#প্রতিচ্ছবি
লেখিকা : নীলা মনি গোস্বামী
পর্ব :৬
ব্যাগ থেকে কালো রঙের পাউডারের প্যাকেটটা বের করলাম। তারপর ধীরে ধীরে মেঝেতে একটা বিশাল যোগচিহ্ন এঁকে নিলাম। চারপাশে চারটা তীর চিহ্ন বসালাম। ক্রসওয়ার্ড চিহ্ন। তারপর চিহ্নটাকে ঘিরে কালো আর নীলরঙা মোমবাতিগুলো জ্বালিয়ে নিলাম।বিশ্বাস করা হয় যে, কালো মোমবাতিটি নিরাপত্তার প্রতিক। অশরিরি আত্না আর বিপদ থেকে রক্ষা করবে। আর নীলটি সৌভাগ্যের প্রতীক।
পকেট থেকে ছুড়িটা বের করে নিলাম। তারপর চোখ বন্ধ করে বসিয়ে দিলাম ওটা মধ্যমার ওপর। ধারালো ছুড়ি লেগে নরম চামড়া কেটে গেল। গলগল করে বের হয়ে এলো কয়েক ফোঁটা রক্ত।তারপর শুকনো সেজ পাতাটার ওপর স্পষ্ট অক্ষরে বড় বড় করে নিজের পুরো নাম লিখলাম।
তারপর হাতে ধরা সাদা মোমবাতিটার আগুনে জ্বালিয়ে দিলাম পাতাটা।
কিন্তু একি!!! পাতাটায় আগুন ধরছে না যে।
মনে পড়ে গেল নীরার কথা। সে বলেছিল পাতা যদি প্রথম দফায় না জ্বলে... তরে সেটা দুর্ভাগ্যের প্রতীক। অশুভ সংকেত বহন করে।অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠল মনটা। একবার মনে হলো ফিরে যাই। লাগবে না আমার এসব অতিদানবীয় ক্ষমতা। কিন্তু মন মানল না।
জোড় করে তাড়িয়ে দিলাম ভাবনাটা। শুরু যখন করেছি, তখন শেষটাও দেখে ছাড়বো এর।
অবশেষে সফল হলাম।আমি। বার বার চেষ্টা করার পর পুড়াতে পারলাম পাতাটা।
এবার শেষ কাজটি করতে হবে। চোখ বন্ধ করে ফেললাম। গুনে গুনে ৫২ টা টোকা দিলাম বন্ধ দরজাটিতে।
তারপর থামলাম।টের পেলাম ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ করে খুলে যাচ্ছে দরজাটা। দমকা একটা বাতাসের ঝটকা লাগলো মুখে। গরম বাতাস। মৃদু একটি ঝাঁকুনি খেলাম।
চোখ খুললাম ধীরে ধীরে।
এবং বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম।দরজার ওপাশে কোন মেঝে নেই। অদ্ভূত একটা শূন্যতা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার মাঝে লালচে অাঁকাবাঁকা কি যেন মোচর দিচ্ছে। দেখে মনে হলো কালো রঙের বিশাল আকাশ। আর সেখানে লালচে মেঘগুলো মোচরাচ্ছে।
YOU ARE READING
প্রতিচ্ছবি
Paranormalইহা একটি প্যারানরমাল গল্প।ডাইনীদের নিয়ে লিখা এই গল্পটি পড়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠবেন পাঠকরা,মাঝে মাঝে ভয় পাবেন।আবার হালকা পাতলা রোমান্সের স্বাদও পেয়ে যাবেন। দুই খন্ডের এই গল্পটি ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করবো আমি। 😊