#প্রতিচ্ছবি
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী
পর্ব :১২- বিশাল একটা ঘটনা ঘটে গেছে হসপিটালে।
- কি. ?
- শুনলে ভয় পাবি না তো?
- না..... বল কি হয়েছে।
- সিওর ভয় পাবি না????
- আরে.... ধুররর...এত্ত ঢঙ না করে.... কি হয়েছে....জলদি বলে ফেল।
- আমাদের পাশের রুম এ একটা সিরিয়াল কিলারকে রাখা হয়েছে। তালাবদ্ধ করে স্পেশাল কেয়ারে রাখা হয়েছে তাকে। ছেলেটা কি করেছে জানিস?
-কি করেছে?
- ছেলেটা তার বাবা মাকে খুন করে তাদের হৃদপিন্ড বের করে খেয়ে ফেলেছিলো।। তারপর তার গার্লফ্রে্ন্ডকে কেটে টুকরো টুকরো করে রেখে দিয়েছিলো ফ্রিজে। শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি সে। বাসার পোষা বিড়ালটাকেও নিষ্ঠুরভাবে মেরেছে। তারপর ওটার চামড়া ছিলে টাঙিয়ে রেখেছিলো বাসার সদর দরজার সামনে। এই হসপিটালেও খুন করেছে দুটো। আমরা নিজের চোখে দেখেছি। কেমন কচ কচ করে চিবিয়ে খাচ্ছিলো চামেলির...................!!শিউরে উঠলাম আমি।থামিয়ে দিলাম ইরাকে। আর শুনতে চাই না এই বিভৎস বর্ননা। ফারিহার কথা মনে পড়ে গেলো। কি নিঃশংসভাবেই না খুন হয়েছিলো মেয়েটা। কাজের বুয়া, রাশিদ আর রাফিয়ানের মৃতদেহটাও ভেসে উঠলো চোখের সামনে। চোখ ফেটে কান্না বের হয়ে আসছিলো আমার। অনেক কষ্টে সামলে নিলাম নিজেকে। মুখে হাসি এনে বললাম, "দোস্ত, একজন নতুন অতিথি এসেছে আমাদের মাঝে। পরিচিত হবি না? "
ইরা নীরা একযোগে বলে উঠলো, " নতুন অতিথি!!! "
টেনে বের করলাম রাফিকে আলমারির ওপাশ থেকে। পরিচয় করিয়ে দিলাম ওদের সাথে। মিশুক ছেলে রাফি। অল্পতেই খাতির হয়ে গেলো ওদের সাথে। নীরার সাথে একটু বেশিই ভাব জমে গেলো। ভাব জমে পুরো ক্ষির। কেমন একনাগারে পটর পটর করে যাচ্ছে দুজন। যেনো বহুবছর পুরানো বন্ধু। হিংসায় জ্বলতে লাগলাম আমি। রাগত স্বরে বললাম, " চক্র তো পূরন হয়ে গেলো। এবার তাহলে কাজ শুরু করে দেয়া উচিত। "
- চক্র পূরন হয়েছে? কীভাবে?? চতুর্থ ব্যাক্তি কই?
- বুঝো নাই এখনও??
-না।
হতাশ ভঙ্গিতে মাথা নাড়লাম আমি। তারপর রাফির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম, " এই সেই মহান ব্যাক্তি,যে আমাদের চক্র পূরন করেছে। আমাদের চতুর্থ ডাইনি। "
" আমি ডাইনি না। উইজার্ড " - রাগত স্বরে বলে উঠলো রাফি।
VOCÊ ESTÁ LENDO
প্রতিচ্ছবি
Paranormalইহা একটি প্যারানরমাল গল্প।ডাইনীদের নিয়ে লিখা এই গল্পটি পড়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠবেন পাঠকরা,মাঝে মাঝে ভয় পাবেন।আবার হালকা পাতলা রোমান্সের স্বাদও পেয়ে যাবেন। দুই খন্ডের এই গল্পটি ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করবো আমি। 😊