ভাবতে পারছিলি?
কী?
ওই যে তোকে বলছিলাম না?
কী?
ওই যে কোনো একজন প্রেমিক খুঁজে নিতে। কারো সঙ্গে লাভ মেকিং করতে।
তুই কি আমার সতীত্ব নিয়ে খুব চিন্তিত? আচ্ছা তুই আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দে তো। এই যুগে তোদের জ্বালায় কোনো মেয়ে কি সতীত্ব নিয়া শান্তিতে থাকতে পারবে না? সতীত্ব কি একটা দোষ?
আমি অবশ্য সিওর না যে তুই এখনও ভার্জিন আছিস কি-না।
গুড। আমি তোর কাছে পরীক্ষাও দেব না। শোন, ফালতু কথা রাখ। কেন ফোন করছিস বল।
আচ্ছা টিন, বল তো শেষ কবে আমরা ঘুরতে গেছি? শেষ কবে ঢাকার বাইরে গেছি?
এসব পুতুপুতু ফালতু কথা বলার জন্য ফোন করছিস? তুই কি পর্যটন কর্পোরেশনে কাজ নিছিস নাকি? নাকি বায়িং হাউস ছেড়ে ট্র্যাভেল এজেন্সিতে কাম নিছিস? ঢাকার বাইরে যাওয়া মানে কী? এসব ফালতু আইডিয়া তোরে কে দেয়? আচ্ছা বন্ধু আমারে বল তো, নতুন কইরা আমারে পটানোর কোনো ধান্দা আঁটছো নাকি? বল বল। বলে ফেল।
আমি একটু থমকে যাই।
একেবারে ফালতু একটা মেয়ে। নিজের অবস্থান নিয়ে সদাসতর্ক। কোনো স্পেস দেবে না।
আমি বললাম, বন্ধু, তুমি আমারে ভুল বুইঝো না। আমি জানি, আমি বুঝায়ে কোনোদিন তোমারে রাজি করাইতে পারব না। সো তোমার যদি কোনো দিন মনে হয় তাইলে তুমি বইলো। আমি আর কোনোদিন তোমারে বলব না। আমি তো তোমারে বলছি, তুমি পছন্দমতো একটা ছেলেরে বাইছা নেও। তারে যদি ভালো লাগে তার সঙ্গে ডেটিং করো। তারে বুঝো, তার মনমানসিকতা বুঝার চেষ্টা করো। দেন, তারে বিয়া করো। কোনো সমস্যা নাই। তুমি তো সেটাও করতে পারতেছো না।
তিন্নি একটু সিরিয়াস হয়। আমি আসলে কী চাই বলো তো?
সেটা তো তোমার ভালো জানার কথা। আমার তো মনে হয় তুমি ভালো করে জানো তুমি কী চাও।
আচ্ছা বল তো আমাকে কী তোর অতিরিক্ত চালাক মনে হয়? মানে আমারে কি তুই ধূর্ত মনে করিস?