শুভর সাথে আমার ফ্রেন্ডশীপ শুরু হইছিলো একটা বেশ দুঃখজনক ঘটনার মধ্যে দিয়া। আমি আজিমপুরের পোলা, শুভ রামপুরার। এস. এস. সির পর নটরডেমে এক সেকশনে হওয়ায় আরো অনেকের লগে শুভরেও চিনতাম। বিশেষ কইরা ঐ ব্যাচে সুন্দরী নারীদেহ ফ্যানক্লাবের যে ৩০/৪০ জন আজীবন সদস্য ছিল সেই লিস্টে দুইজনেই নাম লিখায়া রাখছিলাম। কলেজে যাওয়ার লেগা মতিঝিল থিকা গুলিস্তান যাই বাসে তারপর টেম্পু নাইলে গাবতলীর বাসে বাসায় আসি। শুভ আর এরকম ৪/৫ জনও একলগে গুলিস্তান পর্যন্ত আসে। শুভ অবশ্য মুড়িরটিন মাইরা রামপুরা যায়।
একদিন প্র্যাকটিকাল শেষ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল, অফিস ছুটি হইছে, মতিঝিলে ভীষন ভীড়। পনেরো ষোল বছরের পোলাপান আমরা গোত্তা মাইরা বহু চেষ্টা কইরাও বাসে ঢুকতে পারতেছি না। একটা খালি টেম্পু কোথিকা আইসা গুলিস্তান গুলিস্তান করতেছে হুড়মুড়ায়া ভিতরে ঢুকলাম। বিমান অফিসের সামনে যে বলাকাটা জামাত-শিবিরের মাদারচোদ হুজুররা একবার মুর্তিপূজা নাম দিয়া ভাঙতে আছে, যেইটা জামাত চাইছিলো, ঐটার পাশে একটা চিপা গলিতে ঢুকলো টেম্পুটা। যাত্রীদের দুইজন অন্ধকারে জোর কইরা চোখে মরিচের গুড়া মাখায়া দিল বাকীদের। তারপর ব্যাগ ট্যাগ নিয়া টেম্পু থিকা ধাক্কা মাইরা রাস্তায়।
আমরা মাটিতে শুইয়া কাতরাইতেছি, হঠাৎ শুনি হেল্পারটা কইতেছে, "ওস্তাদ,এই পোলার জিন্চ টা ভালা, আমার মাপে হইয়া যাইবো।" ভিতর থিকা হারামী ছিনতাইদের একজন কইলো, "নিয়া নে।"
চোখে মরিচের ঝালে কুত্তা পাগল অবস্থা আমাদের। এর মধ্যে টেম্পুর পোলাটা শুভর নতুন প্যান্ট খুইলা নিয়ে গেল। রাস্তার চায়ের দোকানের লোকজন আইসা পানি টানি দিয়া শান্ত করছে, ততক্ষনে লোকজন জইমা গেছে, ভাগ্য ভালো দোকানদার শুভরে একটা লুঙ্গি দিছিলো জাইঙ্গার উপ্রে পড়তে । অন্য কেউ হইলে শুভর জাইঙ্গা ইতিহাস কলেজে ফাঁস কইরা দিত, আমি করলাম না। বেচারা। তিন চার সপ্তাহ লাগছিল ধাতস্থ হইতে। ছিনতাই যারা হইছে শুধু তারাই জানে, ছিনতাইর পরে মানসিক অবস্থা কেমন থাকে।
BẠN ĐANG ĐỌC
শুভ সিরিজ (সংগৃহীত)
Lãng mạnদুই ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের কিছু ইরোটিক ঘটনা। আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত, কারো আঞ্চলিক ভাষায় সমস্যা থাকলে পড়া থেকে বিরত থাকুন। গল্প গুলো সংগৃহীত, আমার নিজের ভালো লাগায় এখানে রাখা। আসল লেখকের নাম নিজে কোথাও খুঁজে পাইনি।