আপনি কি জানেন ডোরিস লেসিং একজন সুফি?
সাবিনা মেহনাজ লেখে, লোল। আ সুফি ডাজন্ট কল হারসেলফ টু বি আ সুফি।
ঠিক তাই, ডোরিস লেসিংও ঠিক একই উত্তর দিয়েছিলেন তার ইন্টারভিউতে।
দেন শি ইজ ওকে। একজন সুফি কখনোই নিজেকে সুফি হিসেবে দাবি করবেন না।
সাবিনা মেহনাজ সুপ্তির সঙ্গে আলাপ ফেসবুকে। ফ্রেন্ড সাজেশনে প্রতিদিন সুপ্তির নামটা আসত। সঙ্গে মেসেজ, সুপ্তি আর ইউ হ্যাভ ৩৭ কমন ফ্রেন্ডস। শ্যামলা মোটা চেহারার সুপ্তির প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ বোধ করিনি অনেক দিন। হঠাৎ একদিন দেখি ইনবক্স খালি। জন্মদিনে কাউকে শুভেচ্ছা জানানোর নেই। প্রোফাইলে প্রোফাইলে ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছা করছিল না একদম। অনলাইনে তেমন কেউ নেই। মনে হচ্ছিল ফেসবুকের চার্ম শেষ হয়ে এলো। এ রকম হয়। টেকনোলজির একটা শেষ আছে। টেকনোলজি কখনো মানুষের সৃষ্টিশীলতাকে অতিক্রম করে যেতে পারে না। মাইস্পেস, হাই ফাইভের মতো ফেসবুকের মজাও একদিন শেষ হয়ে যাবে। এটা জানা ছিল। কিন্তু এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। মাঝে মাঝে ভাবি, ইন্টারনেটে বসে কিছু পড়াশোনা করলেও তো পারি। ইমিডিয়েট দরকার ছাড়া কোনো তথ্য জানতে ইচ্ছা করে না। এ রকম একটা ইউজলেস সময়ে হোম পেজে সাবিনা মেহনাজ সুপ্তির সাজেশন। রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বসে থাকলাম। উনি অনলাইনেই ছিলেন। উইদিন আ মিনিট রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে অনলাইনে দেখা দিলেন। নক করলাম, হাই! সেই শুরু। বিবাহিত, চল্লিশোর্ধ্ব নারী। জিজ্ঞেস করলেন, ডু ইউ নো দ্য মিনিং অব লাইফ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম। সাধারণ চেহারার একজন মানুষ। একেবারে সাদামাটা প্রোফাইল, তার কাছ থেকে এমন প্রশ্ন এক্সপেক্ট করিনি।
বললাম, আই ডোন্ট নো।
হাউ ডু ইউ ফিল লিভিং দিস লাইফ?
আই ফিল নাথিং। লাইফ ইজ এ ডেইলি রুটিন টু মি। আ অ্যাম এ প্রিজনার অব ডেইলি লাইফ।
উনি আমার দিন, সপ্তাহ মাসের ফিরিস্তি শোনেন। বলেন, কেন আপনার মনে হয় আপনি স্বাধীন নন?