প্রফেসর একটু স্বাভাবিক হতেই ইরিন হাত সরিয়ে নেয়। প্রফেসরকে একটু বিব্রত হতে দেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইরিন বলে : আচ্ছা , এখানে আমাদের আপাতত কোনো বিপদ নেই ঠিক আছে। তবে ভবিষ্যতে হবে না এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। এজন্য আগে থেকেই কিছু একটা করা দরকার।
প্রফেসর : কি করবেন ?
ইরিন : পাহাড়ের ওখানে কোনো জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যেন হুট করেই আবার কেউ আক্রমণ করলে ওখানে আশ্রয় নিতে পারি পাশাপাশি সবরকম টেকনোলজি ওখানে থাকে। মানে এখানে আমাদের দুই জনের ঘরে যেমন ল্যাবের মত সবকিছু আছে। তেমন ওখানেও থাকে।
প্রফেসর : বেশ বড়সড় জায়গা লাগবে তাহলে।
ইরিন : আশা করি খোঁজ করলে পাওয়া যাবে।
প্রফেসর : চলুন তবে যাওয়া যাক।
ইরিন : আগে ব্রেকফাস্ট করে নেই।
প্রফেসর : হ্যাঁ প্লিজ।
খেতে প্রফেসর বললেন : তাহলে , আমরা পাহাড়ের যে জায়গাতে লুকিয়ে ছিলাম আপনি সেখানে কিছু করতে চাইছেন ?
ইরিন : না। ঐ জায়গা ওদের পরিচিত।
প্রফেসর : তাহলে ?
ইরিন : এবার আমরা পূর্ব দিকে খোঁজ করবে। ঐ দিকটায় অনেকটা ভেতরে যাওয়া যাবে।
প্রফেসর আর ইরিন বেরিয়ে পড়ল।
ইরিন : সরাসরি দেখে গুহার মতো মনে হয় এমন কোনো জায়গা বের করব না। বরং ঢোকার রাস্তা খুব খারাপ বা দেখে মনে হয় না যে কেউ এখানে থাকতে পারে সেসব জায়গায় বেছে নিয়ে ভেতরে খালি জায়গা তৈরি করব।
প্রফেসর : হুম , গুড আইডিয়া।
কিছুক্ষণ পর----
প্রফেসর : ইরিন ! এই জায়গাটা দেখুন। এখানে গাছ আর লতায় ঢাকা , কোনোভাবে বোঝার উপায়ও নেই।
ইরিন : বেশ ভালো। তাহলে এখানেই কাজ শুরু করব , কাল থেকে। বাট দুজন মানুষ এতকিছু কিভাবে কি করব বুঝতে পারছি না।
প্রফেসর : ডোন্ট ওয়ারি , সব হবে।
ইরিন : এখন আর কি করার চলেন বাসায় যাই।
KAMU SEDANG MEMBACA
ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি
Romansaইরিনের রিজাইনিং লেটার জমা দেওয়ার পরই দেখা হয় প্রফেসর নিকের সাথে। তারপর....