#আপনি নামক অনুভূতি , . 。 • 。'
#নির ˙❥˙|১২|
বিয়েতে যাওয়ার জন্য আজকেও সাজতে হলো রিধির।
তবে ,গতকাল মায়ের পছন্দের সাজে সাজতে হলেও আজ অন্য জনের পছন্দে সাজবে সে।আজ সকালে হঠাৎ অরিন আপু কল দিয়েছিলেন। অবাক চোখে তাকালাম মোবাইলের দিকে। কারন আপুর আজ বিয়ে। আমার সাথে কি প্রয়োজন থাকতে পারে ,এই ভেবে। কলটা রিসিভট করতেই অরিন আপু বললেন, আমার লেহেঙ্গা আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে আজ লেহেঙ্গা পরে আসতে।
আছে তো, আসলে গত বছর ঈদে আমি লেহেঙ্গায় কিনেছিলাম ,পুরোটাই কালো রঙের মাঝে গোল্ডেন এর কাজ করা। বেশ সুন্দর, কিন্তু এটা খুব ভারি,পরলে আমার ভীষন অস্বস্তিবোধ হয়। ভেবেছিলাম, মেহেদী অনুষ্ঠানে বেশ অস্বস্তিকরবোধ হওয়াতেই বিয়েতে একটু নিজের মতো সেজে নিজের মতোই কাটাবো। কিন্তু আপুর কথাই মুহূর্তে তা মাটি হয়ে গেল। ভুল করেছি আছে বলে। এখন না পরলে আপু মন খারাপ করবে। তাই বাধ্য হয়ে পরতে হলো।
আমার সাজগুজ শেষ। বরাবরের মতোই চুল গুলো খোলা রেখেছি, কালকের মতোই সাজ তবে আজ গাঢ় কইরি রঙের লিপস্টিক লাগিয়েছি। হাতে কালো রঙের চুড়ি।
আজকেও মিথিলা আপুর সাথে দেখা হলো। তিনি আমাকে নিয়ে তাদের কাজিনদের পাশেই বসালেন এবং আমার পাশে বসলেন। মিথিলা আপুর সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম। মিথিলা আপু চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ১ম বর্ষের ছাত্রী। তারা চট্টগ্রামেই থাকেন। অরিন আপুর বিয়ের জন্যই তারা ঢাকায় এসেছেন। মিথিলা আপু খুবই মিশুক প্রকৃতির।
আমরা দুইজন কথা বলার মাঝেই চলে আসলেন কালকের আণ্টিটা, মিথিলা আপুর আম্মু।
" কিরে তোরা এখানে বসে আছিস? কতক্ষন ধরে তোদের খুঁজছিলাম। আয় খেয়ে নিবি চল। আমি জানি অরিন আসলে তোরা আর খাবি না, তাই তোর মামি বলেছে তোরা যাতে আগে খেয়ে নিস। আর অরিনকেও সাজানো পরানো শেষ হয়েছে, তারা এক্ষনি বের হবে। "
" অরিন আপুর সাজ শেষ তা তোমাকে কে বলেছে? "
" কে বলবে আর তোর ভাইয়া। তোর ভাইয়া তো বললো তারা দুইজন এক্ষনি বের হচ্ছে, আসলো বলে এতক্ষণে। চল খেয়ে নিবি আয় ।"
