টাইম ক্রাইম [পর্ব 9]

12 1 0
                                    

তীন্দ্রকে না জানিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে এসেছি, স্যুটকেসটা ওকে না বলে একাই জমা দিয়েছি এজেন্সিতে। হ্যাঁ এটা ঠিক যে এই অপারেশনে আমিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাই জমাটা আমিই না হয় দিলাম আর কি। কিন্তু তবুও কিরকম যেন একটা স্বার্থপর স্বার্থপর লাগছে। ওকে না জানিয়ে দিয়ে দিলাম, ও কী ভাবল।

কয়েক দিন কেটে যায়, এই কদিন মিডিয়ায় তোলপাড়, জনবিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল, কত কিনা হল। ধীরে ধীরে সব ঠান্ডাও হতে শুরু করলো। কিন্তু মেন ঘুঘু মানে নাটের গুরু সে ঠিক বহাল তবিয়তে আছে। এত লোকের পয়সা খেয়ে আনন্দেই তার দিন কাটছে।

মিশনটা এখনো সমাপ্ত হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত না সম্পূর্ণরূপে ন্যায় পাওয়া যাচ্ছে মিশন চলতেই থাকবে। নতুন কোনো ক্লু মিশনকে আরও জীবন্ত করে তোলে। তাই ক্লু ধরে ন্যায় খোঁজার তাগিদে বেরিয়ে পড়লাম নতুন অপারেশনে। এবারে অতীন্দ্র আর নেই। কেন নেই তা ঠিক বলতে পারব না। সে কি অন্য মিশনে আছে? না একাজ ছেড়ে দিয়েছে? না রাগ করে আমার সাথে কথা বলবেনা? দেখাও হয়নি যে তার সাথে কথা বলবো। আর তার ব্যাপারে কাউকেই কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারবো না। কেননা এটা রুলের ফিলাপ, আর জিজ্ঞাসা করলেও কেউ সে বিষয়ে জানেনা অথবা জানলেও বলবেনা। সবই নিয়মের বেড়াজালে বদ্ধ। সেই দিনই স্যার জিজ্ঞাসা করেছিলেন তার কথা, আমি জানিনা বলে দিয়েছি। বিপদের গন্ধ পেয়েছিলাম তাই বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি জমা দিয়ে দিয়েছি।

শ্রুতি বললো, "ক্লুতো কিছু একটা আছে, নাহলে এটা মিলতো না।"

আমি বললাম, "যদি এটাকে উপেক্ষা করি তাহলে আমাদের পুরো ফোকাসটা যাবে ওই দিকটাই, দূরত্ব এখান থেকে 7 কিমি পশ্চিম,
শো লেটস্ ডু ইট।"

বেরিয়ে পড়লাম আমি আর স্রুতি। হ্যাঁ একজন নারী। সে এই সদ্য জয়েন করেছে। পিতৃহীন মেয়ের মনে দেশ প্রেমের ছোঁয়া। তার বাবা একজন উচ্চপদস্থ আর্মি অফিসার ছিলেন। আতঙ্কবাদী দের হাতে দেশের স্বার্থে শহীদ হয়েছেন। দেশের মাটিতে আজ অন্যায়ের প্রতিবাদে সে রুখে দাঁড়িয়েছে এক নারী হয়ে।
সমাজের বুকে জলন্ত প্রদীপ হয়ে দেখিয়ে দিতে চাই নারীশক্তিকে।

টাইম ক্রাইমWhere stories live. Discover now