প্রফেসর পুরো সিস্টেম সম্পর্কে আমাকে একটা ধারণা দিলেন। আমাদের গেজেটের কাজ হবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেয়া। এক সাথে দুজন মানুষ এতে চড়তে পারবে। যে সব নির্দিষ্ট জায়গায় এর স্টেশন আছে শুধুমাত্র সেখানেই এটি লোকজন নিয়ে পৌঁছাতে পারবে।
এটির ভেতরে সুইচ চাপলে এটি ইনভিজিবল হয়ে যাবে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাবে। সময় অনান্য যানবাহনের চেয়ে তুলনাভাবে কম লাগলেও, আলোর গতিতে কখনোই সম্ভব নয়।প্রফেসর মোটামুটি পুরো গেজেটের দায়িত্ব নিলেন শুধুমাত্র ইনভিজিবল করার দায়িত্বটা আমাকে দিলেন। একমাত্র কাজ বলে মনে হলেও আমার ঘুম হারাম করে দেয়া কাজ। এই কাজে ব্যর্থ হওয়া মানে পুরো কাজটায় ব্যর্থ হওয়া।
আমার পূর্বের রিসার্চটা ইনভিজিবল সংক্রান্ত ছিল, তবে পুরোপুরি সফল হতে পারি নি। আরো অনেক গবেষণা দরকার, কিন্তু সময় কম।দেখতে দেখতে দুদিন পার আমি মোটামুটি একটা কাঠামো দাঁড় করিয়েছি। তবে এটা ইনভিজিবল করতে পারলেও তাকে ফেরত কিভাবে আনবে তা জানি না।আমি প্রফেসরেরসাথে দেখা করতে তার ল্যাবের দরজায় নক করলাম।
প্রফেসর: কাম ইন।
আমি: স্যার আমি মোটামুটি রেডি করেছি।
প্রফেসর: হুম দেখছি, তার আগে একটা জিনিস দেখাই।প্রফেসর মাথা নিচু করে কি যেন করছেন। আমি প্রফেসরের মাথার চুলগুলো দেখছি। কেন যেন খুব নেড়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। হাতটা একটুউঁচু করতেই হুঁশ ফিরল আমার। একি করতে যাচ্ছিলাম আমি? দ্রুত হাত নামিয়ে নিলাম।
প্রফেসর: দেখুন। সব রেডি। এখন শুধু এটার সাথে আপনার গেজেটের সংযোগ হলেই আর অপেক্ষা করতে হবে না। বলেই বড় করে একটা হাসি দিলেন।এমন সময় আমাদের সবাইকে রিসার্চ সেন্টারের কনফারেন্স রুম থেকে কল করে ডাকা হলো কালকের কম্পিটিশনের বিশেষ ঘোষণা দেয়ার জন্য। আমি আর প্রফেসর কনফারেন্স রুমে গিয়ে পাশাপাশি বসলাম। একদিকে ঘোষণা চলে আর অন্য দিকে আমার অন্য চিন্তা ভাবনা।
তবে আমি আজ কি করব তা আমি জানি! কিন্তু এর ফলাফল কি হবে তা আমি জানি না! জানতে চাইও না। যা হবার হবে অন্তত তুমি আমার না হলেও আর কারো তো হতে পারবে না, আমি তাতেই সন্তুষ্ট।
ESTÁS LEYENDO
ইরিনের সিক্রেট সোসাইটি
Romanceইরিনের রিজাইনিং লেটার জমা দেওয়ার পরই দেখা হয় প্রফেসর নিকের সাথে। তারপর....