পর্ব ১৪ : তার জন্য অভদ্র হতেও রাজি আছি

6 0 0
                                    

#আপনি নামক অনুভূতি , .⁠ 。 ⁠• 。'
#নির ˙⁠❥⁠˙

|১৪|

চুপ করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে থাকি । কি থেকে কি হয়ে গেল। বিষয়টা স্বপ্ন হলে হয়তো ভালো হতো। দুঃস্বপ্ন বলে চালিয়ে দিতে পারতাম । কিন্তু এটা কি হলো,

আব্বু আমার কাছ থেকে কিছু লুকোলেন না। সব সত্যি বলে দিলেন।

সেদিন রাদিফা, মিনহার সাথে বের হওয়ার পর বাসায় মেহমান এসেছিলেন। তারা আর কেউ নয়। আমির স্যাররের বাবা-মা আর তার ছোট বোন। এসেছিলেন আমার বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে। তারা আবার আমাকে দেখতে আসবেন বলেছেন। অরিন আপুর বিয়ের জামেলাটা শেষ হলেই তারা আসবে।

_________

আজ বিকেলে তারা আমাকে দেখতে আসবে। আব্বু আশ্বাস দিয়ে বলেন,

' পাখি মা, দেখতে আসবে বলে যে বিয়েটা দিয়ে দিলাম এমনটা নয়। কত কিছুর ব্যাপার সেপার আছে। বিয়ে তো খেলার জিনিস নয় রে মা। তোর মাকেও তো আমার ঘরে আনা টা সহজ ব্যাপার ছিল না। শাহনাজের কত ঘর এসেছিল জানিস। তাও আবার আমি ছিলাম শ্যামবর্ণের। তোর মায়ের মত সুন্দর মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিতে তারা প্রস্তুত ছিল না। আমি প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার পরেও তোর মায়ের আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘর এসেছিল। কিন্তু ভাগ্য থাকে আমার কাছেই নিয়ে এসেছে। এদিক সেদিক করেই শেষমেশ বিয়ে টা আমার সাথেই হলো। তেমনি এই সম্মন্ধটাও যে তোর ভাগ্যে লিখা থাকতে হবে রে মা। আল্লাহ যদি চান তাহলেই হবে। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। '

আব্বু বলে দিয়েছেন, যেনো কোনো রকম জামেলা না করি। কারণ এতে আব্বুর সম্মান জড়িয়ে আছে। হাজার হোক মেয়ের বাবার একটু হলেও নরম থাকতে হয়। তাই আব্বু বললেন যেনো ঠিক মতো পরিপাটি হয়ে তাদের সামনে বসে থাকি।
চুপচাপ সবকিছু শুনছিলাম। নিঃসন্দেহে যেটাকে হজম করার মতো বিষয়ের চেয়ে কিছুটা কম নয় বলা যায়।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আম্মু তার রুমে যেতে বললেন। তাই গেলাম।
গিয়ে দেখি আম্মু কয়রী রঙের একটা শাড়ি হাতে নিয়ে খাটে বসে আছেন। আমাকে দেখে বললেন,

আপনি নামক অনুভূতি , .⁠ 。 ⁠• 。'Место, где живут истории. Откройте их для себя