#আপনি নামক অনুভূতি , . 。 • 。'
#নির ˙❥˙|১৫|
অরিন আপু রুম থেকে বের হওয়ার পর মিথিলা আপু এসেছিলেন। পাশে বসে কিছুক্ষণ মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আর কেউ আসেনি। তারা আমার কষ্টটা আন্তাজ করতে পেরেছেন। তবে আমি কি কারণে কষ্ট পাচ্ছি তা আন্তাজ করতে পারেননি।
আমির স্যারের বাবার গলার আওয়াজ স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে। পাশের রুম থেকে আমার রুমের ব্যবধান কম থাকায় যা কথা হয় তা স্পষ্ট শুনতে পাওয়া যায়। তিনি হয়তো আব্বুকে উদ্দেশ্য করে বললেন,' মেয়েরা সহজেই এটা মেনে নিতে পারে না। তাই মন খারাপ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। যাক, কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন ওকে। রিধিকে এখন বিরক্ত করাটা উচিত হবে না। এখনোও ছোট তো মেয়েটা তাই। বুঝতে সময় লাগবে। আজ আসি তবে। আর আপনারা বিষয়টা ভেবে জানাবেন তাহলে। সবাই রাজি হলেই এগোতে পারবো। আসি, ভালো থাকবেন। আসসালামু আলইকুম ।।'
আম্মু সবাইকে সালাম দিয়ে তাদের বিদায় জানালেন। আব্বু তাদের কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আসলেন।
রাত আটটা,,,,
কান্না করতে করতে চোখ মুখ অন্য রূপ ধারণ করেছে। যেন ধবধবে ফর্সা চেহারায় অমাবস্যার ছায়া পড়েছে। চোখের উপরে নিচে দেওয়া কাজলের কালি গুলো চোখের অশ্রুর সাথে মিশ্রিত হয়ে গালের সাথে লেপ্টে আছে। শরীরটাও মেজমেজ করছে। মাথাটাও যন্ত্রণা করছে ভীষন। হয়তো জর এসেছে।
রুমে পায়ের আওয়াজ। আরফানের পায়ের আওয়াজ। মাথা তুলে দেখি আরফান এসেছে। সে আজ চুপচাপ। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার এমন অবস্থা দেখে হয়তো তারও আজ কষ্ট হচ্ছে। নিরবতা ভেঙ্গে এবার সে বলল,' খাবি না আপু? কিছুই তো খেলি না তুই। সে কখন দুপুরে ভাত খেয়েছিস। খাবার নিয়ে আসবো? '
' খেতে ইচ্ছে করছে না। একটু একা থাকতে দে আমায়। '
সে আর কথা বাড়ালো না। চলে গেলো।
তার যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আম্মু হাতে ভরতি খাবার নিয়ে আমার সামনে হাজির হলেন। আমার দিকে থাকিয়ে বললেন,