#প্রতিচ্ছবি
পর্ব - ৯
লেখিকা : নীলা মনি গোস্বামী- " ওদের নাম থুয়ুল। মৃত শিশুদের আত্না।যারা জন্মের পর কিংবা জন্মের আগে মারা গেছে.... তারা থুয়ুল হয়ে যায়।রাতের আঁধারে ঘুরে বেড়ায় ওরা শিকারের সন্ধানে । দেহটা ছোট্ট শিশুর কিন্তু ভয়াবহ এদের চেহারা। দন্তহীন মাড়ি। ছোট ছোট হাতে বিশাল বিশাল নখ। এ নখ দিয়ে ওরা ফালাফালা করে দেয় শিকারের দেহ। ওরা আশেপাশে থাকলে পোড়া একটা গন্ধ পাওয়া যায়।আগুনকে প্রচন্ড ভয় পায় এরা। ঐ এলাকায় গেলে হাতে সব সময় একটা জ্বলন্ত মোমবাতি রাখতে হবে। ওরা যখন কাছে আসবে,তখন নিভে যাবে মোমবাতির আলো। সাথে সাথেই জ্বলাতে হবে মোমবাতিটি। নইলে শরীরের ওপর জেঁকে বসবে ওরা। বশ করে নিবে আত্না। তারপর মেরে ফেলবে সবাইকে। তবে লবনের বৃত্তের মাঝে থাকলেও বাঁচা যায় এদের হাত থেকে। কোন মতে সকাল পর্যন্ত বৃত্তের মাঝে থাকতে পারলেই হলো। প্রান বেঁচে যাবে। "
একদমে কথাগুলো বলে থামলো সুন্দরী পরী । তারপর সবার হাতে একগাদা লবনের কৌটা ধরিয়ে দিলো ।
এবার বিদায়ের পালা। সুন্দরীটা কী যেনো বললো রাশিদের কানে কানে। তারপর হেসে গড়িয়ে পড়লো। চোখ টিপে ওর হাতে একটা মৃদু চুম্বন দিলো রাশিদ। মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগলো রাফিয়ানরা। আবার হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে গেলাম আমি।
বাইরে তখন ঘন অন্ধকার। হঠাৎ করে পরিবেশটা গুমোট হয়ে গেছে। একটা চাপা ভয় কাজ করছে সবার মাঝে। এবড়ো থেবড়ো অন্ধকার রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছি আমরা। ক্লান্ত সবাই। জিড়িয়ে নেয়া দরকার একটু। গোল হয়ে বসে পড়লাম সবাই মাটিতে।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো রাফিয়ান। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালাম ওর দিকে। লজ্জা পেয়ে গেলো ছেলেটা। আমতা আমতা করে বলে উঠলো বাথরুমে যেতে হবে ওর। তারপর দৌড়ে পালালো। হেসে গড়িয়ে পড়লাম আমি। "ছোট বেলা থেকেই এমন ছেলেটা। বাচ্চাদের মত হিসু চেপে রাখে। তারপর হঠাৎ দৌড়ে পালায় ওয়াশরুমে। " - হাসতে হাসতে বলে উঠলো রাশিদ।
" আমার ভাইটা বরাবরই এমন। কিছুটেই বাচ্চামি যায় না ওর। ক্ল্যাস টু পর্যন্ত পিডার খেয়েছিলো সে! "" - পাশ থেকে ফোরন কাটলো রাফি।
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেলো আমার। পরিবেশটা হঠাৎ করেই বদলে গেলো। কেমন যেনো একটা পিকনিক পিকনিক ভাব চলে এসেছে। ভৌতিক শিশুদের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।
YOU ARE READING
প্রতিচ্ছবি
Paranormalইহা একটি প্যারানরমাল গল্প।ডাইনীদের নিয়ে লিখা এই গল্পটি পড়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠবেন পাঠকরা,মাঝে মাঝে ভয় পাবেন।আবার হালকা পাতলা রোমান্সের স্বাদও পেয়ে যাবেন। দুই খন্ডের এই গল্পটি ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করবো আমি। 😊