টাইম ক্রাইম [পর্ব 15]

17 2 0
                                    

শ্রুতি : "তোমায় বলেছিলাম এখন খেওনা, এখন খেওনা, শুনলে কই। সবাই জেনে গেল তো।"

আমি : "হ্যাঁ একদিন না একদিন তো জানতেই হত। আগেই জানতে পেরে গেল, এ তো ভালোই হলো। জানাতে হলো না। আর একটা হবে নাকি?"

শ্রুতি : "আবার, দাড়াও তোমায় একাকী পাই, তোমার হচ্ছে। কিস খেয়ে খেয়ে তোমার ঠোঁট না লাল টকটকে করে দিই, আমার নামও শ্রুতি নয়।"

আমি : "হ্যুঁ হ্যুঁ হ্যুঁ হ্যু( হালকা হাসি) তা বল এখন, আমি এখানে কিভাবে এলাম? কী হলো তারপর? যতটা মনে আছে আমি সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে ছিলাম, তারপর কী হলো?"

শ্রুতি : "তোমাকে আমরা একটা জেলের নৌকায় পেলাম। সে বললো যে সে তোমাকে চেনে, সে ডিজেবাজার এক শশানে খগেন খুড়োর মরা পোড়ানোর সময় তোমায় দেখেছে, অনেকদিন আগে। ওই ডিজেবাজা থেকে অনেক দূরে সে নৌকোয় মাছ ধরতে ধরতে তোমায় দেখতে পাই ভাসমান অবস্থায়। যেহেতু তোমায় চেনে তাই কোন দ্বিধা না করে নৌকায় তোলে ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। আর স্যুটকেসটা তোমার হাতেই ছিল, ওই স্যুটকেসটার জন্যই তুমি ভেসে ছিলে।"

আমি : "স্যুটকেস হাতে অতক্ষণ কিভাবে ধরেছিলাম?"

শ্রুতি : "স্যুটকেসের হ্যান্ডেলটা তোমারা কোর্টের ডান হাতার বোতামের সাথে আটকে ছিল।"

আমি : "হ্যাঁ এবার মনে পড়েছে, নদীতে ঝাঁপ দেয়ার সময় তাড়াতাড়ি করে স্যুটকেসের হ্যান্ডেলটা ডান হাতার বোতামে আটকে দিই, যাতে স্যুটকেশটা হাতছাড়া না হয়। এটা যে আমায় ভাসিয়ে রেখে প্রাণ রক্ষা করবে তা ভাবিনি। তারপর?"

শ্রুতি : "তারপর তোমায় আমরা ঢোলবাজার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পায়।"

আমি : "কী করে জানতে পারলে যে আমি ওখানে আছি?"

শ্রুতি : "কোন খবর পাইনি তোমার। সেই দুপুরবেলা তোমার শেষ কল। তারপর বললে যে রাত্রিবেলা ফোন করবে। রাত্রি অনেক পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম, করলে না। ভাবলাম হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছ। রাত্রিরে তোমার ফোনে ফোন লাগালাম, কিন্তু শুধু বলছে,- আপনি যাকে ফোন করেছেন তিনি এখন নেটওয়ার্ক কভারেজ সীমার বাইরে আছে।
আর লাগালাম না। সকালে ফোন লাগালাম, তখন ফোনটা লাগলো এবং একটা অপরিচিত আওয়াজ শোনা গেল। অপরিচিত ব্যক্তি বললেন যে তুমি ঢোলবাজার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আছো।
তারপর বাকিদের জানালাম; টিম নিয়ে সেখানে পৌঁছলাম। তারপর ওখান থেকে তোমাকে এখানে শিফট করা হল। এই হসপিটালে।"

টাইম ক্রাইমOù les histoires vivent. Découvrez maintenant