " আমি একটা গাড়িতে করে উনাদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। তোমরা অনুষ্ঠান শেষ করে এসো।" বলেই উনাদের কোনরকমে গাড়িতে নিয়ে বসিয়ে নিজেও সেই ভয়ানক এলাকায় ঢুকে পড়লাম।বাড়িতে এসে সখিনা আন্টিকে উনার রুমে শুইয়ে দিয়ে জরিনার মাকে উনাদের বাড়িতে দিয়ে এলাম। নিজের রুমে গিয়ে চুপ করে শুয়ে চোখ বনধ করতেই আবার সেই ভয়ানক দৃশ্য চোখের সামনে ভাসতেই একলাফে উঠে বসলাম। তবে এখন আর চোখ থেকে জল পড়ছে না। প্রচুর জ্বালা করছে চোখদুটো। মনে হচ্ছে যেন চোখের সব পানিই শুকিয়ে গিয়েছে। উঠে গিয়ে বাবার রুম থেকে একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে এসে আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে যখন ঘুম ভাঙার পর ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি সকাল দশটা। এতো দেরী করে উঠলাম আমি! তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতেই দেখলাম বাসায় কয়েকজন মেহমান সোফায় বসে মা বাবার সাথে কথা বলছে। সাথে সখিনা আন্টিও আছেন। আমি বোঝার চেষ্টা করছি, এতো সকালে উনারা এ বাড়িতে কেন! সুজিন আপুর তো কাল ঐ বাড়িতে যাওয়ার কথা! হেই কে দেখলাম হাসি হাসি মুখ করে এককোণায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ সখিনা আন্টি যে কথাটা বলে উঠলেন, তা শুনে আমার পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যেতে লাগলো। উনি বললেন....
চলবে....
YOU ARE READING
secret admirer (Complete)
Fanfictionআসসালামু আলাইকুম। এটি সম্পুর্ণ কাল্পনিক গল্প। কারো সাথে মিল পেলে লেখক বা পোস্ট দাতার কোনো দোষ নেই। ভুল গুলো ক্ষমা সুলব দৃষ্টিতে দেখবেন ff : sceret admirer jung hoseok ( jhope) Writer -Alloha Sarsalmaz গল্পটা আমার লেখা নয় আমার এক বড় আপুর লেখা।...