অধ্যায়-৭

262 7 2
                                    

ইরিন নিজের ঘরে গিয়ে বসলো। হাজারটা এলোপাথাড়ি চিন্তা মাথায় উঁকি দিয়েই চলেছে। তার ওপর শরীরটাকে বেশ ক্লান্ত বলে মনে হচ্ছে। নানান চিন্তা ভাবনাকে ঠেলে দরজা খোলা অবস্থায় কখন যে ইরিন ঘুমিয়ে পড়ল নিজেও জানে না।

প্রফেসর বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ঘরের ভেতর পায়চারি করতে করতে খেয়াল করলেন, ইরিন ঘুমচ্ছ আর দরজাও খোলা। খুব সাবধানেই তিনি ইরিনের ঘরে ঢুকলেন এরপর ওর টেবিলের সমস্ত কাগজপত্র একটা একটা করে খুটিয়ে দেখতে লাগলেন। আর ঠিক যেটা যেখানে ছিল সেখানেই রাখলেন যেন ইরিন কিছু বুঝতে না পারে।

হঠাৎ একটা ডাইরি আর একটা ব্লু প্রিন্ট চোখে পড়ল। খুব সাবধানে এই দুটি জিনিস নিজের সঙ্গে প্রফেসর নিজের ঘরে নিয়ে এলেন। ব্লু প্রিন্টটা নিয়ে আপাতত তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। এর কাজ আরো চার পাঁচ দিন পর শুরু হবে, এটা তিনি আগেও একটু আধটু দেখেছিলেন। তবে তার আগে সব রহস্যের সমাধান দরকার। যা খুব সম্ভবত এখানে পাওয়া যেতে পারে। প্রফেসর ডাইরি খুললেন এবং একদম প্রথম পাতা থেকেই পড়তে শুরু করলেন।

হঠাৎ ই জোরে জোরে মেঘ ডাকছে। আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। এত জোরে বাতাস বইছে যেন সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবে। ঘুমের মধ্যে শব্দ শুনে ইরিন চমকে উঠে। দৌড়ে প্রফেসরের ঘরের ভেতর গেল। কিন্তু প্রফেসর তো নেই! ভয়ে ইরিনের হাত পা কাঁপছে। এরকম আবহাওয়া অথচ প্রফেসর নেই ! বাইরে বের হয়ে কোনো বিপদে পড়েন নি তো ! এরকম সব দুশ্চিন্তায় ইরিনের দম বন্ধ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে নিজের কানে হার্টবিট শুনতে পাচ্ছে।

পেছন থেকে হঠাৎ ইরিন নাম শুনে চমকে পেছন ঘুরে প্রফেসরকে দেখে দৌড়ে গিয়ে একেবারে বুকে আছড়ে পড়লো।

ইরিন: কোথায়? যান কোথায় আপনি? জানেন না আমার টেনশন হয়?

যদিও এই মূহুর্তে প্রফেসরের অবাক হওয়ারই কথা ছিল, কিন্তু তিনি একটুও অবাক হন নি। বরং শান্ত গলায় বললেন: এই তো তোমার কাছেই আছি! যাব আর কোথায় বলো?

এতক্ষণে ইরিনের হুঁশ ফিরল, তাড়াতাড়ি দূরে সরে সরি বলে নিজের ঘরে চলে গেল।

ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি Where stories live. Discover now