দুপুর বেলা তিন্নি ফোন দিয়া বলে, মেইলে আছিস?
আমি বললাম, কেন? তাড়াতাড়ি বল। জরুরি কাজ করতেছি।
জরুরি কাজ না ফেসবুকে বইসা সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে চ্যাট করতেছো? কাজকাম কিছু করো নাকি সারাদিন এইসব চলতেছে?
আমি ক্ষেপে যাই। তিন্নি, তুই কি আমার বস? কাজ না করলে তো আর এরা বসায়া বসায়া বেতন দিতেছে না, তাই না? শোন, যা বলার তাড়াতাড়ি বল। আমি মিটিংয়ে ঢুকব।
তিন্নি বলে, ওই যে একদিন আমরা আলাপ করলাম না? সেইটা।
কোন আলাপ, কবে?
তিন্নি বলে, অত বুঝায়া বলার মতো টাকা নাই ফোনে। একটা মেইল করছি, ইয়াহু খুলে তুই সেইটা দেখ। পরে আলাপ হবে। বাই।
তিন্নি ফোন রাখলে মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। এখন ইয়াহু খুলে ওর ফালতু মেসেজ দেখতে হবে। আল্লাহর দুনিয়ায় মোস্ট ফালতু মেয়ে বলতে এই একটা। শুধু মেয়ে বললেও হয় না। ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যে ফালতুর শিরোমণি হলো এই তিন্নি। তিন্নির পরের ফোন আসার ভয়ে ইয়াহু খুললাম। গ্রুপ মেইলে আসা আর্টিকেল। উইমেন ওয়াচ মেইল স্ট্রিপটিজ জাস্ট ফর ফান, বাট মেন ওয়াচ ফিমেইল স্ট্রিপটিজ ফর ডিপার রিজন। মেইল খুলে আপন মনে বললাম, ইন্টারেস্টিং।
ওই সময়েই তিন্নির ফোন। ডিড ইউ ফাইন্ড দ্যাট ইন্টারেস্টিং?
আ লিটল বিট।
লিটল বিট মানে কী রে শালা? পুরাটা পড়। দেখ। ছেলেদের ডিপার রিজনটা কী বুঝতে পারবি।
ক্যাম্পাসে আমরা একটা খেলা খেলতাম। চকিতে চারদিকে তাকিয়ে যেখানে কারো চোখ সহজে যাবে না এমন জায়গায় লেখা একটা শব্দ বা দৃশ্য দেখে বলতাম, আমি যা দেখি তুমিও কি তা দেখো?
তিন্নি বলত, তুমি কী দেখো?
আমি দেখি, আস্তে বাজান।
তিন্নি চারদিক খুঁজে বের করত লেখাটা। বলত, হর্ন আস্তে বাজান, সামনে কলাভবন। তারপর সে বলত, আমি যা দেখি তুমি তা দেখো?
তুমি কী দেখো?
আমি দেখি একটা শাপলা।
আমি পুকুরে গিয়ে দেখতাম কোনো শাপলা ফোটে নাই। শাপলার দেখা নাই।