চিপেনডেল

456 3 1
                                    

শুভ আর আমি দুইজনেই নটরডেমে সায়েন্স ক্লাবের মেম্বার ছিলাম। ফার্স্ট ইয়ারে বইসা একবার একটা বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিলাম, ঢাকার অনেক স্কুল কলেজ আসছিলো পার্টিসিপেট করতে ভিকি গ্রুপ সহ। অবধারিতভাবে মনুষ্যসৃষ্টি দেখার চাইতে প্রকৃতির সেরা সৃষ্টি দেখতে ব্যস্ত হইয়া গেলাম, শুভরে ডাক দিয়া ফিস ফিস কইরা কইলাম, "দেখছস প্রত্যেকটা মাইয়া সুন্দর, কারে রাইখা কারে দেখবি?" শুভঃ, " তাই তো দেখতাছি, ঠাট কি দেখ, চোখ তুইলা তাকানোর প্রয়োজন বোধ করে না, ইচ্ছা হয় যে বেঞ্চিতে শোয়াইয়া দলামোচড়া করি"

আমিঃ, "হ, পারলে তো হইছিলোই। ধরতে গেলে মিনিমাম ১০০০ ভোল্টের শক খাবি শিওর"

অনেক ঘুরঘুর করলাম সারাদিন ওগো আশে পাশে। বহু পোলাপান আসছে, ক্রস আর রুন্নেসার স্টলে ভীড় উপচায়া পড়ে। লগে টীচারগুলা আসছে তারাও হেভী সেক্সী।

শুভ কইলো, " এই ম্যাডামে বায়োলজী পড়ায়?"

আমিঃ, "ইশশ ওনার কাছে যদি মানব প্রজননতন্ত্র চাপ্টারটা পড়তে পারতাম!"

শুভঃ,  "মাইয়ারা পড়ে তো"

আমিঃ, " আচ্ছা, একটা কথা কতো, আমরা ওনার বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে কোন সমস্যা আছে?"

শুভঃ, "নিবো নাকি তোরে, তুই ঐখানে যে টাংকি মারতে যাবি এইটা না বুঝার কি আছে!"

আমিঃ, "জিগায়া দেখতে সমস্যা কি, না হইলে না"

বিকালে সবাই যখন স্টল গুটাইতেছে ম্যাডামের কাছে দুরু দুরু বুকে গিয়া বললাম, "ম্যাডাম, আপনের কাছে বায়োলজী পড়তে চাই।"

ম্যাডাম ফিরা আমাগো দুইজনরে দেইখা জিগাইলো কোথায় পড়ি, নটরডেম কওয়ার পর বললো, "আচ্ছা এই যে আমার ফোন নাম্বার, এতে একটা কল দিও আগামী সপ্তাহে, দেখি কি করা যায়। "

কল টল দিয়া ঢুইকা গেলাম শনি সোম বুধের ব্যাচে, আমি আর শুভ। সাতটা মাইয়া আর আমরা দুইটা পোলা ঐ ব্যাচে। আজিমপুর থিকা টেম্পু বাস তারপর হাঁটা পথে শহীদবাগে গিয়া পইড়া আসি। ম্যাডামের লেকচার শুনি, মেয়ে দেখি আর মনে মনে দুধ পাছা টিপতে টিপতে রুমে বইসাই ধোন হাতাই। সময়টা কাটে খুব ভালোই।

শুভ সিরিজ  (সংগৃহীত)Where stories live. Discover now