#প্রতিচ্ছবি
লেখিকা :নীলা মনি গোস্বামী
পর্ব :৭
কি হচ্ছে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। মাথায় নানান চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।
শান্তনা দিলাম নিজেকে -" ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। বোধ হয় এটা একটা ম্যাজিক্যাল কর্পেট। ম্যাজিক্যাল কার্পেট চড়েই বোধহয় ঢুকতে হয় বাড়িটার ভেতর। "ঐতো বাড়িটার ফটকটা দেখা যাচ্ছে। ওটার খুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে । আঁকাবাঁকা - অমসৃন - সূঁচালো দরজা। দেখলে মূলার কথা মনে পড়ে যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে দূর্গন্ধযুক্ত সবজি।
কেমন যেনো একটা খটকা লাগলো। বাড়ির দরজা এমন কেনো???এবং ভালো মত খেয়াল করতেই বুঝে গেলাম জিনিসটা আসলে কী!!!!
আতঙ্কে শিউড়ে ওঠলাম আমি।
বুঝলাম নিশ্চত মৃত্যূ। এইবার আর রক্ষে নেই।
বাড়িটা জীবন্ত।
আসলে ভুল করে যেটাকে বাড়ি মনে করেছিলাম... সেটা আসলে বাড়ি না। জীবন্ত জন্তু এটা। প্রাগৌতিহাসিক যুগের কোন এক অভিশপ্ত প্রানি।
আর আমি এখন প্রানিটার লিকলিকে ঘিনঘিনে কালো জিহ্বার উপর দাঁড়িয়ে আছি। খাবার হতে যাচ্ছি ওটার।
জীহ্বাটা ধীরে ধীরে প্রানিটার মুখের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। বুঝলাম গিলে ফেলতে চাইছে ওটা আমাকে।নিজেকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম আমি। সাইড পকেটে ছোট্ট একটা ছুড়ি ছিল। ওটা তুলে নিয়ে এক ঘা বসিয়ে দিলাম ওটার জিহ্বায়। ভেবেছিলাম আচমকা আঘাতে ভড়কে যাবে ওটা। ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিবে আমাকে। কিন্তু এমন কিছুই হলো না।
নির্বিকার ভঙ্গিতে ওটা মুখের ভেতর পুরে ফেললো আমাকে।
শেষ রক্ষা আর হলো না। ঢুকে গেলাম ওটার মুখ গহ্বরে। মূলার মত বিশাল মোটা মোটা সূচালো দাঁত। লকলকে কালো জিহ্বা।ওটার আঠালো ঘন লালা ভিজিয়ে দিলো আমার পুরো শরীর। ওটার মসৃন গলবিলের ভেতর দিয়ে অন্ন নালীতে চলে গেলাম। তারপর অন্ননালী বেয়ে সোজা পাকস্থলিতে।।মনে হচ্ছিল বিশাল একটা রোলার কোস্টার রাইড শেষ হলো মাত্র।
উষ্ন পিচ্ছিল একটা পরিবেশ।এখনো মরি নি, এটা ভাবতেই কেমন যেনো অদ্ভূত লাগলো আমার। একটা জীবন্ত প্রানির পাকস্থলিতে একা একা বসে থাকার অনুভূতি খুব একটা ভালো হওয়ার কথা না। ঘেন্নায় গাটা কেমন যেনো রি রি করে উঠলো।
YOU ARE READING
প্রতিচ্ছবি
Paranormalইহা একটি প্যারানরমাল গল্প।ডাইনীদের নিয়ে লিখা এই গল্পটি পড়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠবেন পাঠকরা,মাঝে মাঝে ভয় পাবেন।আবার হালকা পাতলা রোমান্সের স্বাদও পেয়ে যাবেন। দুই খন্ডের এই গল্পটি ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করবো আমি। 😊