ফক্স ফোর্স ফাইভ

193 3 0
                                    

গ্রীন রোডে জামান স্যারের আমরা বাসায় অংক করতাম। উনি আবার একসাথে সাত আট ব্যাচের পোলাপান পড়াইত। তিন রুমে ছিল ছয় সাতটা টেবিল, প্রতি টেবিলে আবার ছয় সাতটা পোলা মাইয়া। শনি সোম বুধের ব্যাচে আমরা নটরডেম গ্রুপ বইতাম একদিকে আর ভিকির আধা ডজন ফক্সি মাইয়া বসত আরেক টেবিলে। দুই ঘন্টা লোভাতুর দৃষ্টিতে ওগোরে দেখতে দেখতে ধোন আর ভোদার ইন্টিগ্রেশন ডিফারেন্সিয়েশন মিলানোর চেষ্টা চলত। কারন লাবনী, তৃষা, শর্মী, বন্যারা চেহারা সাজগোজে যে শুধু হট আছিল তাই না, ওরা আসত গাড়ী হাকাইয়া, কথা বলত বাংলিশে, আর মাঝে মধ্যে এমন চাহনী দিত যে মনে হইতো যে আমগো কইলজাটায় কাটা চামচ খেচতেছে ।

এর কয়েক বছর আগে ট্যারেন্টিনোর পাল্প ফিকশন ছবিটা মুক্তি পাইছিল, আমরা খুব প্রভাবিত হইছিলাম স্কুল আমলে, সেইখানে উমা থারম্যানের একটা ডায়ালগ মাইরা দিয়া আমরা অগো গ্রুপের নাম দিছিলাম ফক্স ফোর্স ফাইভ। কারন ওরা পাচছয়জন সবসময় একসাথে থাকত, সবগুলাই যেরম সুন্দরী, সেরম ফ্যাশনিস্তা, বাপগুলাও মালদার পার্টি, একেকদিন একেক গাড়ীতে কইরা আসতো, শুনতাম কেউ কাস্টমসের ঘুষখোরের মাইয়া, কেউ পুলিশের আইজি ডেইজি, লোন ডিফল্টার শিল্পপতি চোরাকারবারীও ছিল। এই শালারা সবসময় সুন্দরী বৌ বিয়া কইরা সুন্দরী মাইয়ার বাপ হয়, তারপর লাখ টাকা ডোনেশন দিয়া মাইয়ারে ঢুকায় ভিক্রুন্নেসায়।

কলেজেও নাকি ওদের হেভী দেমাগ, ক্যাম্পাস দাপায়া বেড়ায়, অগো দাপটে টীচাররা পর্যন্ত তটস্থ হইয়া থাকে। জামান স্যার অগো লগে মিঠা মিঠা ভাষায় কথা বলতো। এমনকি আমিও প্রথম কয়েকমাস ওদের ভাইবা হাত মারা এভয়েড করতেছিলাম, রাজকন্যা চুদতে ভয় লাগতো, মনে মনে হইলেও।

তো টেস্ট পরীক্ষার আগ দিয়া জামান স্যারে তিন ঘন্টার ফাইনাল নিতাছে। একদিন পরীক্ষা শেষ হইতে হইতে নয়টা বাইজা গেল, বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টি মানে একদম ঝড়। পোলাপাইন যে পারছে গেছে, শুভ আর আমি দুইজনেই টেম্পু প্যাসেঞ্জার, আধা ভিজা হইয়া যানবাহনের আশায় অপেক্ষা করতাছি। স্যারের হেল্পার কাশেম ভাইও তালাতুলা দিয়া বিদায় নিয়া গেলো গা। লাবনী আর শর্মী তখনও যাইতে পারে নাই। গাড়ী আইতাছে না। ফক্সিরা মেনি বিড়ালের মত চুপসায়া আছে। ওরা স্যারের বারান্দায় হেলান দিয়া দাড়ানো, আমরা গেটের কাছে গাছের তলে ভিজতাছি। সিক্সটি ওয়াটের লাইট টিমটিমায়া জ্বলে। ঘড়িতে পৌনে দশটা। বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে এত বড় শহর পুরাটাই ঘুমাইন্যা। ওরাও চুপচাপ, আমরাও। যারে বলে ‘আনকম্ফোর্টেবল সাইলেন্স।

শুভ সিরিজ  (সংগৃহীত)Kde žijí příběhy. Začni objevovat