সামি ভাইর সাথে অসম ফ্রেন্ডশীপটা শুরু হইছিল আমরা হলে ঢোকার তিনচারমাস পর। ২০০১ এর অক্টোবরে দেশে ইলেকশন হইছিল, পরদিন থিকাই দেশজুইড়া শিবির আর ছাত্রদলের ব্যাপক ধর্ষন লুটপাট শুরু হয়, আমগো হলেও ভোররাতে পুরান ঢাকার কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র নিয়া ছাত্রদল নেতা টিপু হল দখল করে। সকালে খবর পাইয়া আমরা যখন আসছি ততক্ষনে যা হওয়ার হইয়া গেছে, বই খাতা সব হলের বারান্দায় ছিড়া খোড়া অবস্থায়, রুমে রুমে মোল্লারা গ্যাজাইতেছে, শুভ ছিল রাস্তার পাশের কর্নার রুমে, ওদের টেবিল চেয়ার সহ দোতলা থিকা নীচে ফেলা হইছে। বিকালে শোনা গেল হলের সীট ফেরত পাইতে হইলে দলের পক্ষ থেকে রিইনস্টলমেন্ট চান্দা ধরা হইছে ঐটা ছাড়তে হইবো।
সামি ভাই তখন ইন্টার্ন করতেছিল, আমগো থিকা ছয়বছরের সিনিয়র, নব্য নেতারা ওনার ফ্রেন্ড সার্কেলের লোকজন, তো সেইবার উনি আমারে আর শুভরে কম খরচে হলে ঢুকায়া দিছিলেন। ঐ থিকাই ফ্রেন্ডশীপ। পরে উনি যখন পিজিতে এফসিপিএস করতো, তখনও নিয়মিত আড্ডা মারতে যাইতাম। নীপা ভাবীর লগে ওনার বিয়াতে হেভি ফুর্তিফার্তি করছিলাম, আসর জমাইতে ডজনখানেক এক্সট্রা মাইয়া লইয়া গেছিলাম। উনি পরে মীরপুর দুইনাম্বারে হার্ট ফাউন্ডেশনে জয়েন করছিলেন, শুভ আর আমি দুইজনেই যখন সার্জারী লইলাম তখন আমগো তরফ থিকা উনার লগে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা বাইড়া গেল।
এরম একদিন আজিজে আড্ডা মারতেছি। সামি ভাইয়ের সেকেন্ড পোলাটা সেইসময় জন্মাইছে। বছরখানেক বয়স মনে হয়। শুভ কইলো, বস, মন খারাপ কেন, দুই পোলার বাপ আপনের তো সেলিব্রেট করার কথা
– না রে ভাই সেই সুযোগ কি আর আছে। জীবনের রঙচঙ ধুইয়া গিয়া সব সাদাকালো হইয়া যাইতেছে
– আপনের জীবন যদি সাদাকালো হইয়া যায়, তাইলে আম পাবলিকের কি অবস্থা
– আম পাবলিক ভালই আছে। ভালো নাই আমরা, যারা না ঘরকা না ঘাটকা হইয়া আছি
আমি কইলাম, ব্যাপার কি বস, খোলাশা করেন, আপনেরে হতাশ দেখলে তো ভয় ধইরা যায়
KAMU SEDANG MEMBACA
শুভ সিরিজ (সংগৃহীত)
Romansaদুই ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের কিছু ইরোটিক ঘটনা। আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত, কারো আঞ্চলিক ভাষায় সমস্যা থাকলে পড়া থেকে বিরত থাকুন। গল্প গুলো সংগৃহীত, আমার নিজের ভালো লাগায় এখানে রাখা। আসল লেখকের নাম নিজে কোথাও খুঁজে পাইনি।