আমরা কলেজে থাকতে শুভর ভাইয়ে বিয়া কইরা শ্বশুর বাড়ীতে উইঠা যাওয়ায় শুভর খুব সুবিধা হইছিলো। ভাবীর বাপে মালদার পার্টি। শুভর ভাইয়ে টাকাপয়সার ব্যাপারে খুব উদার হইয়া গেলো। শুভ প্রাইভেট পড়ার মাসকাবারী টাকা বাপের কাছ থিকাও নেয় আবার ভাইয়ের কাছ থিকাও নেয়। ওর ভাইয়ে আবার যাতায়াত ভাড়াসহ দেয়। সেই তুলনায় আমি আমার বড় বোনের কাছে সেরম লাই পাইতাম না। হয়তো মাসে তিন মাসে কিছু টাকা হাতাইয়া নিতে পারতাম।
ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালের শেষ পরীক্ষা দিয়া মতিঝিলের আঠারোতলা বিল্ডিঙে শুভর লগে মাসোহারা নিতে গেলাম। এই বিল্ডিঙে অনেক অফিস। সাড়ে পাচটার বেশী বাজে। ষোলতলায় ওর ভাইয়ে তখন ব্যাগট্যাগ গুছায়া বাসায় যাওনের প্রস্তুতি নিতাছে। শুভরে দেইখা পরীক্ষার খবর নিল। শুভ কইলো, ভাইয়া স্যারে ফি বাড়াইতেছে, আগামী মাস থিকা আরো দুইশো টাকা বেশী লাগবো। ওর ভাইয়ে কয়, টাকা দেওয়া যাইবো কিন্তু মন দিয়া পড়িস। মানিব্যাগ থিকা টাকা বাইর কইরা শুভরে দিল তারপর।
স্যারে ফি বাড়ায় বছরে একবার, শুভ মনে হয় এই বছরই তিনবার বাড়ায়া ফেলছে। একলগে লিফটে নামতে নামতে আমরা ছয়তলায় রইয়া গেলাম। আসার সময় বিরানীর গন্ধ পাইছি। ফ্রী খাওয়া পাইলে আমরা আবার মিস করি না। শুভর ভাইয়ের কাছ থিকা বিদায় নিয়া ঘটনা কি দেখতে গেলাম। কর্মশালা টাইপের কিছু ছিল, এখন শেষ। তরুন বয়সী বেশ কিছু লোকজন তখনও ছিল। ছেলে মেয়ে দুই রকমই আছে। জামাতী মার্কা কোন অর্গ্যানাইজেশন মনে হয়, দাড়ি টুপী আর মাথায় কাপড় দেইখা তাই ভাবলাম। কিন্তু বিরানীটা বিতরন হইতেছে কোথায়। এই সেই রুম কইরা আধাঘন্টা ঘুরলাম। ইচ্ছা কইরাই দেরী করতেছিলাম, রাইতে থাকার কথা তিমুরের বাসায় এত আগে যাইতে চাইতেছি না, একটা ভিডিও যোগাইছে তিমুর ঐটা দেখতে হইবো। শুভ কয়েকটা মার্কার চুরী করলো একটা খালি রুম থিকা। আমি বোর্ডে মানুষের সমান সাইজের একটা মাল্টিকালার বিশাল ধোনের ছবি আইকা রাখলাম। সকালে যারা আসব তাগো খবর আছে।
শুভ কইলো, চল এখন যাই, বিরানী দেওয়া শেষ হইয়া গেছে, লোকজন সব ভাগছে দেখস না।
VOUS LISEZ
শুভ সিরিজ (সংগৃহীত)
Roman d'amourদুই ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের কিছু ইরোটিক ঘটনা। আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত, কারো আঞ্চলিক ভাষায় সমস্যা থাকলে পড়া থেকে বিরত থাকুন। গল্প গুলো সংগৃহীত, আমার নিজের ভালো লাগায় এখানে রাখা। আসল লেখকের নাম নিজে কোথাও খুঁজে পাইনি।