প্রফে সাপ্লি খাইয়া একরকম হতাশায় ধরলো। এই বয়সে মান ইজ্জত লইয়া টানাটানি। শুভ কোনরকমে পার পাইয়া গেছে, কিন্তুক আমি রইয়া গেলাম পিছে। লাইব্রেরীতে নীতুর দুধ টিপতে টিপতে ফিজিওলজী পড়তাছি। নীতুও সাপ্লি খাইছে, ওর অবশ্য ভালো অজুহাত আছে। পরীক্ষার একমাস আগে আমগো থিকা পাঁচ বছরের সিনিয়র বয়ফ্রেন্ড ওরে ছ্যাকা দিয়া বিয়া করছে। হোম ইকোনোমিক্সের গাউছিয়া মার্কা একটা ছেড়িরে। বয়সে মনে হয় দশ বছরের ছোট হইবো লোকটার থিকা। নীতু লগে আমিও কান্দি আর কানতে কানতে একজন আরেকজনের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চাপতে চাপতে পুরানা পড়া আবারো পড়ি।
শুভ একটানা কল দিতেছিল, কয়েকবার ইগনোর করছি, হালায় তাও রিং দিতাছে। ধইরা কইলাম, কি রে বিরক্ত করস ক্যান?
- সুমইন্যা তুই কই?
- পড়তাছি জানস না?
- তো? ফোন ধরতে কি সমস্যা, সকাল থিকা খুঁজতাছি?
- কিল্যিগা?
- লাবনীর বিয়াতে যাবি না?
- নাহ, পরীক্ষার আগে কোথাও যাইতাছি না।
- বিয়া তো তোগো পরীক্ষার কয়েকদিন পর, যাবি কি না বল? ক্লাসের কে কে যাইবো লাবনী জানতে চাইছে।
লাবনী আমগো ক্লাসমেট, বন্ধের সুযোগে অর বাপে বিয়া দিতাছে। মাইয়াগো একটা সুবিধা, পাশ করার আগেই চোদাচুদির স্থায়ী বন্দোবস্ত হইয়া যায়, চাকরী পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় না।
শুভরে কইলাম, শোন এগুলা নিয়া চিন্তা করার ইচ্ছা নাই। পরীক্ষা হউক আগে, পরে দেখুম নে।
- উকে, তাইলে লিস্টিতে নাম উঠাইলাম তোর।
নীতুর লগে যা করি কাপড়ের উপর দিয়াই করি, বেশী বিরক্ত করি না। এ দুর্দিনে ও যে তবু সারাদিন সঙ্গ দিতাছে সেইটা নষ্ট করা বোকামী হইবো। দেখতে দেখতে পরীক্ষা আইসা গেলো, চইলাও গেলো। লাবনীর বিয়ার কথা ভুইলাই গেছিলাম। বাসায় রেস্ট লইতাছি পরীক্ষার পরদিন, শুভ ঘরে আইসা হাজির।
-কি রে তোরে এইভাবে বিষন্নতায় ধরলো কেমনে? চল ঘুইরা আসি, মন ভালো হইয়া যাইবো।
YOU ARE READING
শুভ সিরিজ (সংগৃহীত)
Romanceদুই ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের কিছু ইরোটিক ঘটনা। আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত, কারো আঞ্চলিক ভাষায় সমস্যা থাকলে পড়া থেকে বিরত থাকুন। গল্প গুলো সংগৃহীত, আমার নিজের ভালো লাগায় এখানে রাখা। আসল লেখকের নাম নিজে কোথাও খুঁজে পাইনি।