অধ্যায়-৫

270 10 2
                                    

কেমন ধরপর করে উঠল ভেতরটা। তাকাতেই দেখি আমি আমার ঘরের ভেতর। ঘামে আমার সারা শরীর ভিজে গেছে। হাত পা রীতিমতো কাপঁছে। বুঝতে আর বাকি রইল না এটা স্বপ্ন ছিল।

প্রফেসরের নতুন এসিস্টেন্টের সঙ্গে তার একটু বেশি ঘনিষ্ঠতার কারণে এমন স্বপ্ন দেখলাম হয়ত! মনের ভেতরের ভয়টাকেই দেখলাম স্বপ্নে? হতে পারে।

মিস রিমি তিনদিন হলো সিক্রেট সোসাইটিতে জয়েন করছেন। তিনি অবশ্য প্রফেসরের কোনো এক নিকট আত্মীয়ের পরিচয় সূত্রে এসেছেন। অথচ এই তিনদিনে সবার একদম কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন, যা আমি তিন বছরেও পারি নি। এসবের বেশ গুন আছে মেয়েটার, পাশাপাশি রূপও। যতই দেখি ততই অবাক হই! সৌন্দর্য বলতে যা বুঝায় তার কোনো অংশই হয়ত বাদ রাখেন নি সৃষ্টিকর্তা।

আমি ধীরে ধীরে বারান্দায় গেলাম। একি? তবে এসব কি সব সত্যি? স্বপ্ন নয়? আমার সামনে বিশাল সমুদ্র আর আমি আমার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি!

দৌড়ে প্রফেসরের ঘরে গেলাম।
ইরিন: প্রফেসর! আপনি কি এখানে আছেন? প্রফেসর?

প্রফেসর: আহ্, ইরিন! এদিক, আপনার ডানে নিচে।

ইরিন: একি আপনার এ অবস্থা কি করে হলো? মাথায় বেশ খানিকটা চোট লেগেছে মনে হচ্ছে।

প্রফেসর: আমি তো ঘুমিয়েছিলাম। কি করে কি হলো? কিছু ই জানি না।

ইরিন তার গেজেটের সফটওয়্যার সিস্টেমটা এমন ভাবে সেট করে রেখেছিল যেন, মেশিন স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথে তার ঠিক আধ ঘন্টা পূর্বের সব কিছু প্রফেসর ভুলে যান। আর ঠিক তাই হয়েছে। যাক, এই ব্যাপারটায় ইরিন বেশ স্বস্তি পেল। নয়ত প্রফেসর তাকে এ জীবনে কখনও ক্ষমা করতেন কি না কে জানে?

ইরিন প্রফেসরের মাথা উঁচু করার সময় প্রফেসর জিজ্ঞেস করলেন: আচ্ছা ভূমিকম্প হয়েছিল কি? আমি এভাবেই বা পড়ে গেলাম কিভাবে?

ইরিন না বলে কিছুক্ষণ ভেবে বলল: আমার একটা গেজেটের পরীক্ষা করছিলাম। তারপরই এই অবস্থা। আপনি জানেন? আমরা এখন কোথায়?

প্রফেসর: রিসার্চ সেন্টারে।

ইরিন মাথা নেড়ে বলল: গেজেটের ভেতর।

প্রফেসর: কিহ্? এই তো আমি বেশ আমার ঘরেই আছি, যেমন ছিলাম। আমার সব জিনিসপত্রও সব ঠিকই আছে।

ইরিন: একবার বারান্দায় গেলেই বুঝতে পারবেন।

প্রফেসর দ্রুত বারান্দায় গিয়ে একেবারে থ হয়ে গেলেন। একি! এতো বিশাল সমুদ্র।

প্রফেসর: ইরিন, এসব কিভাবে হলো? আমি কিছুই মনে করতে পারছি না জানেন?

ইরিন: আমি আর আপনি গেজেটে টেস্ট করার সময়।

প্রফেসর: তারপর?

ইরিন: মনে নেই। বলেই ইরিনের মনে কেমন ভয় হতে শুরু করলো। এভাবে কি সত্যিই সে প্রফেসর কে পাবে? নাকি বড় কোনো অন্যায় করছে সে! এই মূহুর্তে ইরিন কিছুই আর বুঝে উঠতে পারছে না। সে প্রফেসর কে দুনিয়ার সবার কাছ থেকে আলাদা করতে চেয়েছিল। আর তা সে সফলভাবেই পেরেছে। ব্যাস! আর কিছু ভাবার নেই। এখন শুধু দুজনের দুনিয়া!

চলবে.......








ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি Donde viven las historias. Descúbrelo ahora