অধ্যায়-১৯

69 1 0
                                    

পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে খুব কাছাকাছি কোথাও। ইরিন ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখে আর মাত্র ত্রিশ মিনিট। এরপর আর ইনভিজিবল চিপ কাজ করবে না।

ইরিন : শিট্! শব্দটা আরো কাছে আসছে। কি যে করব বুঝতে পারছি না। আর এই লোকটার সাথে কথা বলার মত ন্যূনতম রুচি হচ্ছে না আমার। এই হেইট হিম। আসলে আই হেইট মাইসেল্ফ! এই লোকটাকে ভালোবেসেছিলাম বলে। কিন্তু কথা না বলে করবই বা কি? কিছু না করলে তো কেউ ই বাঁচব না।

ইরিন: দেখুন আর কিছুক্ষণ পর ইনভিজিবল চিপ কাজ করবে না। আর আমার মনে হচ্ছে কেউ কাছাকাছি আছে। হয়ত একটু পর এদিকে চলে আসবে। তাই প্লিজ! প্লিজ কিছু ভাবুন।

প্রফেসর সরাসরি বাইরে চলে গেলেন।

ইরিন: আরেহ্। কি আজব ? কোথায় যাচ্ছেন।

প্রফেসর ইরিনের দিকে তাকিয়ে বললেন: আমার বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই। আপনি নিজের ব্যবস্থা করুন।

ইরিন : ঠিক আছে। চলুন কোথায় যাবেন। আমিও যাব। সব আমার দোষ। সুতরাং আমার অপরাধের কারণে আপনি একা মরবেন কেন? আমিও মরব। চলুন কোথায় যাবেন !

প্রফেসর আবার ভেতরে এসে বসলেন।

কিছুক্ষণ পর প্রফেসর বললেন : চিপ কয়টা আছে আপনার কাছে?

ইরিন : পাঁচ ছয়টা ।

প্রফেসর: আমাকে দুইটা চিপ দেন।

ইরিন পকেট থেকে দুইটা চিপ দিয়ে প্রফেসরের পেছন পেছন বাইরে বের হলো।

প্রফেসর : এখানে দুইজন গার্ড আছে। সম্ভবত আশেপাশে আরো আছে। আমরা অস্ত্র ছাড়া অসহায়। সুতরাং এই দুই জনের কাছে যা আছে নিতে হবে। আর এদেরকে সরাসরি বাইরে আক্রমণ করা যাবে না। অন্যরা এদেরকে মার খেতে দেখলে এগিয়ে আসবে। আপনি বুঝতে পেরেছেন কি বলতে চাচ্ছি?

ইরিন মাথা নাড়ল।

প্রফেসর আর ইরিন প্রথমে দুজন গার্ডের পা বেঁধে মাটিতে ফেলে দিল। গার্ড দুজনেই নিজেদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়ে। এরপর হাত বেঁধে দিয়ে টানতে টানতে গুহার ভেতর নিয়ে গেল ইরিন ও প্রফেসর। পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলল। এরপর এদের সমস্ত অস্ত্র নিয়ে নিল।

ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি Where stories live. Discover now