অধ্যায়-২০

59 1 0
                                    

ইরিন ব্যাগ থেকে ব্লু প্রিন্ট আর ল্যাপটপ বের করলো।
প্রফেসর: আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে মনে হচ্ছে গার্ডেরা খোঁজ করা আপাতত বন্ধ করেছে। তাছাড়া আর একটু পর সন্ধ্যার আলোটুকুও চলে যাবে। এখনই বের হওয়ার সময়।
প্রফেসর ম্যাটেরিয়াল খুঁজতে বের হলেন।

ইরিন খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে। কিন্তু মনে মনে ভয় হচ্ছে এভাবে আবার নতুন বিপদ ডেকে আনছে না তো ? কে জানত এখানে এসব হবে ? সবকিছু ঠিকঠাক করা যেত যদি না রিমি মাঝে না আসতো। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় নেই এছাড়া। তাই এটাই একমাত্র রাস্তা। আর কখনো রিয়েল ওয়ার্ল্ডে ফিরতে না পারলেও অন্তত এই শত্রুর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে পারবে। এটাই শান্তনা।

প্রফেসর: ইরিন !

ইরিন : এত তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন।

প্রফেসর : সম্ভবত কেউ আমার চলাফেরা টের পেয়েছে। আমি অন্ধকারে ভালো করে দেখতে পাইনি। ওরা অন্য কোনো টেকনিক ব্যবহার করছে হয়তো। তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমি এই কয়েকটা জিনিস পেয়েছি আশে পাশে থেকে সাথে এই বড় একটা কাঁচ। আর কিছু পাইনি। দেখুন এগুলো দিয়েই যদি কিছু হয়।

ইরিন ল্যাপটপ এগিয়ে দিয়ে বলল: এই গেজেট সংক্রান্ত সবকিছু আগেই আমার ল্যাপটপে ছিল তাই জাস্ট একক্টিভ করলেই হবে। নতুন কিছু করার দরকার নেই ,শুধু গেজেটের সাথে কানেক্ট করলেই হবে। কিন্তু মোস্ট ডিফিকাল্ট পার্ট গেজেট বানানো।

প্রফেসর : আমি দেখছি ! এই গ্লাসটার ব্যবহার করতে হবে। আপনার কাছে যে ক্যাবল আছে ওগুলো দিন।

ইরিন: প্রায় দেড় ঘন্টা তো পার হয়ে গেল , আর কতক্ষণ লাগতে পারে ?  মনে হচ্ছে আশেপাশে কেউ আছে ?

প্রফেসর : আর অল্প কিছু সময় ,আই হোপ!

ইরিন : আমি বাইরে দেখে আসি।

প্রফেসর : চিপের দিকে খেয়াল রেখেন। সময় কিন্তু কম আছে আবার ভিজিবল হয়ে যেতে পারেন।

ইরিন: হুমম।

ইরিন বাইরে গেল। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। অন্ধকারে ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু কিসের যেন আলো দেখা যাচ্ছে।

ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি Where stories live. Discover now